1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাড়ছে ভেজাল ওষুধ

৫ অক্টোবর ২০১৩

বিশ্ববাজারে বাড়ছে জাল বা ভুয়া ওষুধ৷ এ ধরনের ভেজার ওষুধের বাণিজ্য লাভজনক হওয়ায় বেড়েই চলেছে ভেজাল ওষুধের বাজারজাতকরণ৷ সীমান্তে সহযোগিতার মাধ্যমে এই ভয়াবহ বাণিজ্য রোধের প্রচেষ্টা চলছে৷

ছবি: picture-alliance/dpa

ভেজাল ওষুধ, যেটা তৈরি হচ্ছে আর্সেনিকের মতো বিষ দিয়ে৷ শুধু তাই নয়, কখনও কখনও কোনো কোনো ওষুধে উপাদান বলতে থাকে চারকোল আর পানি৷ প্রতি বছর আন্তর্জাতিক অপরাধ সিন্ডিকেট এসব ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে৷

দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ওষুধই বিক্রি হচ্ছে ইন্টারনেটে৷ এগুলো যে কাজ করে না তাই নয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণও হতে পারে এগুলো৷ এই যেমন, প্রতি বছর আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া ও যক্ষার জন্য ভেজাল ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হচ্ছে কমপক্ষে ৭ লাখ মানুষের৷

জার্মানিসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব ওষুধ৷ কোলোন শুল্ক অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষ রুথ হালিটি জানালেন সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে৷ এ বছরের প্রথম ৬ মাসে কোলোন কাস্টমস ১৪ লাখ ভেজাল বড়ি, পাউডার এবং অ্যাম্পুল আটক করেছে, যা গত বছরের চেয়ে ১৫ ভাগ বেশি৷

সন্দেহজনক চালান

হালিটি জানালেন, সন্দেহভাজন পার্সেল বা প্যাকেট নজরে এলে সেগুলো ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য৷ একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতকরণের সাথে জড়িত বলে জানালেন তিনি৷ এক্ষেত্রে লাভের পরিমাণটা ২৫ হাজার ভাগ বেশি৷

জার্মানিসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ওষুধছবি: Laerke Sodring Nielsen

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

ভেজাল ওষুধের বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কের কারণে প্রতিটি দেশের সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেসব দেশের কর্তৃপক্ষ৷ ২০১৩ সালের মাঝামাঝি থেকে যৌথবাহিনী চালানগুলো পরীক্ষা করে দেখেন এবং তল্লাশি চালান৷ এ কয়েক মাসে পুলিশ জাহাজগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি জাল ওষুধ জব্দ করেছে এবং দু'শো জনকে আটক করেছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভেজাল ওষুধ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে৷ ২০১৭ সালের মধ্যে সব ওষুধের প্যাকেটে নিরাপত্তা কোড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা৷ এমনকি অনলাইনেও এমন কোড রাখার চিন্তাভাবনা হচ্ছে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অনলাইনে যেসব ওষুধ বিক্রি হয়, তার প্রায় সবগুলোই ভেজাল৷

কেবল ম্যালেরিয়ার ওষুধই নয়, হৃদরোগ বা রক্তচাপ, এমনকি এইচআইভির চিকিৎসাতেও ব্যবহার হচ্ছে ভেজাল ওষুধ৷ সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝিতে নাইজারে মেনিনজাইটিস রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে যে ওষুধ দেয়া হয়েছিল, সেটা ছিল ভেজাল৷ আর সে কারণে মৃত্যু হয়েছিল আড়াই হাজার মানুষের৷

এপিবি/ডিজি (হাইমো ফিশার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ