1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেল তৃতীয়বার ক্ষমতায়

১৭ ডিসেম্বর ২০১৩

৫৯ বছরের আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে তৃতীয়বারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচন করলেন দেশটির সংসদ সদস্যরা৷ মঙ্গলবারই তাঁর নতুন গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে৷

Bundestag Vereidigung Kanzlerwahl Angela Merkel Volker Kauder Gerda Hasselfeldt
ছবি: picture-alliance/dpa

২২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রায় তিন মাস পর নতুন মন্ত্রিসভা দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে৷ ম্যার্কেল তার নেতৃত্বে থাকবেন৷

ব্যক্তিগত জীবনে ম্যার্কেল কেমন?

ম্যার্কেলের বাবা ছিলেন একজন যাজক, অথচ তিনি এমন একটা সময় বেড়ে উঠেছেন যখন কমিউনিজমের যুগ চলছে৷ একদিকে রক্ষণশীল সমাজ অন্যদিকে সাম্যবাদ – এই দুইয়ের সমন্বয় ম্যার্কেলকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীতে পরিণত করেছে৷

১৯৫৪ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির হামবুর্গে জন্ম আঙ্গেলা কাজনারের৷ তাঁর জন্মের কয়েক সপ্তাহ পর যাজক বাবা তাঁকে নিয়ে পূর্ব জার্মানিতে চলে যান৷

পদার্থ বিদ্যায় ডক্টরেট করার সময়ই সহপাঠী উলরিশ ম্যার্কেলকে বিয়ে করেন তিনি৷ কিছুদিনের মধ্যে তাদের বিচ্ছেদও হয়৷ ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়াল পতনের আগ পর্যন্ত রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন ম্যার্কেল৷ ১৯৯০ সালে তিনি যোগ দেন তাঁর বর্তমান দল সিডিইউ'তে এবং সেবারই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷

তৎকালীন চ্যান্সেলর হেলমুট কোল ম্যার্কেলকে নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেনছবি: picture-alliance/dpa

তৎকালীন চ্যান্সেলর হেলমুট কোল ম্যার্কেলকে নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন৷ পরে তিনি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান৷ ২০০০ সালে হঠাৎই দলের প্রধান নির্বাচিত হন ম্যার্কেল৷ সেসময় তিনি ‘স্লাশ ফাণ্ড স্ক্যান্ডাল'এর কারণে কোলকে দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে যেতে বলার সাহস দেখিয়েছিলেন ম্যার্কেল৷

২০০৫ সালে সাত বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এসপিডি'র চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জার্মানির নারী চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি৷ কেবল প্রথম নারীই নন, তিনি সর্বকনিষ্ঠ চ্যান্সেলর৷ ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচারের পর ইউরোপের অন্যতম ক্ষমতাধর নারীও ম্যার্কেল৷ প্রথমবার দায়িত্ব নিয়েই ম্যার্কেল রক্ষণশীল এবং তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী এসপিডি'র সাথে গ্র্যান্ড কোয়ালিশন বা মহাজোট গঠন করেন৷ তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেও তাঁকে সেই জোটই গঠন করতে হলো

গত ১০ বছরের মধ্যে ৮ বার ফোর্বস ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে উল্লেখ করেছে৷

তবে ব্যক্তিগত দিক থেকে অন্য আট-দশটা মানুষের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করেন তিনি৷ জার্মান অপেরার ভীষণ অনুরাগী ম্যার্কেল ফরাসি রেড ওয়াইনের ভক্ত৷ অবসর যাপনের জন্য তাঁর পছন্দের স্থান ইটালির পাহাড়ি এলাকা৷ আত্মনিয়ন্ত্রণ হচ্ছে তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ এবং নিজেকে একজন গৃহিণী হিসেবেও পরিচয় দিতে পছন্দ করেন তিনি৷

গত ১০ বছরের মধ্যে ৮ বার ফোর্বস ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে উল্লেখ করেছেছবি: Getty Images

সাধারণদের মতোই বক্সি ট্রাউজার তাঁর পছন্দ, বিশ্রাম নিতে ম্যার্কেল ছুটে যান উত্তর বার্লিনে নিজের কান্ট্রি হাউজে৷ সেসময় যেসব সুপারমার্কেটে ছাড় দেয়া হয়, সেসব দোকানে ঢুঁ মারেন তিনি৷

১৯৯৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ম্যার্কেল৷ রসায়নবিদ স্বামী ইওয়াখিম জাওয়ার জনসমক্ষে খুব একটা আসেন না৷ তাঁকে ডাকা হয় ‘দ্য ফ্যান্টম অব দ্য অপেরা' নামে৷ ম্যার্কেলের কোনো সন্তান নেই৷

পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান

ক্ষমতা গ্রহণের পর ম্যার্কেল দেখেছেন বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা৷ তার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছিলেন ম্যার্কেল৷ এজন্য ক্ষমতার আট বছর পরেও তাঁর উপর মানুষের আস্থা আগের মতোই রয়েছে৷ একারণেই এবারও বিপুল জনসমর্থন পেয়েছেন তিনি৷

সমালোচকরা বরাবরই বলেন, স্বল্পভাষী ম্যার্কেল কোনো প্রতিশ্রুতি এবং দ্বিমত ছাড়াই সব পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন৷

স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক বললেন, তাঁর কাছ থেকে কখনোই কেউ কোনো হুমকি আশা করতে পারে না৷ কোনো কঠিন যুক্তি নিজের বা বিরোধীদের পক্ষে করতে কখনো শোনা যায়নি৷ তাঁর সাথে খোলাখুলি কথা বলা যায় এবং চিন্তাভাবনা সম্পর্কে পূর্বানুমান করা যায়৷

তবে জার্মানির বাইরে এথেন্স, লিসবন বা মাদ্রিদে তাঁর বিরুদ্ধে মানুষের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে৷ সেখানকার অধিবাসীরা মনে করেন পুরো ইউরোপে বাজেট ঘাটতি এবং বেকারত্বের জন্য ম্যার্কেলই দায়ী৷

এপিবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ