বাংলাদেশের রূপকথা
২৩ মে ২০১৩![Wasik Farhan Roopkotha, a seven-year-old boy from Bangladesh is hoping to write his name in Guinness Record as the world's youngest IT expert. The following photos were sent by Cynthia Farheen Risha and she gave permission to DW to use the photos.](https://static.dw.com/image/16827263_800.webp)
এক বছর বয়স থেকে কম্পিউটারে গেম খেলা, দুই বছর বয়সে এমএস ওয়ার্ডে লেখা ও গেম ডাউনলোড করে ইনস্টল করা, চার বছর বয়সে এমুলিউটর দিয়ে গেমসের বিভিন্ন চরিত্রে পরিবর্তন আনা, ছয় বছর বয়সে প্রোগ্রামিং – এভাবে একের পর এক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে রূপকথা৷
এরই মধ্যে শেখা হয়ে গেছে ভিজ্যুয়াল বেসিক, সি, সি++, জাভা, পাইথন এসব প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ৷ অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেয়া আর ট্রাবলশ্যুটিং তো কোনো ব্যাপারই নয় তার কাছে৷
এসব দেখেশুনে ‘রিপলি-স বিলিভ ইট অর নট' গত বছর রূপকথাকে বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ কম্পিউটারে প্রোগ্রামারের খেতাব দেয়৷ এছাড়া এই সেপ্টেম্বরে রিপলির যে রেকর্ড বই বের হবে তাতে রূপকথার নাম থাকবে বলে তার বাবা-মাকে জানিয়েছে রিপলি কর্তৃপক্ষ৷
রূপকথার সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে টেলিফোন করা হলে কথা হয় তার মা সিন্থিয়া ফারহিন রিশার সঙ্গে৷ তিনি জানান, রূপকথা নাকি ফোনে খুব একটা কথাবার্তা বলে না৷
অগত্যা মা রিশার কাছ থেকেই এই বিস্ময় বালকের কাহিনি জেনে নিতে হয়৷ তিনি বলেন কম্পিউটারের প্রতি রূপকথার আগ্রহ জন্মের কিছুদিন পর থেকেই৷ তখন সে স্ক্রিনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতো৷ সেসময় কম্পিউটার চালু না করলে তাকে খাওয়ানোই যেত না৷ ‘‘এক বছর বয়স থেকেই সে এমন সব জটিল গেম খেলতো যা সাধারণত আরও বড় বয়সের শিশুরা খেলে,'' বলেন রিশা৷
ঢাকায় সম্প্রতি কয়েকজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকের সামনে রূপকথা তার কম্পিউটারে পারদর্শিতা দেখায়৷ পুরো বিষয়টি ভিডিওতে রেকর্ড করে অসম্পাদিত অবস্থায় গিনিজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ এই ভিডিও ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্র দেখে গিনিজ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান রিশা৷
এছাড়া ইতিমধ্যে গিনিজের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করার কথা জানান তিনি৷ ‘‘নিয়ম অনুসারে রূপকথার নাম গিনিজে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে চুক্তিটা সই হয়েছে৷ ঢাকার ঐ অনুষ্ঠানের পরই চুক্তিটা হয়েছে৷''
রূপকথার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মা রিশা বলেন, ‘‘সে নিজের একটা অপারেটিং সিস্টেম ডেভেলপ করতে চায়৷ এখন সে উইন্ডোজের সব অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে গবেষণা করছে৷ আগের সংস্করণগুলোতে কী কী ফিচার ছিল না, এখন নতুন কী যোগ হয়েছে, সব তার নখদর্পণে৷''
রূপকথা স্কুলে না গেলেও অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকে তার এই বিস্ময় কাহিনি ইতিমধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷
মা রিশা বলেন, ইউটিউবে ‘মেগাফারহিন' নামের একটি চ্যানেলে রূপকথার কিছু ভিডিও আপলোড করা আছে৷