1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপের তারকা অক্টোপাস পল আর নেই

২৬ অক্টোবর ২০১০

মাত্র তিন চারমাস আগেও যার বিভিন্ন খবর মানুষকে আনন্দ দিয়েছে, অবাক করেছে যার অলৌকিক শক্তি৷ আগ্রহ নিয়ে দেখেছে যার বিশ্বকাপ ফলাফলের বিশ্লেষণ৷ বলছি অক্টোপাস পলের কথা৷ সে আর নেই৷

অক্টোপাস পলছবি: picture-alliance/dpa

এই তো এই বছরেরই জুন থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ বিশ্ব কাপ ফুটবল চলাকালে কি হৈ চৈ টাই না গেল তাকে নিয়ে৷ কোন কোন দেশের ফুটবল প্রেমীরা তাকে গ্রিল করে খেতে চেয়েছে, আবার কোন দেশ তাকে সম্মানজনক নাগরিকত্বও দিতে চেয়েছে৷ কিন্তু জার্মানি তাকে আগলে রেখেছিল, কোথাও পাঠায়নি, ক্ষতিও হতে দেয়নি৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর আগলে রাখতে পারলো না৷ সব ভক্ত আর ফুটবলার, এবং ফুটবল অনুরাগীদের রেখে চলে গেল অক্টোপাস পল৷

জার্মানির ‘সি-লাইফ ওবারহাউসেন' এ্যাকোয়েরিয়ামে সোমবার গভীর রাতে প্রাণ হারায় সে৷ মৃত্যুর সময়ে পলের বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৩ মাস৷ অর্থাৎ প্রায় তিন বছর৷ বলা হয়ে থাকে, অক্টোপাসের জীবনকালের হিসাবে তার আয়ু ছিল বেশ দীর্ঘ৷ এইবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের বিজয়ের কথা দুইবার জানিয়েছিল পল৷ আর বিশ্ব কাপ জয়ের পরে স্পেন পলকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে চেয়েছিল৷ দেশটির একটি শহর পলের দেহ সংরক্ষণ করতেও চেয়েছিল, তৈরি করতে চেয়েছিল একটি এ্যাকোয়েরিয়াম, এবং একটি অক্টোপাস জাদুঘর৷ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শহর কারবালিনো পলকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দিতে চেয়েছিল৷ অন্যদিকে বিশ্বকাপে হেরে যাওয়া দলগুলো, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের পরাজয়ের জন্যে পলকে দায়ী করে৷ অনেকে আবার উচ্চ মূল্যে এই এ্যাকোয়েরিয়াম তারকাকে কিনতে চেয়েছে৷ কিন্তু সিলাইফ সংগঠন বলেছে, কোথাও যাবার মত বয়স পলের আর নেই৷ কিন্তু এখন পলকে নিয়ে আর কোন হৈ চৈ-করার প্রয়োজন নেই৷ সবই এখন অতীত৷

২০১০-এর বিশ্ব কাপ চলাকালে স্পেনের চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারণ করছে পলছবি: AP

পল জন্মগ্রহণ করেছিল ব্রিটেনে৷ কিন্তু তারপরে তাকে জার্মানিতে নিয়ে আসা হয়৷ কারবালিনো'র মেয়র কার্লোস মন্টেস জানিয়েছেন, পলের দেহাবশেষ সংরক্ষণ করার জন্যে তিনি জার্মান এ্যাকোয়েরিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন৷ এদিকে সিলাইফ এ্যাকোয়েরিয়াম বলেছে, ২০১২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ভবিষ্যদ্বাণীর জন্যে তারা ‘পল টু' তৈরি করছেন৷ আবারো আসবে বিশ্বকাপ৷ কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবলে পল যে বিশেষ মাত্রা যোগ করতো তা থেকে বঞ্চিত হবে সবাই৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ