বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা
৩০ মার্চ ২০১৪আইন অনুযায়ী, ব্রাজিলের সেনাবাহিনী কেবল সীমান্তের কাছে কোন সন্দেহভাজন বিমান দেখলে সেটাকে গুলি করে ভূপাতিত করতে পারে৷ তবে কোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সেটা করা যাবে না৷
এয়ারফোর্স ব্রিগেডিয়ার আন্তোনিও কার্লোস এজিতো জানান, ব্রাজিলের আকাশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই গুলি করা আইন পরিবর্তনের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী৷ ১২ই জুন থেকে ১৩ই জুলাই পর্যন্ত বিশ্বকাপে মোট ৬৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ব্রাজিলের ১২টি স্টেডিয়ামে৷ এজিতো বলেন, একইসময় স্টেডিয়ামের আশেপাশে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট বন্দুক মোতায়েন থাকবে, তবে এগুলো নো-ফ্লাই জোনে চলাচলকারী কোন বিমানে গুলি করবে না৷
নিরাপত্তার খাতিরে স্টেডিয়ামের ৭.২ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব বিমানবন্দর রয়েছে, সেখানে বাণিজ্যিক বিমান অবতরণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে দিয়েছে এয়ার ফোর্স অ্যান্ড সিভিলিয়ান এভিয়েশন রেগুলেটর এএনএসি৷ এই নিষেধাজ্ঞা ম্যাচ শুরুর এক ঘণ্টা আগে থেকে ম্যাচ শেষ হওয়া ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বহাল থাকবে৷ তবে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলো এর আওতামুক্ত থাকবে৷ বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা থাকবে রিও ডি জানেইরোর অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর সান্তোস ডুমন্টে৷ তবে এর ফলে বিপাকে পড়বেন ম্যাচের দর্শকরা, যারা এরই মধ্যে ঐ বিমানবন্দরে অবতরণকারী বিমানগুলোর ৩,০০০ আসন সংরক্ষণ করেছেন৷ ঐ বিমানগুলো বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে এএনসি৷
বিশ্বকাপ চলাকালীন বিশ্বের অন্তত ৬ লাখ ফুটবল ভক্ত ব্রাজিলে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ এছাড়া অন্তত ৩০ লাখ ব্রাজিলিয়ান এক শহর থেকে অন্য শহরে ম্যাচ দেখতে যাবেন৷
এদিকে, ব্রাজিলে এরই মধ্যে প্রচুর পর্যটক যেতে শুরু করেছে৷ ফলে বেড়েছে বিমানের সংখ্যা৷ ভিড় বেড়েছে বিমানবন্দরে৷ ল্যাটিন অ্যামেরিকার সর্ববৃহৎ এয়ারলাইন্সগুলি হুশিয়ার করে দিয়েছে, এর ভিড়ের কারণে কিছু দর্শক ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন৷
লাটাম এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী এনরিক সুয়েতো বলেছেন, ‘‘আমি জানি না বিশ্বকাপে কে জিতবে, তবে এটা বলতে পারি বিশ্বকাপে হারবে আমাদের এয়ারলাইন্স৷'' বিমানবন্দরে অতিরিক্ত বিমানের কারণে অনেক বিমানকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে অবতরণের জন্য৷ কোনো কোনো বিমান ৩০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে অন্য শহরে অবতরণ করতে বাধ্য হচ্ছে৷
এপিবি/এসবি (রয়টার্স)