1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক কাজ

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন একদল স্বেচ্ছাসেবক৷ মাথায় সাদা হেলমেট পরে কাজ করেন, তাই ‘হোয়াইট হেলমেটস' নামেও পরিচিত গ্রুপটি৷ এ কাজে প্রাণও হারান তাঁদের অনেকে৷

কর্মরত ‘হোয়াইট হেলমেটস’
ছবি: Getty Images/AFP/T. Mohammed

সাদা হেলমেট পরা এই দেবদূতরা ‘সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স' গোষ্ঠীর সদস্য৷ ২০১২ সালের শেষদিকে প্রতিষ্ঠিত গ্রুপটি এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে বলে জানা গেছে৷ আর তা করতে গিয়ে একশ'রও বেশি হোয়াইট হেলমেট সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন৷ এর কারণ সিরিয়ার সরকার বাহিনী এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসীদের' সহায়তার অভিযোগ এনেছে৷ সিরীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত সশস্ত্র বিরোধীদের সন্ত্রাসী বলে গণ্য করে সিরিয়ার সরকার৷

সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর নেতিবাচক নজরে পড়ার কারণে অনেক সময় দেখা যায়, হোয়াইট হেলমেটস সদস্যরা যেখানে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান সেখানে আবারও হামলা চালানো হয়৷ গত আগস্ট মাসে এমনই এক হামলায় নিহত হন খালেদ ওমরান হারাহ, যিনি ২০১৪ সালে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা আটকে থাকা ১০ বছর বয়সি এক শিশুকে উদ্ধার করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে এসেছিলেন৷

উদ্ধার ও চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি হোয়াইট হেলমটস সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করা ও সাধারণ জনগণকে প্রাথমিক চিকিৎসার পাঠ দিয়ে থাকেন৷

ফাদলাল্লাহ নামের এক হোয়াইট হেলমেটস সদস্য বলেন, ‘‘মানুষ মারা যাচ্ছে, আর আমরা মৃত্যুর দিকে দৌঁড়াই৷'' জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করায় বার্তা সংস্থা এপি তাঁদের কাজকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ' বলে অভিহিত করেছে৷

বেকারিকর্মী, দর্জি, বিক্রেতা, শিক্ষক, কাঠমিস্ত্রী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে অনেক পেশা, শ্রেণির মানুষই হোয়াইট হেলমেটস এর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন৷ সংখ্যাটি প্রায় তিন হাজার৷ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের উদ্ধারকর্মী ও প্রাথমিক চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে৷

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও সরকার তাঁদের কাজে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে৷ জার্মান সরকার হোয়াইট হেলমেটসদের জন্য এ বছরের বরাদ্দ ৫ মিলিয়ন ইউরো থেকে বাড়িয়ে সাত মিলিয়ন ইউরো করার ঘোষণা দিয়েছে৷

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছরের ‘বিকল্প নোবেল পুরস্কার'-এর জন্য মনোনীত করা হয়েছে হোয়াইট হেলমেটসদের৷

যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সমালোচনা

জাতিসংঘে বক্তব্য দেয়ার সময় এই দুই দেশ সিরিয়ায় ‘বর্বরতা' ও যুদ্ধাপরাধের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করায় তাদের সমালোচনা করেছে মস্কো৷ ‘‘এ ধরনের বক্তব্য পারস্পরিক সম্পর্কে খারাপ করতে পারে'', বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ৷

খাবার ও চিকিৎসাসেবার স্বল্পতা

বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে সিরিয়া ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে৷ ফলে ঐ শহরের বাসিন্দাদের খাবারা ও চিকিৎসা সেবার স্বল্পতা আরও বেড়েছে৷

জেডএইচ/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ