1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব এইডস দিবস

১ ডিসেম্বর ২০১৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও-র নতুন এক প্রতিবেদন বলছে, অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপির (এআরটি) প্রয়োগ বাড়ানোর কারণে এইডস সংক্রান্ত রোগে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে৷

Symbolbild AIDS HIV Afrika Jugendliche
ছবি: Getty Images/AFP/T. Kitamura

এইডস মহামারির সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ছিল ২০০৪ সালে৷ তখন থেকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪২ শতাংশ কমে এসেছে জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সংস্থা৷ এছাড়া গত ১৫ বছরে প্রায় ৭৮ লাখ প্রাণ বাঁচানো গেছে৷ এই সময়ে নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও প্রায় ৩৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ডাব্লিউএইচও৷ সংস্থাটির হিসাবে, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩৭ মিলিয়ন মানুষের দেহে এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে৷ গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় বিশ্ব নেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে এইডস মহামারি দূর করার আহ্বান লক্ষ্য স্থির করেন৷

এইডস প্রতিরোধে যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা৷ কিন্তু ক্যাথলিক চার্চ কনডম ব্যবহারের বিরুদ্ধে৷ আফ্রিকা সফর শেষে ইটালিতে ফেরার সময় বিমানে পোপকে বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে কিছুটা অনীহা প্রকাশ করেন৷ এইডস প্রতিরোধে কনডম ব্যবহারে গির্জার পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হবে কি না সেই প্রশ্নটি ‘জটিল' বলে মন্তব্য করেন পোপ৷ সঙ্গ তিনি এ-ও মনে করিয়ে দেন যে, বিশ্বে আরও বড় সমস্যা রয়েছে৷ তবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও পোপ এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধে কনডমের ব্যবহার ‘অনেক পদ্ধতির মধ্যে একটি' বলে স্বীকার করেন৷

এইডস রোগের চিকিৎসায় বিজ্ঞানীরা অনেক সফলতা দেখালেও এই রোগ পুরোপুরি সারার উপায় বের করা যায়নি৷ তাই বিজ্ঞানীরা এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে খানিকটা এগিয়েছেন৷

জাতিসংঘের আরেক সংস্থা ইউনিসেফ গর্ভবতী মায়েদের এইডস চিকিৎসার উপর জোর দিচ্ছে৷ এ ব্যাপারে তারা মানুষকে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করছে৷

এইডসের বিরুদ্ধে লড়তে এবং মানুষের মনে এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছেন অনেক তারকা৷ ইউটু ব্যান্ডের তারকা বোনো-র ‘রেড' নামে একটি সংস্থা রয়েছে যারা এইডস নিয়ে কাজ করে৷ এবারের বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে সংস্থাটি একটি কর্মসূচি চালু করেছে৷ কেউ যদি তাঁর রেড সংস্থায় কমপক্ষে ১০ ডলার দান করে তাহলে তাদের মধ্যে কেউ কেউ জর্জ ক্লুনি, মেরিল স্ট্রিপ সহ অনেক তারকার সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পেতে পারে৷

১৯৯১ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন প্রিন্সেস ডায়ানার গ্লভস ছাড়া এইডস আক্রান্ত এক রোগীর সঙ্গে হ্যান্ডশেকের এই ছবিটি সেসময় বেশ সাড়া জাগিয়েছিল৷

সমাজে এইডস রোগীদের এখনও হেয় করে দেখা হয়৷ দেশ ও মহাদেশভেদে এর মাত্রা উঠানামা করে৷ ফলে এইডস রোগীদের শারীরিক সমস্যা ছাড়াও সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধেও লড়তে হয়৷ জার্মানির এক এইডস রোগীর জীবনযাপন দেখলে সেটা কিছুটা অনুভব করা যায়৷

Living with HIV

03:34

This browser does not support the video element.

জেডএইচ/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ