বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে সৌদি আরবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ
১৫ মে ২০২৫
তারা বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, সুউচ্চ নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে গিয়ে ও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও আরেকটি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ফেয়ারস্কয়ার বুধবার পৃথক দুইটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হলেকর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ও কাজ সংশ্লিষ্ট অসুস্থতায় মারা যাওয়া শ্রমিকদের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হত৷
২০৩৪ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনকে ঘিরে সৌদি আরবে হাজার হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো নির্মাণ চলমান রয়েছে৷ সামনের বছরগুলোতে শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তেপারে বলে সতর্ক করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশি এক শ্রমিকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় তার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে৷ প্রতিষ্ঠানটি নিহতের পরিবারকে জানায়, তারা কেবল তখনই ক্ষতিপূরণ পাবে, যদি মৃতদেহ সৌদি আরবে দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়৷ ভুক্তভুগী আরেকটি পরিবার জানায়, সৌদি সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেতে তাদের প্রায় ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর বৈশ্বিক পরিকল্পনার পরিচালক মিনকি ওরডেন বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, ‘‘এটা খুবই জরুরি যে সৌদি আরবের সরকার ও ফিফা নুন্যতম শ্রমঅধিকার মেনে চলবে৷''
ফেয়ারস্কয়ার তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ১৮ মাসে সৌদি আরবে অন্তত ১৭জন নেপালি শ্রমিক মারা গেছেন৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেটে এই মৃত্যুগুলোর সুস্পষ্ট কারণও উল্লেখ করা হয় না বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ ফেয়ারস্কয়ারের সহকারী পরিচালক জেমস লিঞ্চ বলেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে নিহতের পরিবারকে ঋণ নিয়ে বা ধার করে তাদের বাবা অথবা স্বামীর মৃতদেহ নিজ দেশে ফেরত নিতে হয়েছে৷''
তবে এই বিষয়ে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷