1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকারের ‘ইউ-টার্ন’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থ না নেয়ার সিদ্ধান্তকে সরকারের একটি রাজনৈতিক চাল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ তাঁদের মতে, পদ্মা সেতু যদি নিজস্ব অর্থায়নে শেষ করা না-ও যায়, সরকার মেয়াদ শেষে কাজটা অন্তত শুরু করতে চায়৷

ছবি: AP

পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংককে যে অনুরোধ জানিয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে৷ বিশ্বব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঐ অনুরোধ প্রত্যাহার করা হয়৷

এর একদিন আগে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট স্বচ্ছভাবে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার কার্যকর পদক্ষেপের ব্যাপারে নিশ্চিত না হওয়া র্পযন্ত পদ্মায় অর্থায়ন করা হবে না বলে জানান৷ সেসময় বাংলাদেশ সরকার বলেছিল, জানুয়ারি মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হেলালউদ্দিন আহমদে ডয়চে ভেলেকে বলেন, সরকার তার প্রতিশ্রুতি পূরণে এই বছরে যে কোনোভাবে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে চায়৷ তবে তিনি মনে করেন, অভ্যন্তরীণ উত্স থেকে এই সেতু নির্মাণের জন্য অর্থের যোগান দেয়া যেমন কঠিন, তেমনই বিশ্বব্যাংক না থাকলে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা থাকবে কিনা – তা নিয়ে সংশয় আছে৷ আছে প্রকৌশলগত আশঙ্কাও৷

অধ্যাপক হেলাল মনে করেন, এরপরও সরকার হয়ত র্দুনীতির তদন্ত চালিয়ে যাবে৷ তবে তা আসলে কার্যকর কোনো তদন্ত হবে বলে তাঁর মনে হয় না৷

২৯০ কোটি ডলারের এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল৷ এছাড়া এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং আইডিবি ১৪ কোটি ডলার দেয়ার জন্য চুক্তি করে সরকারের সঙ্গে৷ কিন্তু ক্যানাডীয় কোম্পানি এসএনসি লাভালিনের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চুক্তি স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ