1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি তৎপরতা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে জঙ্গি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে৷ বিশ্লেষকদের মতে, এক শ্রেণির শিক্ষকের মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে উগ্রপন্থা ছড়িয়ে পড়ছে৷ শিক্ষাবিদরা বলছেন জঙ্গি মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা৷

Bangladesch Angriff auf Moschee in Dhaka
ছবি: picture-alliance/AP Photo

[No title]

This browser does not support the audio element.

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে রবিবার৷ উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘এদের মধ্যে ছয়জনকে বহিষ্কার করা হয় জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে৷'' জানা গেছে, তারা নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের (বানানভেদে হিযবুত তাহরির) সঙ্গে যুক্ত এবং সকলেই ‘বিজনেস ফ্যাকাল্টির' ছাত্র ছিল৷

হিযবুত তাহরীরের প্রধান মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়ের আইবিএ-র শিক্ষক ছিলেন৷ ২০১০ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও, পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ গোলাম মাওলা হিজবুত তাহরীর বাংলাদেশের সমন্বয়ক৷ তিনিও গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে ছাড়া পান৷

[No title]

This browser does not support the audio element.

২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যায় গ্রেপ্তার হয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) পাঁচজন ছাত্র৷ তারা হলো – ফয়সাল বিন নাইম দীপ, মাকসুদল হাসান অনিক, এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম শিকদার ইরাদ ও নাফিস ইমতিয়াজ৷ পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়৷ এরা সকলেই আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য৷

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ছাত্র মোহাম্মদ নুরউদ্দনি এবং আবু বারাকাত মোহাম্মদ রফকিুল হাসানকে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করে পুলিশে দেয়া হয় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে৷ এছাড়া ইকবাল মাহমুদ, তারেক রেজা ও মুফাক্কির ইসলামকে তাদের আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়৷ আর লুৎফর রাহমান নামে একজন ছাত্রকে সতর্ক করে দেয়া হয়৷

গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র নয়ন, ফয়সাল এবং রাসেলকে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়৷ কিন্তু কোনো ঘটনাতেই বহিষ্কারের বাইরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রশীদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রাইভেট এবং পাবলিক দু'ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়কে টার্গেট করেই জঙ্গিরা কাজ করছে৷ এর পিছনে বড় ধরনের বিনিয়োগ আছে জঙ্গিদের৷'' তিনি বলেন, ‘‘এই তৎপরতার নেপথ্যে আছেন কিছু শিক্ষক৷ তারাই ছাত্রদের নানাভাবে জঙ্গি তৎপরতায় উদ্বুদ্ধ করছেন৷''

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, ‘‘এদের চিহ্নিত করে খালি বহিষ্কার করলে চলবে না৷ আইনের আওতায় নিতে হবে৷ নয়ত তৎপরতা কমবে না৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা বহিষ্কার করেছি, এখন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব পুলিশের৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি জঙ্গি মনিটরিং-এর দায়িত্বে আছে৷ তাদের নজরদারির কারণেই আমরা জঙ্গি তৎপরতায় জড়িতদেও চিহ্নিত করতে পেরেছি৷''

তবে তিনি বলেন, ‘‘এই জঙ্গি তৎপরতার সমস্যা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ই একই পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে৷ আমার মনে হয়, মনিটরিং আরো জোরদার করে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন৷''

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কেন জঙ্গি তৎপরতার দিকে ঝুঁকছে? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ