1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে রকমারি জুতো

১৮ জুন ২০১৪

যেন ছেলেবেলায় শোনা কোনো খোকাবাবুর ছড়া৷ বিশ্বখ্যাত ধাড়ি ধাড়ি ফুটবলাররা দু'পায়ে দু'রঙের বুট পরে মাঠে নামছেন শুনলে মা-মাসিরা কী বলতেন, ভাবলেও শিহরণ জাগে! কিন্তু আজকে সেটাই যে হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ফ্যাশন'৷

ছবি: Daniel Mueller/Greenpeace

এককালে ফুটবল বুট মানেই ছিল কালো চামড়ার; তলায় বড় বড় স্পাইক, সেগুলো রঙ না করা; ওজন কম করে দেড়-দুই কিলো৷ আজ সেই ফুটবল বুটের ওজন কমে হয়েছে সাতশো গ্রাম; তার আকার কমে মোজার আকার; আর তার রং? রামধনুর সব রং দিয়ে নাইকি, আডিডাস অ্যান্ড কো. চেষ্টা করছে তাদের পণ্যের দিকে হবু গ্রহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার৷ আর উদ্ভিদ কিংবা পক্ষীজগতের ফর্মুলা অনুযায়ী মনোযোগ আকর্ষণ করার শ্রেষ্ঠ উপায় হলো রঙিন হওয়া৷ ফুটবল বুটের বেলাতেই বা তা খাটবে না কেন?

আসলে ফুটবল বুট কথাটাই পুরনো হয়ে গেছে৷ মার্কেটিং, অর্থাৎ পণ্য বাজারস্থ করার সর্বাধুনিক পদ্ধতি অনুযায়ী ফুটবল পাদুকার নাম আজ ফুটবল ফুটওয়্যার৷ জুতোর কোম্পানিই বলুন আর অ্যাথলেটিক কোম্পানিই বলুন, ফ্লুওরেসেন্ট পিংক বা ‘প্রতিপ্রভ' গোলাপি রঙের জুতো ক্রেতার চোখে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি৷ আজকের যুগের ক্রেতাদের পছন্দ-অপছন্দের রহস্যই হলো: যেন-তেন-প্রকারেণ অপরের চোখে পড়া৷ সে হিসেবে ফ্লুরোসেন্ট পিংক খারাপ কি?

মনে রাখবেন, ফুটবলের দুনিয়ায় সব কিছু ফিফা নিয়ন্ত্রিত, আর ফিফার নিয়মকানুনই বলে দিচ্ছে, বিশ্বকাপে ফুটবলের বাকি সব সরঞ্জাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে, শুধু ঐ ফুটওয়্যার ‘‘একই ভাবে একই নির্মাতার দ্বারা নির্মিত'' হওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই৷ যার মানে হলো, জার্সির শর্টস-শার্ট কোনো বিশেষ কোম্পানিকে তৈরি করতে দেওয়া হয়, কিন্তু একক খেলোয়াড়রা তাঁদের ইচ্ছেমতো বুটজোড়া বাছতে ও পরতে পারে৷ কাজেই রোনাল্ডো, নেইমার অথবা মারিও বালোতেল্লির মতো প্লেয়াররা নাইকি, আডিডাস অথবা পুমা-র কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা পান, তাদের বুট পায়ে দেবার জন্য৷

হাল আমলের বুটছবি: Daniel Mueller/Greenpeace

পুমা-র অ্যাডভার্টাইজিং বাজেট অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে কম৷ তাই তাদের মাথায় ‘ট্রিক্স'-এর আইডিয়া আসে: দু'পায়ে দু'রঙের বুট৷ বালোতেল্লি, চেস্ক ফাব্রেগাস কিংবা ইয়াইয়া টুরে-কে এ রকম বাঁ পায়ে নীল, ডান পায়ে গোলাপি বুট পরে দেখা যাবে৷ এর পেছনে আবার মনস্তত্ত্ব আছে৷ পুমা-র বক্তব্য হলো, বেরঙা বুট পরার অর্থ হলো, যিনি পরেছেন, তাঁর আত্মবিশ্বাসের কোনো অভাব নেই, তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন৷ মারিও বালোতেল্লি বলেছেন, প্রথমে তাঁর দু'পায়ে দু'রঙের বুট পরার প্রস্তাবটিকে পাগলামি মনে হলেও, পরে ঠিক সেই কারণেই তিনি পুমা-কে বেছে নিয়েছেন, কেননা পুমা ‘‘অন্যদের থেকে আলাদা হবার সাহস রাখে''৷

অপরদিকে আডিডাসের ফুটবল সংক্রান্ত অভিনব পণ্য বিভাগের পরিচালক আন্টোনিও জিয়া-র মন্তব্য: ‘‘বিশ্বকাপ একটা বিরাট ফ্যাশন শো৷''

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ