1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিমান বিধ্বস্ত ইরানের মিসাইলে’

১০ জানুয়ারি ২০২০

মিসাইল হামলার ফলেই বুধবার ইরানে ইউক্রেনের বিমান ভেঙে পড়েছে। দাবি ট্রাম্প সহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের। যদিও তা অস্বীকার করেছে ইরান।

ছবি: Reuters/Wana/N. Tabatabaee

যান্ত্রিক গোলযোগ নয়, মিসাইলের আঘাতেই ধ্বংস হয়েছে ইউক্রেনের বিমান। দাবি করলেন ক্যানাডা এবং অ্যামেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান। একই মত পোষণ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও।

বুধবার তেহরান থেকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিল ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। উল্লেখ্য, ওই একই দিনে ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে এক ডজন মিসাইল ছুড়েছিল ইরান। কিন্তু বিমান দুর্ঘটনার পরেই ইরানের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়েছে বিমানটি। ঘটনায় একজনকেও বাঁচানো যায়নি।

ইরান যা-ই বলুক, বৃহস্পতিবারই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর ধারণা এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। সরাসরি না বললেও ট্রাম্পের কথায় স্পষ্ট, তিনি মিসাইল হামলার কথাই বোঝাতে চাইছেন। ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও ট্রাম্পের বক্তব্য সমর্থন করে সাংবাদিকদের স্পষ্ট করেই বলেছেন, তিনি মনে করেন যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এই ঘটনা ঘটেনি। বিমানটি মাঝ আকাশে ভেঙে পড়েছে মিসাইলের আঘাতেই। ট্রুডো জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট খবর আছে।

বস্তুত, মার্কিন গোয়েন্দাদের দেওয়া রিপোর্টেও স্পষ্টই বলা হচ্ছে, বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে মিসাইলের কারণেই। স্যাটেলাইট ছবিও সে ধারণা দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, তিনিও বিমান দুর্ঘটনার পিছনে নাশকতার আশঙ্কাই করছেন।

যদিও পশ্চিমা বিশ্বের অভিমত মানতে নারাজ তেহরান। বৃহস্পতিবার ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইরান জানিয়ে দিয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সে বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ তাদের কাছে আছে। ইরানের তরফ থেকে মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা বোয়িংকে আহ্বান জানানো হয়েছে, ঘটনাটির তদন্তে অংশ নেওয়ার জন্য। তারা ক্যানাডার কাছ থেকেও তথ্যপ্রমাণ চেয়েছে এবং জানতে চেয়েছে, কোন তথ্যের ভিত্তিতে ট্রুডো বলছেন, মিসাইল হানাই বিমান দুর্ঘটনার কারণ?

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, বিমানটি ভেঙে পড়ার যে ছবি পাওয়া গিয়েছে, তা স্বাভাবিক নয়। শুধুমাত্র যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই যদি বিমানটি ভেঙে পড়ত, তাহলে আগুনের তীব্রতা অত বেশি হত না। মিসাইলের আঘাতে ভাঙলেই এ ধরনের দৃশ্য দেখা যায়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ