1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাশ

৩০ জুন ২০১১

বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম বহাল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে আজ৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে এসেছে অন্তর্বতী সরকার৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)ছবি: AP

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে৷ আর বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংশোধনী প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ব্যবস্থা করল৷

সংবিধানের এই পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয় বিভক্তি ভোটের মধ্য দিয়ে৷ ২৯১টি হ্যাঁ ভোট এবং ১টি না ভোট পড়ে৷ মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি এবং ন্যাপ ছাড়া অন্যদলের সদস্যরা ভোট দানে বিরত থাকেন৷ স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আযিম চৌধুরী এই বিলের বিরুদ্ধে ওয়াক আউট করেন৷ সংসদে ছিলেননা প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং জামায়তের সদস্যরা৷

মোট ৬৫টি সংশোধানী প্রস্তাব কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়৷ ভোটদানে বিরত ছিলেন রাশেদ খান মেনন এমপি এবং হাসানুল হক ইনু এমপি৷ তারা সংবিধানে বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম কথাগুলো রাখার বিরোধিতা করেন৷

বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)ছবি: Mustafiz Mamun

আইনমন্ত্রী সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব বাতিল করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন৷ প্রত্যাখ্যান করেন স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আযিম চৌধুরীর জনমত যাচাই এবং বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব৷

এই সংশোধানী পাশের মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত তত্ত্বাবায়ক সরকার বাতিল হল৷ তার জায়গায় এলো অন্তর্বতী সরকার৷ বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্মে সংবিধানে থেকে গেল৷ থাকল ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ৷

সংশোধানী বিল পাশ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, এর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে৷

আর প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এই সংশোধনীর উদ্দেশ্য, দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা৷ বিএনএপি এই সংশোধনী মানেনা৷

গত ৮ই জুন সংবিধান সংশোধন কমিটি ৫১টি সুপারিশসহ সংবিধান সংশোধন রিপোর্ট সংসদে পেশ করে৷ তারপর সেই রিপোর্ট মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ২৫ শে জুন বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী৷ স্থায়ী কমিটির পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আজ বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হল৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ