1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ববরেণ্য হয়ে উঠেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল

ক্রিস্টফ স্ট্রাক/এসি৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

এ যেন ‘ম্যার্কেল ম্যাজিক’! সে কারণে লন্ডনের টাইমস পত্রিকা তাঁকে ‘‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার’’ আখ্যা দিয়েছে৷ আর মার্কিন টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে ফেলেছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায়৷

EU-Gipfel in Brüssel 18.12.2014 Merkel
ছবি: AFP/Getty Images/T. Charlier

ম্যার্কেল এক ব্যতিক্রমী চরিত্র৷ ইতিমধ্যে জার্মানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিকদের তালিকায় ম্যার্কেলের নাম সবার ওপরে না থাকলেই আশ্চর্য৷ তাঁর নিজের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল বা সিডিইউ-তে তাঁর প্রতিপত্তি এমনই অবিসংবাদী যে, ম্যার্কেলকে ‘নৃপতি' মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তাঁর মান-সম্মান বেড়েই চলেছে৷ ইউরো-নিন্দুক ব্রিটেনের টাইমস পত্রিকা এই জার্মান চ্যান্সেলরকে বিদায়ী বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন করেছে, যদিও ম্যার্কেল ইউরোপীয় ইউনিয়নে পুরোপুরি বিশ্বাসী৷

২০১৪ সালে ম্যার্কেল স্বদেশেও ছিলেন একটি ‘বৃহৎ জোটের' নেত্রী: এই জোট গঠন করতে অথবা কাজ চালাতে তাঁকে খুব বেশি বাক্যব্যয় করতে হয়নি৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁকে একটি নতুন ভূমিকা নিতে হয়েছে ইউক্রেন সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে৷ পশ্চিমা বিশ্ব – বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর কোনো নেতা এভাবে নিয়মিত টেলিফোনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন না৷

ক্রিস্টফ স্ট্রাকছবি: DW

ইউক্রেন সংক্রান্ত অনেক শীর্ষবৈঠকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-ও উপস্থিত থাকেন, তবে তার ফলে ম্যার্কেল কিংবা তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইমায়ারের গুরুত্ব কমে যায় না, বরং ইউরোপীয় হিসেবে ম্যার্কেল তাঁর সহযোগীদের পাশেই রাখতে চান৷ ন'বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকার পর তিনি এখন জি-সেভেন নেতৃবর্গের মধ্যে কর্মকালের বিচারে প্রবীণতম৷ জি-সেভেন নেতৃবর্গের মধ্যে তিনিই রুশ চিন্তাধারা এবং আবেগ-অনুভূতিকে সবচেয়ে ভালোভাবে বোঝেন৷

রাজনীতি থেকে কূটনীতি

ঠিক সেই কারণেই ম্যার্কেলের দৃঢ় বিশ্বাস যে, ইউরোপ শেষমেষ একমত হবে৷ ইউক্রেন সংকট যে রাজনৈতিকভাবে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা কেউ জানে না৷ এমনও হতে পারে যে, ২০১৪ সালে ম্যার্কেলের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট' তার ছ'বছর আগের আর্থিক সংকটকালীন কূটনীতিকেও ছাড়িয়ে যাবে৷ আর্থিক সংকটের ক্ষেত্রে ম্যার্কেল ছিলেন এক আর্থিকভাবে শক্তিশালী জার্মানির প্রবক্তা৷ আজ তিনি ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের সপক্ষে৷ ২০১৪ সাল দেখিয়েছে যে, ম্যার্কেলের কূটনীতিকসুলভ সব গুণ আছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে – ব্রাসেলস কিংবা নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে – কোনো বড় দায়িত্ব নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট৷

স্বদেশে

স্বদেশেও ম্যার্কেলের রাজনৈতিক দক্ষতার প্রমাণ ছড়িয়ে আছে: কোনোরকম সরকারি ঋণ ছাড়া ফেডারাল বাজেট; কর্মসংস্থান, শক্তিশালী অর্থনীতি৷ তাঁর নিজের দলে কখনো-সখনো ম্যার্কেল-বিরোধী সুর শোনা গেলেও, ডিসেম্বরের সূচনায় কোলোন শহরে খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের সম্মেলনে ম্যার্কেল দশ মিনিট ধরে হাততালি পেয়েছেন৷

তবে সামগ্রিকভাবে জার্মানিতে সিডিইউ দলের প্রতিপত্তি কিছুটা দুর্বল হচ্ছে – ফেডারাল পর্যায়ে না হলেও, রাজ্যগুলোতে কিংবা বড় শহরগুলোতে৷ এবং কোনো বা কোনো সময় তার দায় এসে পড়বে দলের সভাপতির উপর৷ ২০১৫ সালে বিশেষ কিছু না ঘটলেও, ২০১৬ সালে পাঁচটি ফেডারাল রাজ্যে নির্বাচন, এবং সাধারণ নির্বাচনের আগে আরো তিনটি৷ ম্যার্কেলের দলীয় সতীর্থরা তাঁর উপরেই বাজি ধরছেন – তবে ‘‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলাদের একজন'' হিসেবেও ম্যার্কেলকে শেষমেষ সাধারণ ভোটদাতাদের উপরই নির্ভর করতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ