বিশ্বের প্রথম ফুয়েল সেল ইঞ্জিন চালিত বিমান
৮ জুলাই ২০০৯জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টার - ডিএলআর, লাংগে এ্যাভিয়েশন, বিএএসএফ ফুয়েল সেলস এবং ডেনমার্কের সেরএনার্জির যৌথ প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে এই নতুন প্রযুক্তির সমন্বয়৷ প্রথমবারের উড্ডয়নে বিমানটি মাত্র ১০ মিনিট আকাশে ছিল৷ এসময় বৈমানিক হিসেবে ছিলেন লাংগে এ্যাভিয়েশনের প্রধান ৪৬ বছর বয়সী আক্সেল লাংগে৷
আন্টারেস ডিএলআর-এইচটু নামের এই বিমানটি ৭৫০ কিলোমিটার অর্থাৎ ৪৬৫ মাইল উড়তে সক্ষম৷ এছাড়া প্রায় পাঁচ ঘন্টা একটানা আকাশের বুকে বিচরণ করতে পারবে এই বিমান৷ ফুয়েল সেল চালিত ইঞ্জিন হওয়ায় কোন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় না৷ এছাড়া অন্যান্য বিমানের ইঞ্জিন থেকে এই বিমানের ইঞ্জিন কম শব্দ করে থাকে৷
জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টার - ডিএলআর এর ইয়োহান-ডিটরিশ ভোয়েরনার বলেন, ফুয়েল সেলের কার্যক্ষমতা আমরা এতটাই বাড়াতে সক্ষম হয়েছি যে, একজন বৈমানিক এখন এটা ব্যবহার করে একটি বিমান উড়াতে পারছেন৷ তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমরা এখন এই প্রযুক্তির প্রকৃত সম্ভাবনা দেখাতে পেরেছি এবং বিশেষ করে এটাকে আকাশ পথে যোগাযোগ খাতেও কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে৷
নতুন এই প্রযুক্তিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হাইড্রোজেন৷ এই হাইড্রোজেন বাইরের বাতাসের অক্সিজেনের সাথে তড়িৎ-রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সরাসরি বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়৷ যার ফলে এই প্রক্রিয়াটিতে তেমন কোন দহন ঘটছেনা৷ এখানে উপজাত হচ্ছে শুধুমাত্র পানি৷ এই প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কারক ডিএলআর বলছে, এই হাইড্রোজেন যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদন সম্ভব হয়, তবে এই প্রক্রিয়াটিতে আদৌ কোন কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হবে না৷ যা হবে পুরোপুরি পরিবেশ বান্ধব৷
প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম