1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি

২ এপ্রিল ২০১২

জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বয়স কমছে, বাড়ছে বিষয়ের বৈচিত্র্য৷ তাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আগেভাগে প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিচ্ছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়৷ এদের সাহায্যে শুরু হয়েছে ‘মেল মেন্টরিং প্লাস’ প্রকল্প৷

Dr. Kornelia Freitag, Professorin für Amerikanistik, hält am Montag (17.10.2011) in einem Hörsaal der Ruhr-Universität in Bochum eine Vorlesung der Amerikanistik. Foto: Fabian Stratenschulte dpa/lnw
জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের দৃশ্যছবি: picture alliance/dpa

ভর্তির বয়স যেমন কমছে, তেমনি পড়াশোনাও আগের চেয়ে হয়ে উঠেছে অনেক জটিল৷ ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি, এখন দেখি কী হয়'' – এই চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ কারণ সেই দিন আর নেই৷ তাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অ্যাপ্লাইড সায়েন্স ইউনিভার্সিটিগুলোও চালু করেছে ‘কেনেনল্যারনেন টাগ'৷ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, ক্লাসরুম, অধ্যাপক, লাইব্রেরি সবকিছুর সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে৷ তবে রুয়র ইউনিভার্সিটি বখুম এগিয়ে গেছে আরো কয়েক ধাপ৷ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিশ্চিতভাবে ভর্তি হচ্ছে, তাদের সবাইকে দেয়া হচ্ছে একজন করে মেন্টর৷ প্রোগ্রামের নাম ‘মেল মেন্টরিং প্লাস'৷ শুধু জার্মানি নয় অন্যান্য দেশ থেকে যেসব বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায়, তাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে ইমেলের মাধ্যমে৷ কী কাজ মেন্টরের? সে কীভাবে সাহায্য করবে?

ফ্রেডেরিকে এবং আনিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে কথা বলছে৷ ‘‘আমাদের সামনে ক্যাম্পাসের ম্যাপ৷ আমরা এই মুহূর্তে এইখানে দাঁড়িয়ে আছি৷ আমরা এখন কোথায় যাবো? আমরা যাবো চিকিৎসাবিদ্যা অনুষদে৷ এখানে ছোট করে এমএ লেখা রয়েছে৷ এখানে রয়েছে ক্লাসরুম, এর কাছেই রয়েছে ল্যাবরেটরি এবং অফিস৷''

রুয়র ইউনিভার্সিটি বখুম'এর ক্যাম্পাস বিশাল এবং সব জায়গায় হেঁটে যেতে হয়৷ প্রথম ঝলকেই ১৭ বছরের আনিকার কাছে তা স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে৷ আগামী বছর সে ভর্তি হবে চিকিৎসাবিদ্যা অনুষদে৷ আনিকা খুবই খুশি এবং আনন্দিত, কারণ তার মেন্টর তাকে সবকিছু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখাচ্ছে৷ প্রয়োজনীয় সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছে৷ ইমেলের মাধ্যমে অনেক প্রশ্ন করেছিল আনিকা৷ সব প্রশ্নের উত্তরসহ আজ সামনা-সামনি ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে ফ্রেডেরিকে৷ ফ্রেডেরিকে বলল,‘‘সামনা-সামনি দেখা হলে অনেক প্রশ্নের উত্তর বেশ সহজেই বুঝিয়ে দেয়া যায়৷ ই-মেলে এত নিঁখুতভাবে সবকিছু বোঝানো সম্ভব নয়৷ আমার মনে হয়, দুই পক্ষের জন্যই এটা এক ধরণের বিশেষ একটি অভিজ্ঞতা৷ ইমেলের জগতের বাইরে একজন মানুষকে সত্যিকার অর্থে চেনার জানার একটি অপূর্ব সুযোগ৷''

রুয়র ইউনিভার্সিটি বখুমছবি: Anna Biel-Glomb

ফ্রেডেরিকে চিকিৎসাবিদ্যার দশম সেমেস্টারে পড়ছে৷ সে পাঁচ জন ছাত্র-ছাত্রীর মেন্টর হিসেবে কাজ করছে৷ ২০০৬ সালে ‘মেল মেন্টরিং প্লাস' প্রোগ্রামটি চালু করা হয়েছে৷ এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মেন্টর হিসেবে ফ্রেডেরিকে কাজ করছে৷ তাই অনেক প্রশ্নের উত্তর সে আগে থেকেই জানে৷ আনিকা যেসব প্রশ্ন করেছে তার বেশির প্রশ্নই সে আগে শুনেছে৷ আনিকা জানাল,‘‘পদার্থবিদ্যার কথাই ধরা যাক৷ ফিজিক্স আমার পছন্দের বিষয় না৷ এটা খুব কঠিন৷ ফিজিক্স ছাড়া আমি এগিয়ে যেতে পারবো তো? তখন আবার শুনি – সব কিছুই কঠিন৷ এর সঙ্গে রয়েছে নুমেরুস ক্লাউসুস৷''

চিকিৎসাবিদ্যা বিষয় নিয়ে যারা পড়তে চায় তাদের জন্য নুমেরুস ক্লাউসুস থাকাটা বাধ্যতামূলক৷ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য স্কুল ফাইনালের রেজাল্ট খুব ভাল হওয়া প্রয়োজন৷ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় একটি ভর্তি পরীক্ষা নেয়৷ সেই পরীক্ষায় পাশ করা জরুরি৷ কারো যদি কাজের অভিজ্ঞতা বা ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে তা ইতিবাচক বলে গণ্য করা হবে৷ এসব কিছু ইতিমধ্যেই আনিকাকে বুঝিয়েছে ফ্রেডেরিকে৷ এখন ফ্রেডেরিকে আনিকাকে দেখাচ্ছে কোথায় ক্লাস হবে, কীভাবে লাইব্রেরি থেকে বই তুলতে হবে৷ ফ্রেডেরিকের ভাষায়, ‘‘আমরা এখন ল্যাবরেটরিতে৷ এখানে আমার পিএইচডির জন্য গবেষণা চালাচ্ছি৷ গবেষণা এখনো চলছে৷ আমি সারাক্ষণই বিভিন্ন ধরণের ডেটা এবং তথ্য সংগ্রহ করছি৷ ঠিক কী নিয়ে আমি গবেষণা করছি? পেশির বিভিন্ন প্রোটিনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আমার গবেষণার মূল বিষয়৷''

চিকিৎসাবিদ্যার খুঁটিনাটি বোঝা সহজ নয় তবে কোন কোন বিষয় আনিকার কাছে পরিষ্কার৷ সে নিজেও মাইক্রোস্কোপের মধ্যে দিয়ে কয়েকটি প্রোটিন সেল দেখল৷ ল্যাবরেটরিতে কাজ করার মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে, জানাল আনিকা৷

‘মেল মেন্টরিং প্রোগ্রাম'এর দায়িত্বে রয়েছেন মাগডালেনা সমারফেল্ড৷ তিনি জানালেন, ‘‘খুব কম সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে যারা মেন্টরের সঙ্গে যোগাযোগের পর সিদ্ধান্ত নেয় – না, এই বিষয়টি আমার জন্য নয়৷ মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পরবর্তীতে তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টায়৷''

তবে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই জানে তারা কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়, ভবিষ্যতে কোন পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করতে চায়৷ রুয়র ইউনিভার্সিটি বোখুম'এ প্রায় ১৫০টি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে প্রায় ৩৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ দূরত্বের কারণে মেল মেন্টরিং -এর সাহায্যে প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে দক্ষিণ অ্যামেরিকা এবং এশিয়ার ছাত্র-ছাত্রীরা৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ