জার্মানিতে অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটছে। অধিকাংশ পাবই কাতার বিশ্বকাপের কোনো খেলা জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখাচ্ছে না। তারা বয়কটওয়ার্ল্ডকাপ-এ সামিল।
বিজ্ঞাপন
গত ২৭ বছর ধরে কোলনের পাব লোট্টো প্রায় সব উল্লেখযোগ্য ফুটবল-মুহূর্তের সাক্ষী। এফ সি কোলন গোল দিলেই আনন্দে ফেটে পড়েছে লোট্টো। জার্মানি বিশ্বকাপে খেললে বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকলেই ফুটবলপ্রেমীরা ভিড় জমিয়েছেন এখানে। নদীর স্রোতের মতো বয়েছে বিয়ার। বিয়ার মাগে চুমুক দিয়ে ফুটবল দেখার আনন্দে মেতেছেন সমর্থক ও ফুটবলপ্রেমীরা। প্রিয় ক্লাব বা দেশ জিতলে একেবারে অজানা মানুষরা কোলাকুলি করেছেন আনন্দে।
ফুটবল ম্যাচ ঘিরে এই উত্তেজনা, আবেগ, আনন্দের বিস্ফোরণ ও অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণের জন্যই বিখ্যাত লোট্টো। অবিশ্বাস্য মনে হলেও লোট্টোতে এবার কাতার বিশ্বকাপ দেখানো হচ্ছে না। ফিফার স্টিকার লাগানো সব বিয়ারের বোতল সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কাতারে বিশ্বকাপের ম্যাচ যখন চলবে, তখন এই বিখ্যাত পাবে কুইজ হবে, আলোচনার আসর বসবে, ডিজিটাল গেমসে ডুবে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। কিন্তু বিশ্বকাপের কোনো জায়গা এবার লোট্টোতে নেই। কারণ, বিশ্বকাপ বয়কট করে লোট্টো প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ফিফার বিরুদ্ধে, কাতারের বিরুদ্ধে। আর এই প্রতিবাদ ভাইরাল হয়েছে।
কাতারের স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটা, বাংলাদেশ সময়ে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের নির্মিত আল বাইৎ স্টেডিয়ামে৷
ছবি: AMR ABDALLAH DALSH/REUTERS
মাসকট
এটি এবারের বিশ্বকাপের অফিশিয়াল মাসকট৷ নাম লাইব৷ উদ্বোধনে আগের বিশ্বকাপের মাসকটগুলোও তুলে ধরা হয় স্টেডিয়ামে৷
ছবি: KAI PFAFFENBACH/REUTERS
দর্শকের অপেক্ষা
উদ্বোধন দেখতে ৬০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়৷ ছবিতে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অপেক্ষায় দর্শকরা৷
ছবি: CARL RECINE/REUTERS
নাচে মঞ্চ মাতালেন শিল্পীরা
শুরুর দিকেই ছিল এমন দলীয় নৃত্যের পরিবেশনা৷ এমন সংযত, চমৎকার নৃত্যশৈলী দেখে অভিভূত হয়েছেন দর্শকরাও।
ছবি: KAI PFAFFENBACH/REUTERS
কাতারের জীবনযাত্রা
মরুভূমির উট আর কাতারের জীবনযাত্রার মঞ্চায়ন ছিল মাঠে৷
ছবি: DYLAN MARTINEZ/REUTERS
ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি
এক পর্যায়ে তলোয়ার হাতে পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী নাচও দেখা যায়৷
ছবি: FABRIZIO BENSCH/REUTERS
মর্গান ফ্রিম্যানের উপস্থাপনা
উদ্বোধন জুড়ে উপস্থাপনায় ছিলেন হলিউড তারকা মর্গান ফ্রিম্যান৷ তার সঙ্গে ছিলেন ফিফা বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর সোশ্যাল মিডিয়া তারকা ঘানিম আল মুফতাহ৷
ছবি: MOLLY DARLINGTON/REUTERS
থিম সং
দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্যান্ড বিটিএস-এর গায়ক জুংকুক ও কাতারের শিল্পী ফাহাদ আল-কুবাইসি পরিবেশন করেন টুর্নামেন্টের অফিশিয়াল সংগীত ড্রিমার্স৷
ছবি: PAWEL KOPCZYNSKI/REUTERS
কাতারের আমির
কাতারের সাবেক আমির শেইখ হামাদ বিন খালিফা আল থানি কাতারের জার্সিতে স্বাক্ষর করেন৷ এসময় তার পাশে হাততালি দিচ্ছেন বর্তমান আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি৷ ছিলেন জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাও৷
ছবি: MANAN VATSYAYANA/AFP
খেলার অপেক্ষা
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু উদ্বোধনী ম্যাচ৷ খেলোয়াড়াদের উৎসাহ যোগাতে কাতারের দুই দর্শক৷
ছবি: Frank Hoermann/SvenSimon/picture alliance
10 ছবি1 | 10
বয়কটের সিদ্ধান্ত
লোট্টো একা নয়, জার্মানির অনেক পাবই কাতার বিশ্বকাপ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে টিভি বা বিশাল স্ক্রিনে বিশ্বকাপ দেখা যাবে না। তার ফলে ব্যবসা মার খেতে পারে। কিন্তু সেই ঝুঁকি নিয়েই বয়কটের সিদ্ধান্তে সামিল হয়েছে তারা।
লোট্টোর এক মালিক পিচার জিমারম্যান ফুটবল বলতে পাগল। এফসি কোলনের সিজন টিকিট আছে তার। ডিডাব্লিউকে জিমারম্যান বলেছেন, ''আমরা একটা উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। ফিফা এখন অর্থ ছাড়া আর কিছু বোঝে না। আমরা ফিফার দুর্নীতির প্রতিবাদ করছি। কাতারের মানবাধিকার লংঘন, নারীদের দমন, সমকামীদের প্রতি বিভেদ ও অত্যন্ত খারাপ কাজের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।''
তিনি বলেছেন, ''গত এপ্রিলে আমরা প্রথম বয়কটের ডাক দিই। তখন আমরা সংখ্যালঘু ছিলাম। যত সময় এগিয়েছে, ততই আমরা মানুষের সমর্থন পেয়েছি।''
এখন তো এই প্রতিবাদের ডাক এতটাই ভাইরাল হয়েছে যে, জাপানের একটি টিভি দল কোলনে এসেছে এই প্রতিবাদের ছবি তুলে ধরতে।
জীবনে এই প্রথমবার জিমারম্যান বিশ্বকাপের সূচি জানেন না। বিশ্বকাপের কোনো খবর রাখছেন না।
বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা কার, কতখানি?
খেলাধুলার তথ্য বিশ্লেষণকারী সংস্থা স্ট্যাটস পারফর্ম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিশ্বকাপে কোন দলের জেতার সম্ভাবনা কতখানি তা জানিয়েছে৷ ভবিষ্যদ্বাণী করতে বাজির দর ও দলগুলোর অতীত ও বর্তমান পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়েছে৷
এটি খেলাধুলার তথ্য বিশ্লেষণকারী একটি সংস্থা৷ স্প্যানিশ ফুটবল লিগ লা লিগা, প্রচারমাধ্যম ইএসপিএন, সংবাদ সংস্থা রয়টার্সসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম খেলার পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ তুলে ধরতে স্ট্যাটস পারফর্মের তথ্য ব্যবহার করে৷
বিশ্বকাপ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কয়েকটি বেটিং কোম্পানির বাজির দর ও স্ট্যাটস পারফর্মের নিজস্ব টিম ব়্যাংকিংয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে কাতার বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা কার কতখানি, তা জানার চেষ্টা করা হয়েছে৷ এছাড়া প্রতি ম্যাচের সম্ভাব্য ফলাফল বিবেচনা করে কে, কোন স্থান অর্জন করে নকআউট পর্যায়ে যেতে পারে এবং সেখানে কে, কার বিরুদ্ধে খেলতে পারে সেই সব বিবেচনা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে৷
পাঁচবারের (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২) বিশ্ব সেরা ব্রাজিল এবার ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে বলে স্ট্যাটস পারফর্মের ভবিষ্যদ্বাণী বলছে৷ ফিফা ব়্যাংকিংয়েও এক নম্বরে আছে নেইমাররা৷ স্ট্যাটস পারফর্ম বলছে, সেলেসাওদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা ১৫.৮ শতাংশ৷
ছবি: Isabella Bonotto/AFP
এরপরেই আছে আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার সমর্থক ছাড়াও এবার আরও অনেকে ফুটবলের বিস্ময় মেসির হাতে শিরোপা দেখতে চাইছেন৷ ভবিষ্যদ্বাণী বলছে তাদের সেই সম্ভাবনা ১২.৬ শতাংশ, সে হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনার তালিকায় ব্রাজিলের পরেই আছে দুবারের (১৯৭৮ ও ১৯৮৬) জয়ী আর্জেন্টিনা৷ ফিফা ব়্যাংকিংয়ে দলটি আছে তিন নম্বরে৷ এছাড়া টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত আছে আলবিসেলেস্তেরা৷
ছবি: Odd Andersen/AFP
তিনে ফ্রান্স
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সে এবারও তারকার অভাব নেই৷ এমবাপ্পে ছাড়াও আছেন সদ্য ব্যালন ডি আর জয়ী বেনজেমা৷ লিওনেল মেসিও ফ্রান্সকে বিশ্বকাপের ফেভারিট বলেছেন৷ তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশ্লেষণ জানাচ্ছে, ফিফা ব়্যাংকিংয়ে চার নম্বরে থাকা ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা ১২.২ শতাংশ৷ ১৯৯৮ সালেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স৷
ছবি: Bertrand Guay/AFP
স্পেন চারে
২০১০ সালে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন৷ স্ট্যাটস পারফর্ম বলছে, এবার তাদের সেরা হওয়ার সম্ভাবনা ৯.১ শতাংশ৷ কারণ কোচ লুইস এনরিকে ও অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটসের দলে আছে গাভি, তোরেস, মোরাতা, কারভাহালের মতো ফুটবলার৷
ছবি: Paul White/AP Photo/picture alliance
পাঁচে ইংল্যান্ড
১৯৬৬ সালের পর থেকে ‘ফুটবলের ঘরে ফেরার’ অপেক্ষায় আছেন ইংলিশ সমর্থকরা৷ গত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিল থ্রি লায়নসরা৷ এবার দলে আছেন হ্যারি কেন, রহিম স্টারলিং, ফিল ফোডেনের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বড় দলে খেলা সব ফুটবলার৷ তাই আবারও আশায় বুক বাঁধছেন সমর্থকরা৷
ছবি: Martin Rickett/PA Wire/picture alliance
জার্মানি ছয়ে
ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ ও ২০১৪) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জার্মানি৷ তবে এবার ফেভারিটের তালিকায় নেই হানসি ফ্লিকের দল৷ গত বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড পেরোতে পারেনি জার্মানি৷ ইউরো ২০২০-এ শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল ‘ডি মানশাফট’৷ ফিফা ব়্যাংকিংয়েও দশের মধ্যে নেই জার্মানি৷
ছবি: Markus Ulmer/ULMER/IMAGO
সাতে নেদারল্যান্ডস
১৯৭৪, ১৯৭৮ ও ২০১০ সালে ফাইনালে উঠেছিল নেদারল্যান্ডস৷ তবে একবারও কাপ হাতে নিতে পারেনি৷ এবার কি সেই স্বপ্ন পূরণ হবে লুই ফান খালের দলের?
ছবি: Olaf Kraak/AFP
পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক
স্ট্যাটস পারফর্মের ভবিষ্যদ্বাণীর তালিকায় আট, নয় ও দশ নম্বরে আছে পর্তুগাল, বেলজিয়াম ও ডেনমার্ক৷ তারা একবারও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি৷ রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন জেনারেশন’ নিয়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠতে পেরেছিল বেলজিয়াম৷ তবে তাদের সামর্থ্য ক্রমশ কমে যাওয়ায় ফিফা ব়্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন এবারও অধরা থেকে যেতে পারে ক্যাভিন ডি ব্রোইনেদের৷
ছবি: PhotoNews/Panoramic/IMAGO
10 ছবি1 | 10
উৎসাহ কম
জার্মানিতে এবার কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে উৎসাহ কম। ইন্টারস্পোর্টস, স্পোর্টস ২০০০-এর মতো দোকান, যারা এই সময় ঢালাও জার্সি বিক্রি করে, তারা জানিয়েছে, গত বিশ্বকাপের তুলনায় এবার জার্সি ৫০ শতাংশ কম বিক্রি হয়েছে। জার্মানির মানুষ গাড়িতে ফুটবল বা দেশের পতাকার স্টিকারও বেশি লাগাচ্ছেন না।
শীতের সময় বলে খোলা জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা হয়নি। একটি সমীক্ষা বলছে, জার্মানির অর্ধেক মানুষই বিশ্বকাপকে উপেক্ষা করছেন।
লোট্টোর সমালোচনা
তবে সামাজিক মাধ্যমে লোট্টোর সমালোচনাও হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কাতার থেকে আসা গ্যাসে লোট্টো পাব গরম রাখছে, আবার কাতারের সমালোচনা করে বিশ্বকাপের খেলা দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে। এটা দু-মুখো নীতি।
তবে এসব কথায় কান দিচ্ছেন না জিমারম্যান। তিনি বলছেন, লোট্টোকে ফিফা-ফ্রি জোন করে তিনি কোনো ভুল করেননি। তিনি জানেন, এর ফলে ব্যবসা কিছুটা হলেও কমবে। তিনি সেই ক্ষতিটা স্বীকার করে নিতে প্রস্তুত।
বিশ্বকাপ ২০২২ : যে তরুণরা মুগ্ধ করতে পারেন
বিশ্বকাপে নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স তরুণ ফুটবলারদের ক্যারিয়ারে গতি এনে দিতে পারে৷ কাতার বিশ্বকাপে যেসব তরুণ ফুটবলার বিশ্ব মাতাতে পারেন তাদের তথ্য থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Laci Perenyi/imago images
মুসিয়ালা, ১৯ (জার্মানি)
চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির নতুন মুখ হয়ে উঠেছেন মুসিয়ালা৷ বয়স কম হলেও বায়ার্ন মিউনিখ তারকা মুসিয়ালাকে কাতার বিশ্বকাপে জার্মানির হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখা যেতে পারে৷ ছয় ফুট লম্বা মুসিয়ালা একজন ড্রিবলার, স্কোরার ও অ্যাসিস্ট হিসেবে ইতিমধ্যে দারুণ ক্যারিশমা দেখিয়েছেন৷
ছবি: Robin Rudel/Sportfoto Rudel/IMAGO
গাভি, ১৮ (স্পেন)
স্পেনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ফুটবলার তিনি৷ বার্সেলোনার গাভিকে স্প্যানিশ গ্রেট ইনিয়েস্তা ও জাভির সঙ্গে তুলনা করা হয়৷ ইতিমধ্যে দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি৷
ছবি: Mutsu Kawamori/AFLOSPORT/IMAGO
বুকাইয়ো সাকা, ২১ (ইংল্যান্ড)
ইউরো ২০২০-এ প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি৷ ফাইনালে ইটালির বিপক্ষে তাকে পেনাল্টি নিতে দেয়া হয়েছিল৷ তবে গোল করতে না পারায় বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন সাকা৷ এখন আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন এই আর্সেনাল তারকা৷
ছবি: Micah Crook/PPAUK/Shutterstock/IMAGO
টাকেফুসা কুবু, ২১ (জাপান)
তাকে ‘জাপানের মেসি’ বলে ডাকা হয়৷ যদিও সামর্থ্য অনুযায়ী এখনও পর্যাপ্ত গোল করতে পারেননি, তবে বিশ্বকাপে স্পেন, জার্মানি ও কস্টারিকার গ্রুপ থেকে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে জাপানকে কুবুর সহায়তা পেতে হবে৷
ছবি: AFLOSPORT/IMAGO
এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, ২০ (ফ্রান্স)
অ্যাঙ্গোলার শরণার্থী শিবিরে কঙ্গোর মা-বাবার ঘরে জন্মেছিলেন তিনি৷ দুই বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ফ্রান্সে পাড়ি জমিয়েছিলেন৷ ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা রেয়াল মাদ্রিদ দলে ছিলেন এই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার৷
ছবি: Dejan Obretkovic/Gonzales Photo/IMAGO
রদ্রিগো, ২১ (ব্রাজিল)
ব্রাজিল দলে সুযোগ পেলেন তিনি৷ দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সামর্থ্য আছে রেয়াল মাদ্রিদের এই খেলোয়াড়ের৷
ছবি: Dave Winter/Shutterstock/IMAGO
জোভান্নি রেইনা, ২০ (যুক্তরাষ্ট্র)
বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম তারকা হালান্ড (তার দেশ নরওয়ে বিশ্বকাপে খেলছে না) ডর্টমুন্ডে তার সাবেক সহকর্মী রেইনাকে ‘অ্যামেরিকান ড্রিম’ বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ সত্যিই যদি তিনি ফিট থাকেন (প্রায়ই তিনি আহত থাকেন) তাহলে এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন৷
ছবি: John Dorton/ZUMA Wire/IMAGO
আনিস বেন স্লিমান, ২১ (টিউনিশিয়া)
তরুণ এই মিডফিল্ডার ডেনমার্কের যুব দলের হয়ে খেলেছেন৷ ২০১৯ থেকে তিনি টিউনিশিয়ার জাতীয় দলে খেলছেন৷ ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্কের গ্রুপে থাকা টিউনিশিয়া প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে পৌঁছার স্বপ্ন দেখছে৷ সেই স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন স্লিমান৷
ছবি: Federico Pestellini/Panoramic/IMAGO
8 ছবি1 | 8
শুরু যেখান থেকে
দুই বছর আগে ডিটিশ শুলজ-মামেলিং বয়কটকাতার২০২২ আন্দোলন শুরু করেন। এই নিয়ে তিনি একটি বইও লিখে ফেলেছেন। কেন কাতারে বিশ্বকাপ হওয়া উচিত নয়, বইটা তা নিয়েই লেখা।
তিনি বলেছেন, ''আমি তো সাধারণ মানুষের, ফুটবলপ্রেমীদের প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। রাশিয়ার বিশ্বকাপ নিয়েও প্রতিবাদ হয়েছিল। কিন্তু তখন মানুষ ভেবেছিলেন, আর যাই হোক রাশিয়া বড় দেশ। তারা বিশ্বকাপের আয়োজন করছে, ঠিক আছে। কিন্তু সাড়ে তিন লাখ মানুষের দেশ কাতার বিশ্বকাপের আয়োজন করছে, এটা তো অযৌক্তিক ব্যাপার।''
তারা ফিফা ও কাতারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছেন। ফিফার নামাঙ্কিত কোনো জিনস না কেনা, কাতারে না যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন। কিন্তু জার্মানি যদি ভালো খেলে তখন কী হবে? অধিকাংশ মানুষ যদি টিভিতে খেলা দেখেন তো কী হবে? ওই প্রতিবাদী মানুষের দাবি, তারা একটা আন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছেন, প্রতিবাদ করতে চেয়েছেন, কিন্তু তারা সব মানুষের খেলা দেখা বন্ধ করতে পারবেন না, সেটা জানেন। তবে মানবাধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে, সেটাই তাদের বড় পাওয়া।