এমন আইসক্রিমের নাম কখনও শুনেছেন? হ্যাঁ, এমন অদ্ভুত আইসক্রিম তৈরি করে দেখিয়েছেন জার্মানির দারিও ফন্টানেলা৷ প্রণালিটাও বেশ জটিলই৷ পাস্তার মধ্যে ভ্যানিলা আইসক্রিম দিয়ে, তাতে হুইপড ক্রিম মাখিয়ে স্ট্রবেরি সস আর চকোলেট শেভিংসে চুবিয়ে তৈরি হয় এই আইসক্রিম৷ তিন পুরুষ ধরে আইসক্রিম তৈরি করেন ফন্টানেলা৷ আর এই বিশেষ স্পাগেতি আইসক্রিম উদ্ভাবন করেন ১৯৬৯ সালে৷

মাটিয়াস মুনৎসের এই পার্লারের নাম জার্মানির মিউনিখ ছাড়িয়ে বহুদূর ছড়িয়েছে৷ আর ছড়াবে নাই বা কেন? তার পার্লারের নামই তো ‘পাগলাটে আইস ক্রিম প্রস্তুতকারক’৷ তার অদ্ভুত সব ফ্লেভারের মধ্যে রয়েছে তালের কেক ও সেদ্ধ ডিম৷ সসেজ এমনকি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়ে বানানো আইসক্রিমও আছে তার ভাণ্ডারে৷

বাচ্চাদের হাতে আইসক্রিম যেনো একটু দ্রুতই গলে যায়৷ আর বাচ্চারাও শুধু ঠোঁট নয়, পারলে পুরো মুখ দিয়ে আইসক্রিম খায়৷ ফলে বাবা-মাকেও সবসময় রুমালটাকে হাতের কাছেই রাখতে হয়৷ জার্মানিতে অবশ্য শুধু বাচ্চা না, বড়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় কোন আইসক্রিম৷ গরম বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে রাস্তায় কোন হাতে হেঁটে যাওয়া জার্মানের সংখ্যাও৷

ডোলোমিতি এক ধরনের ফল আইসক্রিম৷ ইতালির পতাকার রঙে রাঙানো এই আইসক্রিম ২০১৫ সালে পালন করলো ৮০তম জন্মদিন৷ জার্মান পপ তারকা হাইনো তার সুপার হিট গান ‘লাইক আইস ইন দ্য সানশাইন’ এই আইসক্রিমের প্রস্তুতকারক ল্যাংনিজকে নিয়ে লিখেছেন৷ ডোলোমিতির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শোলারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল জুন মাসে৷

শুধু আপনিই আইসক্রিম খাবেন, আর আপনার পোষা কুকুরটি চেয়ে চেয়ে দেখবে? সারা দিন এতো আদর যত্ন করে এসে শেষ বেলা আইসক্রিম খাওয়ার সময় এই বঞ্চনা কি মেনে নেয়া যায়? না৷ জার্মানরা তাদের পোষা প্রাণিটিকেও এই স্বর্গীয় স্বাদ থেকে বঞ্চিত করতে চায় না৷

বরফেই জন্ম, এজন্য মেরু ভল্লুক আইসক্রিম খেতে পারবে না, তা কিন্তু সত্যি নয়৷ বার্লিন চিড়িয়াখানায় টনিয়া নামের এক মেরু ভল্লুককে গরমের সময় প্রায়ই দেয়া হয় বিশেষ এক খাবার৷ প্রায় ১০ কেজি ওজনের বিশাল এক আইসক্রিম৷ এই আইসক্রিম তৈরি করা হয় দই আর নানা ধরনের ফল মিলিয়ে৷ চিড়িয়াখানার অন্য অনেক প্রাণিকেই দেয়া হয় এই বিশেষ ট্রিট৷ আইসক্রিমে মজা কে না পায়?