মাঠের রেফারি ছাড়াও এবার রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে চারজন ‘ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি' বা ভিএআর থাকবেন৷ মূলত চারটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন তাঁরা৷
বিজ্ঞাপন
রাশিয়ার মস্কোতে স্থাপিত একটি কেন্দ্রে এই রেফারিরা থাকবেন৷ সেখান থেকেই মাঠের রেফারির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তাঁরা৷ মাঠের রেফারি চাইলে সাইডলাইনে গিয়ে ভিডিওর রিপ্লেও দেখতে পারবেন৷ আর স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদেরও বড় স্ক্রিনে ভিডিও রেফারির সিদ্ধান্ত জানানোর ব্যবস্থা থাকবে৷
যে চারটি বিষয়ে ভিএআর-রা সিদ্ধান্ত দেবেন সেগুলো হচ্ছে, গোল এবং গোল হওয়ার আগ মুহূর্তের বিষয়াদি, পেনাল্টির সিদ্ধান্ত, সরাসরি লাল কার্ড এবং ভুল বলে বিবেচিত হতে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত৷
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ফিফা ইতিমধ্যে ভিএআরদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে৷ বিশ্বকাপের জন্য ৩৬ জন রেফারি ও ৬৬ জন সহকারী রেফারি নির্বাচন করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্য থেকেই কয়েকজনকে ভিএআর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷
অফসাইডের সিদ্ধান্ত নির্ভুল করার জন্য এবারের বিশ্বকাপে দুটি অতিরিক্ত ক্যামেরার ব্যবস্থা করবে ফিফা৷ ফলে একটি ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য এবার এই দু'টিসহ মোট ৩৫টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে৷
বিতর্ক
রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ভিএআর ব্যবহার হতে যাচ্ছে৷ তবে জার্মানির বুন্ডেসলিগা, ইটালির ‘সিরি এ' ও পর্তুগালের লিগে ইতিমধ্যে এটি ব্যবহার করা হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিএআর-এর কারণে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত এড়ানো গেছে৷ তবে ভিএআর-এর বিপক্ষে সমালোচনাও আছে৷ যেমন সম্প্রতি বুন্ডেসলিগার এক ম্যাচে হাফটাইমের সময় ফ্রাইবুর্গ ক্লাবের বিরুদ্ধে একটি পেনাল্টি দেয়া হয়েছিল৷ অর্থাৎ হাফটাইম শেষে যখন ফ্রাইবুর্গের খেলোয়াড়রা মাঠে ফিরেছিলেন, তখন শুরুতেই তাঁদের একটি পেনাল্টির মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ এছাড়া ভিএআর সিদ্ধান্তের জন্য কখনও কখনও খেলা কয়েক মিনিট বন্ধ রাখতে হয়েছে৷
বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা
বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই উন্মাদনা৷ আর সেই উন্মাদনা ঐ গোলপোস্টকে ঘিরেই৷ তাই যারা গোল করেন তারাই হয়ে ওঠেন সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে যাঁরা প্রতিপক্ষের জালে অন্তত ১০ বার বল জড়িয়েছেন তাঁদের নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিরোস্লাফ ক্লোজে
ক্লোজে হলেন জার্মানির সৌভাগ্যের প্রতীক৷ যে ম্যাচেই তিনি দেশের হয়ে গোল করেছেন সে ম্যাচেই দল জিতেছে৷ তিনি জার্মানির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা৷ ১৬টি গোল নিয়ে বিশ্বকাপেরও সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি৷ ২০১৪ বিশ্বকাপে ২টি গোল করে তিনি ব্রাজিলের রোনালদোকে টপকে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন৷ অংশ নিয়েছেন ২০০২, ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে৷ জিতেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপ৷
ছবি: Patrik Stollarz/AFP/Getty Images
রোনালডো
ব্রাজিলের এই কিংবদন্তীকে বলা হয় বিশ্বের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন৷ ‘দি ফেনোমেনোন’খ্যাত এই তারকা তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়, দু’বার ব্যালন ডি’অর ও একবার উয়েফার সেরা ক্লাব ফুটবলার এবং ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতেন৷ ব্রাজিলের হয়ে তিনি ৯৮ ম্যাচে ৬২টি গোল করেন, যার ১৫টিই বিশ্বকাপে৷ ১৯৯৮ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল ও ২০০২ আসরে জেতেন গোল্ডেন বুট৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Ugarte
গ্যার্ড ম্যুলার
পশ্চিম জার্মানির হয়ে খেলেছেন তিনি৷ প্রতিপক্ষের জালে বল ফেলার দক্ষতার জন্য তাঁকে সর্বকালের সেরাদের একজন হিসেবে মানা হয়৷ এই জার্মান কিংবদন্তীর ফিনিশিং ছিল অনবদ্য৷ দেশের হয়ে ৬২ ম্যাচে করেছেন ৬৮ গোল, যার ১৪টিই এসেছে বিশ্বকাপে তাঁর খেলা ১৩ ম্যাচে৷
ছবি: AP
জিস্ট ফুঁতেন
এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডটি তাঁর৷ একবারই বিশ্বকাপ খেলেছেন এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড, ১৯৫৮ সালে৷ সে বিশ্বকাপেই ৬ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পেলে
‘কালো মানিক’ নাম তাঁর৷ তাঁকে অনেকেই ফুটবলের সর্বকালের সেরা বলেই মানেন৷ ব্রাজিলিয়ান এই মহাতারকার বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচে ১২ গোল৷ এই তালিকায় একমাত্র তিনিই তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সান্দোর পিতার কচিশ
হাঙ্গেরির এই দুর্দান্ত ফিনিশার তাঁর সময়ে সেরাদের একজন ছিলেন৷ ১৯৫২ ও ৫৪ সালে তিনি যে কোনো ইউরোপিয়ান লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন৷ দেশের হয়ে ৬৮ ম্যাচে করেছেন ৭৫ গোল৷ ১৯৫৪ বিশ্বকাপে তিনি ১১ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন৷ একই বিশ্বকাপে দুইবার হ্যাট্রিক করার রেকর্ড তিনিই প্রথম গড়েন৷
ছবি: AP
ক্লিন্সমান
ক্লিন্সমান জার্মানির তারকা ফুটবলার ও কোচ৷ তিনি ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ পশ্চিম জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন প্রথম ১৯৯০ সালে৷ এরপর ’৯৪ ও ’৯৮-এ খেলেছেন একীভূত জার্মানির হয়ে৷ বিশ্বকাপে তাঁরও মোট গোলসংখ্যা ১১৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O.Berg
হেলমুট রান
পশ্চিম জার্মানির এই কিংবদন্তীর নাম ছিল ‘দ্য বস’৷ ১৯৫৪-র বিশ্বকাপের ফাইনালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি৷ বিশ্বকাপে তাঁর মোট গোলসংখ্যা ১০৷
১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি৷ এরপর ৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ৮০ ম্যাচে গোল করেছেন ৪৮টি৷ ৮৬’র বিশ্বকাপে জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বুট৷ বিশ্বকাপে তাঁর গোলসংখ্যা ১০টি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STAFF
গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা
আর্জেন্টাইন এই গোল মায়েস্ত্রোর গোলগুলোকে বলা হতো ‘বাতিগোল’৷ বিশ্বকাপে তাঁরও গোলসংখ্যা ১০টি৷ ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/Allsport/C. Villa
আরো যাঁরা
বিশ্বকাপে দশ গোল করাদের তালিকায় আরো আছেন পেরুর কুবিলাস, জার্মানির টোমাস ম্যুলার ও পোল্যান্ডের লাটো৷ এর মধ্যে টোমাস ম্যুলার এখনো খেলছেন জার্মানির হয়ে৷ তাই তাঁর সামনে আছে গুরুদের টপকে যাবার সুযোগ৷
ছবি: Reuters/K. Pfaffenbach
11 ছবি1 | 11
তবে বিশ্বকাপের সময় যেন এসব বিষয় এড়ানো যায়, সেই চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ফিফার রেফারিদের প্রধান পিয়েরলুইজি কোলিনা৷
ইউরোপীয় ফুটবলের সংস্থা উয়েফার প্রধান অবশ্য বিশ্বকাপে ভিএআর ব্যবহার নিয়ে ‘উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেছেন, এই প্রযুক্তি এখনও পুরোপুরি পরীক্ষিত নয়৷ তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগামী মরসুমেও এটি ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি৷ অবশ্য ফুটবল খেলায় ভিএআর ব্যবহারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
যে ৩২টি দল থাকছে ২০১৮ বিশ্বকাপে
ইটালি, নেদারল্যান্ডস, চিলি, যুক্তরাষ্ট্র, ঘানার মতো দেশ বাছাইপর্ব পেরোতে না পারলেও ৩২টি দেশ কিন্তু ঠিকই পেয়ে গেছে ২০১৮ বিশ্বকাপের টিকিট৷ চলুন দেখে নেয়া যাক, কোন ৩২টি দেশ থাকছে রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপে...
ছবি: Getty Images/AFP/M.Rojo
স্বাগতিক রাশিয়া
আসরের আয়োজক হওয়ার সুবাদে সরাসরিই চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে রাশিয়া৷ এ নিয়ে একাদশ বার বিশ্বকাপে খেলছে রাশিয়া৷ স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা নিয়ে তারা এবার কতদূর যেতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/S. Fadeichev
ব্রাজিল
ব্রাজিলের আসলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকে বাদ পড়ার কোনো নজিরই নেই৷ এ পর্যন্ত ২১ বার বাছাই পর্ব খেলেছে, প্রত্যেকবারই চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে গেছে সাম্বা ফুটবলের দেশটি৷ সেই ইতিহাস এবারও অটুট৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকা অঞ্চলে নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েই রাশিয়ার টিকিট কেটেছে নেইমারের দল৷ সবচেয়ে বেশি পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে একমাত্র ব্রাজিল৷ এবার তাদের সামনে ষষ্ঠ সাফল্যের সুযোগ৷
ছবি: Imago/Xinhua
স্পেন
২০১০ সালের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন পরের আসরে কিন্তু বিদায় নিয়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকেই৷ সেই হতাশা দূর করতে এবার এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বাছাইপর্ব পেরিয়েছে ২০০৮ এবং ২০১২ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নেরা৷
ছবি: Getty Images/D. Doyle
ফ্রান্স
জার্মানির কোচ ইওয়াখিম ল্যোভের মতে, এবারের আসরের অন্যতম ফেবারিট ফ্রান্স৷ ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা ‘গ্রুপ এ’ থেকে সহজেই উঠে এসেছে চূড়ান্ত পর্বে৷ গ্রুপটা কিন্তু সহজ ছিল না৷ মনে রাখতে হবে, এই গ্রুপ থেকেই বাছাই পর্ব পেরোতে ব্যর্থ হয়েছে নেদারল্যান্ডস!
ছবি: picture alliance/AP Photo/M. Euler
পর্তুগাল
বয়স ৩২৷ ফলে রাশিয়াতেই হয়ত নিজের বিশ্বকাপটি খেলতে যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ তাঁর নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ইউরো জিতেছে পর্তুগাল৷ এবার কি বিশ্বকাপ...?
ছবি: imago/Photosport
আইসল্যান্ড
২০১৬ সালের ইউরো থেকে ইংল্যান্ডকে বিদায় করেছিল তারা৷ এবার বিশ্বকাপে এসে কোন অঘটন ঘটায় কে জানে!
ছবি: picture-alliance/AP/B. Gunnarsson
সার্বিয়া
২১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ডি-র শীর্ষে থেকেই বাছাইপর্ব শেষ করেছে তারা৷ ২০১০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেললেও পরের বাদ আবার বাদ পড়েছিল বাছাইপর্ব থেকেই৷ এবার তাদের সামনে প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখার সুযোগ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/D. Vojinovic
নাইজেরিয়া
গ্রুপ বি থেকে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছিল নাইজেরিয়া৷ পরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে এর আগেও ছয়বার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা সুপার ঈগলরা৷
ছবি: picture alliance/empics/J. Walton
জাপান
এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বে গ্রুপ বি চ্যাম্পিয়ন হয়েই চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে জাপান৷ এটি তাদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ অভিযান৷
ছবি: Getty Images/Kaz Photography
জার্মানি
এই মুহূর্তে জার্মানি ফুটবল বিশ্বকে শাসন করছে বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না৷ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা সর্বশেষ কনফেডারেশনন্স কাপ জিতেছে, আরো জিতেছে অনূর্ধ ২১ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ৷ চারবারের বিশ্বকাপজয়ীরা এবারও কিন্তু ফেবারিট৷
ছবি: imago/ActionPictures
কোস্টারিকা
মধ্য অ্যামেরিকার দেশটি এবার বাছাইপর্ব পেরিয়েছে নাটকীয়ভাবে৷ রাশিয়ার আসরটি হবে তাদের পঞ্চম বিশ্বকাপ৷
ছবি: Imago/Agencia EFE/J. Arguedas
মেক্সিকো
এ নিয়ে মোট ১৬ বার চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পেল মেক্সিকো৷ দাপটের সঙ্গেই এবার কনকাকাফ অঞ্চলের বাছাইপর্ব পেরিয়েছে তারা৷ দেখা যাক, ১৯৭০ এবং ১৯৮৬-র আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা মেক্সিকো এবার আরো উন্নতি দেখাতে পারে কিনা৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Cortez
ইরান
ইরান যখন এশিয়া অঞ্চলের গ্রুপ এ চ্যাম্পিয়ন হলো, তখন শুধু স্বাগতিক রাশিয়া আর ব্রাজিলেরই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হয়েছে৷ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করার পথে একটি রেকর্ডও গড়েছে তারা৷ বাছাই পর্বে টানা ১২ ম্যাচে কোনো গোল খায়নি তারা৷ শেষ ম্যাচে সিরিয়ার সঙ্গে ড্র (২-২) ম্যাচেই শুধু গোল খেয়েছে দলটি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Jung Yeon-Je
ইংল্যান্ড
সেই ১৯৬৬ সালে একবার বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা৷ তারপর থেকে একবারও ফাইনালেই উঠতে পারেনি৷ এবার কি ‘কাগুজে বাঘ’-এর দুর্নাম ঘোচাতে পারবে ইংল্যান্ড?
ছবি: picture alliance/empics/PA Wire/D. Klein
সৌদি আরব
জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়ে এশিয়া অঞ্চল থেকে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করে সৌদি আরব৷ রাশিয়ার আসরটি হবে তাদের পঞ্চম বিশ্বকাপ৷
ছবি: Imago/Kyodo News
দক্ষিণ কোরিয়া
সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বকাপ চূড়ান্ত পর্বে খেলা একেবারে নিয়মিত ঘটনা৷ এবার সহজেই তারা দশমবারের মতো চূড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করেছে৷ ২০০২ সালে স্বাগতিক হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল এশিয়ার এই ফুটবল পরাশক্তি৷
ছবি: picture-alliance/Yonhap
বেলজিয়াম
এডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু লুকাকু, কেভিন ডি ব্রুয়েন এবং ড্রিস ম্যার্টেনসদের নৈপুন্যে ইউরো অঞ্চলের গ্রুপ জি থেকে দু’ম্যাচ হাতে রেখেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করে বেলজিয়াম৷ ২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ‘রেড ডেভিলস’-দের কাছে থেকে এবারও আশাটা একটু বেশি৷
ছবি: Reuters/D. Ruvic
মিশর
আলেকজান্দ্রিয়ায় ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে মো সালা গোল না করলে কঙ্গোর সঙ্গে ২-১-এ ম্যাচ জেতা হতো না, আর তাহলে হয়ত এবার বিশ্বকাপও খেলা হতো না মিশরের৷ ১৯৯০-এর পর এই প্রথম বিশ্বকাপ খেলবে মিশর৷
ছবি: Reuters/A.A. Dalsh
পোল্যান্ড
সবাই জানেন, বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্ডেসলিগা খেলেন পোল্যান্ডের রবার্ট লেভান্ডোস্কি৷ বায়ার্ন তারকা এবারের বিশ্বকাপেরও বড় তারকা৷ ভুলে গেলে চলবে না যে, তিনি ১৬ গোল করে ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাই পর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার কারণেই ১০ বছর পর আবার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছে পোল্যান্ড৷
মেসির হ্যাট্ট্রিকের সুবাদে ইকুয়েডরকে হারিয়ে বাদ পড়তে পড়তেও বাছাইপর্ব পেরিয়েছে আর্জেন্টিনা৷ ম্যাচ জয়ের পর কোচ সাম্পাওলি জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি ছেলেদের বলেছিলাম, মেসির কাছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ পাওনা নয়, বরং ফুটবলের কাছেই বিশ্বকাপটা পাওনা মেসির৷’’ দেখা যাক, কোচের কথা স্মরণ করে মেসিবাহিনী দেশকে তৃতীয় বিশ্বকাপ উপহার দিতে পারে কিনা৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Ruiz
পানামা
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে অল্পের জন্য চূড়ান্ত পর্ব মিস করেছিল তারা৷ তবে এবার সেই যুক্তরাষ্ট্রকে বিদায় করেই প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে উঠে এসেছে পানামা৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Arangua
কলম্বিয়া
২০১৪ বিশ্বকাপে নতুন তারকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা খামেস রডরিগেজকে আবার দেখা যাবে বিশ্বকাপে৷ পেরুর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটি থেকে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে আনা গোলটি এসেছি তাঁর পা থেকেই৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Bouroncle
উরুগুয়ে
ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম আয়োজক এবং প্রথম চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ অ্যামেরিকার এই দেশ৷ এবারের আসরটি তাদের ১৩তম বিশ্বকাপ৷
ছবি: Getty Images/AFP/M.Rojo
টিউনিসিয়া
নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েই এবার পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে টিউনিসিয়া৷
ছবি: Reuters/Z. Souissi
মরক্কো
বাছাইপর্বে এবার কোনো ম্যাচ হারেনি মরক্কো৷ গ্রুপ সেরা হয়ে চূড়ান্ত পর্বে ওঠা আফ্রিকার এই দেশটির লক্ষ্য হবে ১৯৮৬ সালের অর্জনকে ছাড়িয়ে যাওয়া৷ সেবার নকআউট পর্বে উঠেছিল তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Sanogo
সুইজারল্যান্ড
বাছাই পর্বটা সহজ ছিল না তাদের জন্য৷ প্লে অফ খেলতে হয়েছে তাদের৷ সেখানে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে একাদশবারের মতো চূড়ান্ত পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে সুইজারল্যান্ড৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/G. Kefalas
ক্রোয়েশিয়া
তারাও বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে প্লে অফ খেলে৷ সেখানে অবশ্য গ্রিসকে ৪-১ অ্যাগ্রিগেটে হারিয়েছিল তারা৷
ছবি: Reuters/C. Baltas
সেনেগাল
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চূড়ান্ত পর্বে উঠলো সেনেগাল৷ প্রথমবার উঠেছিল ২০০২ সালে৷
ছবি: Reuters/S. Sibeko
সুইডেন
সুইডেন চূড়ান্ত পর্বে এসেছে ইটালিকে বিদায় করে৷ তাদের কারণেই ১৯৫৮-র পর এই প্রথম বিশ্বকাপের বাইরে ইটালি৷ সুইডেনের জন্য এটি দ্বাদশ বিশ্বকাপ চূড়ান্ত পর্ব৷
ছবি: Reuters/M. Rossi
অস্ট্রেলিয়া
১৯৩০ থেকে ২০০২-এর মধ্যে যে দেশটি মাত্র একবার বিশ্বকাপ খেলেছিল, সেই অস্ট্রেলিয়া এবার টানা চতুর্থবারের মতো নিশ্চিত করেছে চূড়ান্ত পর্ব৷ প্লে অফে সিরিয়া এবং হন্ডুরাসকে হারিয়ে এই সম্মান অর্জন করেছে তারা৷
ছবি: Getty Images/M. King
ডেনমার্ক
১৯৮৬, ১৯৯৮, ২০০২ এবং ২০১০ সালের পর আবার চূড়ান্ত পর্বে ডেনমার্ক৷ তবে তাদেরও প্লে অফ খেলেই আসতে হয়েছে৷ সেখানে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম লেগ ০-০ ড্র হলেও, পরের লেগে পাত্তাই পায়নি আইরিশরা, তাদের ৫-১ গোলে উড়িয়ে চূড়ান্ত পর্বে উঠে এসেছে ডেনমার্ক৷
ছবি: picture-alliance/empics/B. Lawless
পেরু
৩৫ বছর পর আবার বিশ্বকাপ চূড়ান্ত পর্বে পেরু৷ প্লে অফে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাছাইপর্ব পেরিয়েছে তারা৷
ছবি: picture-alliance/AP/R. Abd
32 ছবি1 | 32
বন্ধুরা, আসন্ন বিশ্বকাপে াপনার প্রিয় দল কোনটি? জানান নীচের ঘরে৷