1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী-পুরুষ ভেদাভেদ

২ নভেম্বর ২০১১

বাঙালি মেয়েরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্নরকমের পেশায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন৷ তাঁরা নিজেদের প্রমাণ করতে সফল জীবনের সবদিকেই৷ যেমন বিদিশা সিনহা৷ ভারতের একটি গ্রাম থেকে আজ ইংল্যন্ডে একজন চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই নারী৷

Titel: Lotti Helstrom, Stockholm, Schweden Schlagworte: Sodersjukhuset, Krankenhaus, Vergewaltigung, Stockholm, Schweden Wer hat das Bild gemacht?: Foto: Joanna Impey, DW Wann wurde das Bild gemacht?: 08.03.2011 Wo wurde das Bild aufgenommen?: Sodersjukhuset, Stockholm, Schweden Bildbeschreibung: Bei welcher Gelegenheit / in welcher Situation wurde das Bild aufgenommen? Wer oder was ist auf dem Bild zu sehen? Lotti Helstrom, Ärztin, untersucht Spezimina durch ein Mikroskop in dem Krisenzentrum für Opfter von Vergewaltigung in Stockholm. In welchem Zusammenhang soll das Bild/sollen die Bilder verwendet werden?: Artikel - Bilder des Tages quer Bildrechte: Die Fotografin ist Mitarbeiterin der DW, so dass alle Rechte bereits geklärt sind.
চিকিৎসা পেশায় কর্মরত এক নারীছবি: DW

কলকাতা থেকে বেশ অনেকটা দূরে বনগাঁ লাইনের একটি ছোট্ট রেলস্টেশন মসলন্দপুর৷ সেখানকার গ্রামের ইস্কুলে পড়া একটি মেয়ের নাম বিদিশা সিনহা৷ তিনি এখন লন্ডন শহর থেকে দু'ঘণ্টা দূরত্বে কভেন্ট্রির কাছে একটি হাসপাতালে বিশেষ ধরণের চিকিৎসক হিসেবে ব্রিটিশদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন৷

ভালো ছাত্রী বিদিশা ডাক্তারি পড়তেই প্রথমবার কলকাতায় পা রাখেন৷ এরপর এমডি করেন৷ বিবাহসূত্রে তাঁর ইংল্যন্ডে আসা৷ তারপর সেদেশে যেহেতু ভারতীয় ডিগ্রি গ্রাহ্য হয়না, তাই একই ডাক্তারি বিদিশাকে ফের পড়তে হয়েছিল৷ পরে তিনি চাকরিও পান৷ এখনও তিনি সেকাজ করে চলেছেন৷

প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

বিষয়টি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না৷ একজন নারী হিসাবে বিদেশ বিভুঁইয়ে চিকিৎসার মত গুরুতর দায়িত্বপালন করাটা তো সহজ কাজ নয়! সে ধরণের প্রতিবন্ধকতা অনেক সময়েই পেরোতে হয়েছে বিদিশাকে৷ নারী হিসেবে সহজাত গর্ববোধ, সংসার, সন্তানের প্রত্যাশাপূরণ আর দায়িত্বপালনের কাজগুলি তিনি যেমন করেছেন অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে, তেমনই সেসব কাজের সঙ্গে সঙ্গে নিজের পেশাকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁকে নিত্য সংগ্রাম করতেও হয়েছে৷ নিজেই যে কারণে তিনি বলে দিচ্ছেন, পুরুষশাসিত এই সমাজব্যবস্থায় একটি নারীকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্য জায়গা ছেড়ে দিতে পুরুষরা কখনোই রাজি নয়৷ তা, সে, ভারত, বাংলাদেশ বা বিলেতের মাটি, সব জায়গাতেই ছবিটা একইরকমের৷

গুরুদায়িত্ব পালন, সংসার সন্তান সামলানোর পাশাপাশি, বিদিশা কবিতাপ্রেমী৷ নিজে লেখেনও তিনি কবিতা৷ তাঁর রচনা থেকে কবিতা পাঠ করে তিনি শুনিয়ে দেন ডয়চে ভেলের শ্রোতাদের জন্য৷ তিনি মনে করেন, কবিতা হল শব্দ দিয়ে আঁকা ছবি, যে ছবিতে ধরা পড়ে গভীর বোধ আর সেই বোধের অনুরণন৷

চিকিৎসার মত গুরুদায়িত্ব পালন, সংসার সন্তানের দায়ভার হাসিমুখে সমালানো, তারপরে আবার কবিতা লেখার মত বোধের জগতে সম্পর্কিত থাকা, একসঙ্গে এতকিছু করতে পারে বোধহয় একজন নারীই৷ সে কারণে, নারীর মধ্যে মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশ চরিতার্থ হয়ে থাকে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ