ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের এক গুহায় সাড়ে ৪৫ হাজার বছরের বেশি পুরনো বুনো শূকরের একটি চিত্রকর্ম পাওয়া গেছে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন দাবি করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
বিজ্ঞাপন
ইন্দোনেশিয়ার পিএইডি ছাত্র বাসরান বুরহানের টিম তাদের জরিপের অংশ হিসেবে ২০১৭ সালে ইন্দোনেশীয় কর্মকর্তাদের সাথে সুলাওয়েসি দ্বীপ পরিদর্শনে যায়৷ সেখানেই তারা এই চিত্রকর্মটি আবিষ্কার করে৷ গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা, যারা ইন্দোনেশিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিকদের সাথে যৌথভাবে কাজ করেন, তাদের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য জানানো হয়৷
গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ সেন্টার ফর হিউম্যান এভুলিউশনের' গবেষক অ্যাডাম ব্রুম বলেন, ‘‘আমাদের জানা মতে এই গুহায় পাওয়া ৪৫ হাজার পাঁচশো বছরের পুরনো এই চিত্রকর্মটি বিশ্বের প্রাচীনতম শিল্পকর্ম৷''
বন্য শূকরের চিত্রকর্মটি ১৩৬ সেন্টিমিটার চওড়া এবং ৫৪ সেন্টিমিটার লম্বা৷ দেখতে অনেকটা পুরুষ শূকরের মতো৷ ছবিতে শূকরের পেছনে ওপরের দিকে দুই হাতের ছাপ এবং মুখোমুখি আরও দুটো শূকর রয়েছে, যা বেশ অস্পষ্ট ৷ গবেষকদের মতে ছবিতে গাঢ় লাল রঙের মিশ্রন ব্যবহার করা হয়েছে৷ স্থানীয়রা এর আগে কখনো এই পেইন্টিংটি দেখেনি বলে জানিয়েছে৷
সেই প্রস্তর যুগ থেকে সুলাওয়েসি দ্বীপে মানুষ শূকর শিকার করছে আর এই চিত্রকর্মেও তার ছাপ রয়েছে বলে মনে করেন বুরহান৷
বিশেষজ্ঞ ম্যাক্সিম অবার্ট জানান, যারা চিত্রকর্মটি তৈরি করেছেন তারা তাদের মতোই আধুনিক ছিলেন এবং তাদের পছন্দমতো চিত্রায়িত করার ক্ষমতা এবং সরঞ্জাম সবই সে যুগেও তাদের ছিল৷
মানসি গোপালকৃষ্ণান/এনএস
মিশরের শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার
মিশরের লুক্সরে সম্প্রতি একসাথে ৩০টি মমি আবিস্কার হয়েছে৷ কারুকাজ করা কাঠের কফিনে সংরক্ষিত মমিগুলো ৩০০০ বছরের পুরনো৷ শিগগিরই সেগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিবে মিশরের সরকার৷
ছবি: Reuters/M. Abd El Ghany
মাটির নিচে বর্ণিল বাক্স
মিশরের প্রাচীন নগরী লুক্সরের একটি কবর খুঁড়ে এসব কফিনের সন্ধান মিলেছে৷ তারই একটি খুলে দেখছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা৷ এই ঘটনাকে ১৮০০ সালের পরে মানব কফিনের সবচেয়ে বড় আবিষ্কারের ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/M. Abd El Ghany
হাজার বছর ধরে
মোট ৩০টি কফিনের সন্ধান মিলেছে৷ ধর্মগুরু বা যাজক, তাদের পরিবার ও শিশুদের দেহ সেগুলোতে মমি করে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১০ শতকে তাদের সমাধিস্থ করা হয়৷ ২২ তম ফারাওয়ের রাজত্ব চলছিল তখন৷
ছবি: Reuters/M. Abd El Ghany
পর্যটনে গতি ফিরবে?
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিশর তাদের প্রাচীন সভ্যতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে৷ ২০১১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আর ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় ভাটা পড়েছে দেশটির পর্যটন শিল্প৷ এসব আবিষ্কার খাতটিকে আবারও চাঙ্গা করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Desouki
রহস্যের সন্ধানে
কফিনগুলোর ভেতর আর বাহির দুই অংশেই রয়েছে নিপুণ কারুকাজ৷ সেগুলোর অবিকল রং কিংবা স্পষ্ট লিখন এখনও কীভাবে অক্ষত রয়েছে তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Reuters/M. Abd El Ghany
শতাব্দি সেরা আবিস্কার
দক্ষিণের শহর লুক্সর মিশরের ইতিহাস আর প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে গুপ্তধনের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত৷ তাই বলে আল-আসাইফের দুই স্তর বিশিষ্ট কবরে এত বড় আবিস্কার সবার কাছেই ছিল অপ্রত্যাশিত৷ সবশেষ ১৮৯১ সালে একসাথে এমন অনেকগুলো কফিনের সন্ধান মিলেছিল৷
ছবি: Reuters/M. Abd El Ghany
দর্শনার্থীদের জন্য
কফিনগুলোকে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ তারপর সেগুলোকে পাঠানো হবে গিজাতে অবস্থিত গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান জাদুঘরে৷ ২০২০ সালে সেগুলো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে৷