1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাড়ি?

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাড়ি ‘ব্রুটাস’৷ জার্মানির একটি প্রযুক্তিবিষয়ক মিউজিয়ামে থাকা গাড়িটি মাঝেমধ্যে রাস্তায় চালাতে বের করা হয়৷ গাড়িটি চলে বিমানের ইঞ্জিন দিয়ে৷

সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাড়ি ‘ব্রুটাস’৷ জার্মানির একটি প্রযুক্তিবিষয়ক মিউজিয়ামে থাকা গাড়িটি মাঝেমধ্যে রাস্তায় চালাতে বের করা হয়৷ গাড়িটি চলে বিমানের ইঞ্জিন দিয়ে৷
ছবি: DW

হেরমান লায়ার৷ জার্মানির টেকনিক মিউজিয়াম জিনসহাইম স্পায়ারের প্রধান৷ তিনি মাঝেমধ্যে ব্রুটাস চালান৷ তিনি বলেন, ‘‘যখন ইঞ্জিন চলা শুরু করে তখন দারুণ লাগে৷ আর যখন গতি বাড়তে থাকে তখন ইঞ্জিনের প্রতি আপনার মুগ্ধতাও বাড়ে৷ তবে সেই সময় আপনাকে শক্ত হাতে স্টিয়ারিংটা ধরে রাখতে হবে৷ কারণ আপনি আবেগ ধরে রাখতে না পারলে ঘটনা ঘটা শুরু করবে৷’’

ব্রুটাসকে রাস্তায় চলার উপযোগী করতে আট বছর লেগেছে৷ লায়ার ও মিউজিয়ামের অন্য সদস্যরা ১৯৯৮ সালে কাজ শুরু করেছিলেন৷ তখন এটি মিউজিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ ছিল৷

১৯০৭ সালের অ্যামেরিকান ভিন্টেজ কার লাফ্রসের চেসিসে একটি ৪৭-লিটার এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন বসান তারা৷

হেরমান লায়ার বলেন, ‘‘ইঞ্জিনটা অলস বসে ছিল৷ একদিন মনে হলো, যদি এটাকে চালানোর চেষ্টা করি তাহলে কেমন হয়? এর আগে কয়েকবার সংস্কারের কাজ শুরু করেও পিছিয়ে এসেছিলাম আমরা৷ কারণ ইঞ্জিনটাতো আসলে ওড়ার জন্য বানানো হয়েছিল৷ আর আমরা তাকে চালাতে চাইছি৷ তাই ভয় হচ্ছিল, না জানি কেমন আচরণ করে!’’ 

গত ১৫ বছরে স্পায়ারের একটি এয়ারফিল্ড ও একটি টেস্ট ট্র্যাকে নতুন রেকর্ড গড়ার চেষ্টা চালালেও কেউ এখনও বলতে পারেননা, গাড়িটা ঠিক কত জোরে চলতে পারে৷

হেরমান লায়ার বলেন, ‘‘আপনি যত জোরে চালানোর সাহস করবেন, তার চেয়েও বেশি গতিতে গাড়িটি চলতে পারে৷ এখানে একজন ইংলিশম্যান ছিলেন, যার বয়স সত্তরের বেশি ছিল৷ তিনি একবার ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে গাড়িটি চালিয়েছিলেন৷ এখন আমরা অপেক্ষা করছি, কেউ একদিন এসে বলবেন, গাড়িটি যত জোরে চলতে পারি, আমি তত জোরে চালাব৷ আপনাকে জানতে হবে, গাড়িটি দিয়ে আপনি ঠিক কী, আর কতখানি কাজ করবেন৷ গাড়ির কোনো সীমাবদ্ধতা নেই৷’’

বছরে একবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ব্রুটাসপ্রেমিরা জার্মানির স্পায়ার শহরে আসেন৷ কারণ তখন ব্রুটাসকে চলতে দেখা যায়৷ সামাজিক মাধ্যমে ব্রুটাসের ৫০ কোটিরও বেশি ফলোয়ার আছে৷

হেরমান লায়ার বলেন, ‘‘আপনি বলতে পারেন গাড়িটা একটু অন্যরকম, ওয়াইল্ড আর অবাধ্য৷ তবে সত্যি কথা হচ্ছে, এগুলোই ব্রুটাসের প্রতি মানুষের মুগ্ধতার কারণ৷

মাঝেমধ্যে হেরমান লায়ার ব্রুটাস নিয়ে গ্রামের পথে বেরিয়ে পড়েন৷ রাস্তায় চলার অনুমতি না থাকায় চলাচল বন্ধ থাকা রাস্তা বেছে নিতে হয় তাকে৷

দিন শেষে যখন তিনি গাড়ি থেকে নামেন তখন তাকে ক্লান্ত মনে হয়৷

হেরমান লায়ার বলেন, ‘‘একসময় সবাই এই গাড়ি চালাতে ভয় পায়৷ কেউ অল্পদিনেই ভয় পায়, আর কারও হয়ত একটু সময় লাগে৷ তখন আর কেউ এই গাড়ি চালায় না৷ এভাবে আপনি বুঝতে পারেন আপনার ক্ষমতা কতটুকু৷ এটা ভেবে আপনি শান্তিতে ঘুমাতে যেতে পারেন৷’’

এভাবেই একসময় বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এই গাড়িতে ভ্রমণ অভিজ্ঞতার সমাপ্তি ঘটে৷

গেরহার্ড সনলাইটনার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ