1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমানে যাত্রীদের দিকে নজর রাখে গোয়েন্দারা

৮ ডিসেম্বর ২০১৬

যেসব বিমান যাত্রী বিমানে তাঁদের মোবাইল ব্যবহার করেন, তাঁদের উপর নজর রেখেছে মার্কিন এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দারা৷ মার্কিন ‘হুইসেলব্লোয়ার' এডওয়ার্ড স্নোডেনের বরাতে এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে এই তথ্য৷

মোবাইল ফোন
ছবি: picture alliance/maxppp/L'est Republicain

যেসব বিমান যাত্রী বিমানে বসে মোবাইল ব্যবহার করেন, তাদেরমোবাইলে গোয়েন্দাগিরির চেষ্টা​​​​​​ করে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ এবং ব্রিটেনের জিসিএইচকিউ৷ এয়ারফ্রান্সের মতো বাণিজ্যিক বিমান সংস্থাগুলোর যাত্রীরা কার্যত ২০০৫ সাল থেকে এমন নজরদারির মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের ল্যঁ ম্যঁদে পত্রিকা৷

এয়ারফ্রান্স হচ্ছে প্রথম দিককার বিমান সংস্থা, যাদের যাত্রীদের উপর নজরদারি প্রতিষ্ঠা করে গোয়েন্দা সংস্থা দুটি৷ ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো যাত্রীদের আকাশে বসেই মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ করে দেয় এয়ারফ্রান্স৷ তখন বিষয়টি এখনকার মতো সহজ ব্যাপার ছিল না, বর্তমানে ১০০-র মতো কোম্পানি এই সেবা দিয়ে থাকে৷ ফরাসি বিমান সংস্থাটিকে সন্ত্রাসীদের বড় টার্গেট হিসেবে বিবেচনা করেছিল মার্কিন এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দারা৷

স্নোডেন কারো কাছে হিরো আবার কারো কাছে বা দেশদ্রোহীছবি: Reuters/B. McDermid

ল্যঁ ম্যঁদে লিখেছে, ‘‘আকাশে ইন্টারনেট সংযোগসহ মোবাইল ব্যবহার গোয়েন্দা সংস্থা দু'টিকে বিশেষ প্রোগ্রাম তৈরিতে উৎসাহ জুগিয়েছে৷'' পত্রিকাটি অপর নিউজ ওয়েবসাইট ‘দ্য ইন্টারসেপ্টে'-এর সঙ্গে যৌথভাবে এনএসএ-র সাবেক কন্ট্রাক্টর স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্যের আর্কাইভ গবেষণা করেছে৷ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির পরিধি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তিনি প্রকাশ করেন ২০১৩ সালে৷ বিষয়টি তখন গোটা বিশ্বে সাড়া জাগায়৷

মার্কিন এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা দু'টির গোয়েন্দা প্রকল্পের কোড নেম হচ্ছে ‘থিভিং মেগপাই' এবং ‘হোমিং পিজন৷' এগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উপরে থাকা বিমানের যাত্রীদের মোবাইল ব্যবহারের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম৷ মোবাইলের সিগনাল মাটিতে থাকা গোপন ইন্টারসেপশন স্টেশনগুলো সংগ্রহ করতো, কেননা সেগুলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিবহন হতো৷

লে মন্ডে লিখেছে, ‘‘একটি মোবাইল চালু করলেই সেটির অবস্থান সম্পর্কে জানা সম্ভব৷ এরপর বিমানের যাত্রীদের তালিকা, বিমান নম্বর এবং এয়ারলাইন কোড মিলিয়ে যাত্রীর নাম বের করা সম্ভব৷''

প্রসঙ্গত, স্বাভাবিকভাবে উড়ন্ত বিমানে বসে মোবাইলে ফোন করা সম্ভব না হলেও কিছু বিমানসংস্থা কেবিন ওয়াইফাই সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীদের মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে৷ সেই সংযোগ যোগাযোগের বিভিন্ন কাজে লাগানো সম্ভব৷ স্নোডেন বর্তমানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে মস্কোতে বসবাস করছেন৷ কখনো যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ত্রিশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর৷

এআই/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ