বিশ্বব্যাপী হালাল প্রসাধনীর ব্যবসা রমরমা
৭ মে ২০১০বিশ্বব্যাপী দিন দিন বাড়ছে হালাল প্রসাধনীর ব্যবসা৷ বর্তমানে এই সেক্টরে বার্ষিক ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৬০ মিলিয়ন ডলার৷
মালয়েশিয়ার নাগরিক ফামিজা জুলকিফি৷ চার মাসে আগে তিনি প্রথম বাজারে আনেন হালাল সাবান৷ এরপর একে একে আসে প্রায় সব ধরণের হালাল প্রসাধনী৷ এখন তাঁর বার্ষিক টার্ন ওভার ১৬ লক্ষ ডলার৷ ইন্দোনেশিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও ব্রুনাইতে তিনি রপ্তানি করছেন তাঁর পণ্য৷ ভবিষ্যতে ইউরোপের বাজারেও পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি৷ রাতে ব্যবহারের জন্য যে ক্রিম তিনি তৈরি করেন, সেখানে ভেড়ার যে চর্বি ব্যবহ্রত হয় সেই ভেড়া লালন পালন করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়, মুসলমানদের দ্বারা পরিচালিত একটি ফার্মে৷ এমনকি ভেড়াগুলো জবাই করার সময় কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে ইসলামি নিয়ম কানুন৷
এতো গেল এশিয়ার কথা৷ এবার দেখা যাক, ইউরোপে হালাল খাবারের ক্ষেত্রে অবস্থাটা কীরকম৷ ফ্রান্সে এ বছর হালাল খাবারের ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ইউরোতে৷ এই ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন এ তথ্য৷ উল্লেখ্য, ফ্রান্সে প্রায় ৫০ লক্ষ মুসলমান বাস করেন৷
মালয়েশিয়ার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতে, বিশ্বব্যাপী হালাল ব্যবসার পরিমাণ বর্তমানে বছরে প্রায় ৬৩৫ বিলিয়ন ডলার৷ ব্রিটেনে বসবাসকারী হালাল ব্যবসা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আবদালহামিদ ডেভিড ইভান্স বলছেন, আরও অনেক ব্যবসায়ী ধীরে ধীরে হালাল ব্যবসার দিকে ঝুঁকবে৷ কারণ মুসলমানরা ইদানিং নিজেদের পরিচিতির ব্যাপারে বেশ নজর দিচ্ছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক