প্রথমদিকে প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী’র আবেগ বা একে অপরকে কাছে পেতে চাওয়ার আগ্রহ খানিকটা কমে যাওয়া স্বাভাবিক৷ তবে তা যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায় বা কোনো বড় কারণ ছাড়াই নিয়মিত দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়, তাহলে অবশ্যই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে৷

কর্মস্থল থেকে কাজের এক ফাঁকে আপনার সঙ্গীর সাথে যোগাযোগ করুন৷ কেউ আপনাকে রাগিয়েছে কিনা কিংবা কোনো হাসির খবর অথবা সুন্দর একটি ছবি তুলে মোবাইলে পাঠিয়ে দিন৷ বুঝিয়ে দিন যে আপনি হাজারো কাজের মাঝেও এখনো আগের মতোই তাঁর কথা ভাবেন৷

জার্মান ভাষায় বলা হয় ‘ক্লাইনে গেশেঙ্কে এরহালটেন ফ্রয়ন্ডশাফ্ট’ অর্থাৎ ছোটখাটো উপহার বন্ধুত্বকে টিকিয়ে রখে৷ তবে পার্টনারের ক্ষেত্রে জানা প্রয়োজন যে, আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষটির কী পছন্দ বা সে কী চায়৷ মনের খবর নিয়েই উপহার কিনুন, তা না হলে ফল উল্টো হতে পারে কিন্তু!

সম্পর্কে যখন চিড় ধরতে শুরু করেছে তখন কিন্তু আর টুকিটাকি জিনিসে মন ভরবেনা৷ তাই ভালো করে জেনে নিন, কী উপহার পেলে সে সত্যিই খুশি হবে এবং দুজনেই কাছাকাছি থাকা যাবে, যোগাযোগ রাখা যাবে৷ সারপ্রাইজ উপহারটি হতে পারে স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার কিংবা দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া , যেখানে যাওয়ার ইচ্ছে মনের মধ্যে বহুদিন থেকেই ছিল৷

সংসারে দু’জনেই জানেন যে কোন কাজ কার পছন্দ বা পছন্দ নয়৷ যেহেতু দু’জনকেই অনেকসময় জোর করে সংসারের অনেক কাজ করতে হয়, তাই এবার সম্ভব হলে ভূমিকা পরিবর্তন করে স্বামী করুন স্ত্রীর কাজ আর স্ত্রী করুন স্বামীর কাজ৷ দেখবেন বেশ মজা হবে৷ তাছাড়া এর মধ্য দিয়ে একে অপরের কাজের স্বীকৃতিও দেওয়া হবে৷

টিভি অনুষ্ঠান দেখা, ম্যাগাজিন বা পত্রিকা পড়ার ক্ষেত্রেও যার যার আলাদা পছন্দ থাকে৷ তাই এক্ষেত্রেও কিন্তু অদল-বদল করা যেতে পারে৷ তখন একে অপরকে বোঝা অনেক সহজ হবে৷ করেই দেখুন না একবার! ঝিমিয়ে পড়া বা চিড় ধরা ভালোবাসার সম্পর্ককে একটু দোলা দিয়ে চাঙা করে তুলতে এই টিপসগুলো আমাদের দিয়েছেন জার্মান ক্রিয়েটিভ বিশেষজ্ঞ ব্যার্নহার্ড ভল্ফ৷