সুইজারল্যান্ডের সরকারি টাকশাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট স্বর্ণমুদ্রা বের করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে৷ ১৯৯ সুইস ফ্রাংক বা সাড়ে ১৭ হাজার টাকায় এটি কেনা যাবে৷
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালের স্মারক মুদ্রা হিসেবে এটি বের করেছে সুইসমিন্ট৷ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জনক আলব্যার্ট আইনস্টাইনকে সম্মান দেখাতে মুদ্রায় তাঁর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে৷ এতে আইনস্টাইনকে জিহ্বা বের করা অবস্থায় দেখা যাবে৷ তবে মুদ্রাটি এতই ছোট যে, এই দৃশ্য দেখতে অনেক কসরত করতে হবে৷ বিষয়টি চিন্তা করে সুইসমিন্ট মুদ্রার সঙ্গে একটি করে আতশকাচও দিচ্ছে৷
০.১২ ইঞ্চির এই ওজন ০.০৬৩ গ্রাম৷ এটি অনলাইনে কেনা যাবে৷ তবে মাত্র ৯৯৯টি পয়সা বানানো হয়েছে৷
১৮৯৭ সালে জার্মানির উলম শহরে এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আইনস্টাইন৷ ১৯০৩ থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত তিনি সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্ন-এ বাস করেন৷ সেখানেই তিনি আপেক্ষিকতার তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলেন৷
আইনস্টাইন সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন৷
মেলিসা ফান ব্রুনারসুম/জেডএইচ
স্কুলে খারাপ ছাত্র হয়েও যাঁরা সেরা বিজ্ঞানী হয়েছেন
নানা কারণে স্কুলের পড়ালেখায় ভাল ছিলেন না তাঁরা৷ সেজন্য স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে৷ কিন্তু তারপর হয়ে উঠেছেন সেরা বিজ্ঞানী৷
ছবি: picture-alliance / akg-images
আলব্যার্ট আইনস্টাইন
শিক্ষক পছন্দ না হওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ের পড়ালেখায় আগ্রহ পাননি আইনস্টাইন৷ অবশ্য শিক্ষকরা ভেবেছিলেন, শিশু আইনস্টাইনের হয়ত শেখায় আগ্রহ নেই৷ পরবর্তীতে জার্মানিতে জন্ম নেয়া বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী সুইজারল্যান্ডে গিয়ে কলেজ পর্যায়ে গণিত আর পদার্থবিদ্যায় ভালো গ্রেড পেয়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance / akg-images
ভিলহেল্ম কনরাড ব়্যোয়েনটগেন
এক্স-রে’র এই আবিষ্কারককে একবার স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল৷ কারণ, তিনি লেখাপড়া বাদ দিয়ে শিক্ষকের কার্টুন আঁকছিলেন! পরে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছিলেন ব়্যোয়েনটগেন৷ ১৯০১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান৷ অথচ জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এখন যে নিয়ম, তাঁর সময় যদি সেটি থাকত, তাহলে হয়ত তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কঠিন হতো৷ কারণ, এখন ভালো বিষয়ে পড়তে হলে স্কুলে ভালো গ্রেড থাকা চাই৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লুই পাস্তুর
ভালো গ্রেড নিয়ে হাইস্কুল পাস করার ইচ্ছায় ফরাসি এই গবেষক একটি শ্রেণি পুনরায় পড়েছিলেন৷ স্কুলে তাঁর খারাপ করার কারণ ছিল ‘হোমসিকনেস’ অর্থাৎ বাড়ির প্রতি টান৷ চামড়া ব্যবসায়ীর পরিবারে জন্ম নেয়া পাস্তুর ভালোভাবে লেখাপড়া শেখার জন্য অল্প বয়সেই বাড়ি ছেড়ে প্যারিসের এক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন৷ পরবর্তী জীবনে পাস্তুর টিকা ও সংক্রামক রোগের একজন জগদ্বিখ্যাত গবেষক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/United Archives/WHA
টমাস এডিসন
ফোনোগ্রাফ, মোশন পিকচার ক্যামেরাসহ অনেক কিছুর আবিষ্কারক এই মার্কিন বিজ্ঞানী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করেননি৷ এমনকি তাঁর স্কুল শিক্ষকরা ভেবেছিলেন, এডিসন মেধাবী নন৷ আসলে তিনি বধির ছিলেন৷ পরবর্তীতে তাঁর স্কুল শিক্ষিকা মা তাঁর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন৷ টেলিগ্রাফার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করা এডিসন পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যতম সেরা উদ্ভাবক হয়ে উঠেছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/United Archives/TopFoto
জর্জ ইস্টম্যান
বাবা মারা যাওয়ায় পরিবার চালাতে এডিসনের (ডান) বন্ধু ইস্টম্যানকে (বামে) স্কুলে পড়াশোনা শেষ না করেই ১৪ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু করতে হয়েছিল৷ বিশ্বখ্যাত কোডাক কোম্পানি তাঁরই তৈরি৷ ফটো পেপার থেকে শুরু করে রোল ফিল্ম– এসবই ইস্টম্যানের আবিষ্কার৷
ছবি: AP
ভিলহেল্ম ভিয়েন
জার্মান এই বিজ্ঞানীর বেড়ে ওঠা পোল্যান্ডের মাসুরিয়ায়৷ খারাপ গ্রেডের কারণে তাঁকে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল৷ পরে তিনি ব্যক্তিগত পর্যায়ে পড়ালেখা শিখে পাশের শহরে গিয়ে আরেক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন৷ এরপর বার্লিনে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন৷ ১৯১১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান তিনি৷