সৌদি আরবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগ করবে সফটব্যাংক গ্রুপ করপোরেশনের ভিশন ফান্ড৷ ২০৩০ সালের মধ্যে এর মাধ্যমে ২০০ গিগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে৷
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সফটব্যাংকের প্রধান নির্বাহী মাশায়ওশি সন৷ বিশ্বব্যাপী বর্তমানে মোট সৌরবিদ্যুতের মজুদ রয়েছে ৪০০ গিগাওয়াট এবং ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট পারমাণবিক শক্তি ছিল ৩৯০ গিগাওয়াট৷
বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশটি বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অপরিশোধিত তেল ব্যবহার করছে৷ যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে সৌর বিদ্যুতের পথে এগিয়ে নিচ্ছেন৷
২০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ প্রাথমিকভাবে ৭ দশমিক ২ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হবে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার৷ ২০৩০ সালের অর্থনীতি সংস্কারের যে পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি আরবের, তাতে তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর কথা বলা হয়েছে৷ যুবরাজ সালমান বলেন, ‘‘সৌদি রাজত্বে প্রচুর খালি জমি রয়েছে, রয়েছে ভালো প্রকৌশলী৷ এছাড়া এখানে সারাবছর সূর্য কিরণের অভাব হয় না৷''
Saudi Arabia hikes gasoline prices
01:28
বর্তমানে সৌদি আরবে ৬০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়৷ আর এজন্য ৩ থেকে ৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পোড়াতে হয়৷ জ্বালানি বিশ্লেষক পিটার কিরনান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘সৌদি আরব অপরিশোধিত তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পোস্ট-ফসিল জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে চাইছে৷ এর ফলে তারা আরও বেশি তেল রপ্তানি করতে পারবে৷'' তিনি জানান, ‘‘এখন পর্যন্ত সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সৌদি আরবে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে খুব ধীরগতিতে৷ তবে সফটব্যাংক গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির ফলে কাজের গতি বাড়বে বলে আশা করা যায়৷ তবে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০ গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন সহজ হবে না৷''
এপিবি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)
১৫ হাজার মসজিদ চলবে সৌরপ্রযুক্তি দিয়ে
মরক্কোর মোট জ্বালানির ৯৫ শতাংশ আসে বিদেশ থেকে৷ এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে দেশটি৷
ছবি: picture alliance/Arco Images
মহাপরিকল্পনা
মরক্কো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ১৫ হাজার সরকারি মসজিদে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে৷ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে৷ এই পরিকল্পনার আওতায় মসজিদগুলোতে জ্বালানি-সাশ্রয়ী বাতি, সৌরচালিত ওয়াটার হিটার ও সৌরপ্যানেল বসানো হবে৷
ছবি: DW/J. Thurau
উদ্দেশ্য
একটি উদ্দেশ্য অবশ্যই পরিবেশ রক্ষা৷ সঙ্গে আছে খরচ কমানো এবং নাগরিকদেরও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উৎসাহিত করে তোলা৷ কারণ কোনো নাগরিক যখন দেখবেন এই জ্বালানি ব্যবহার লাভজনক, তখন তিনিও তা শুরু করবেন৷
ছবি: DW/D. Guha
খরচ কমেছে ৮০ শতাংশ
এটি আস-সুন্না মসজিদ৷ রাজধানী রাবাতে অবস্থিত৷ ইতিমধ্যে সেখানে সোলার প্রযুক্তি বসানো হয়েছে৷ ফলে জ্বালানি খরচ কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ৷ ঐ মসজিদে সৌরপ্রযুক্তি বসাতে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ডলার৷ তবে এর ফলে জ্বালানি বাবদ খরচ প্রতি বছর কমবে ৭ হাজার ডলার করে৷
ছবি: picture-alliance/maxppp/S. Assier
পাওয়ার গ্রিডে সরবরাহ
সৌরপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আস-সুন্না মসজিদে যে জ্বালানি উৎপাদিত হবে তার বাড়তি অংশ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে৷
ছবি: DW/D. Guha
২০৩০ সালের মধ্যে...
ঐ সময়ের মধ্যে মরক্কোতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে তার অর্ধেক নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটি৷ এই লক্ষ্য পূরণে সৌরশক্তিসহ অন্যান্য উৎস খুঁজে বের করতে অনেকদিন ধরে কাজ করছে মরক্কো৷
ছবি: cc-by-sa-3.0/Daniel Csörföly
চাকরির সুযোগ
লক্ষ্য পূরণে প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ হাজার নাগরিককে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে গড়ে তুলছে দেশটি৷ এছাড়া জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি তৈরি ও স্থাপনের মতো বিষয়গুলো কোর্স কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে৷