মিয়ানমারের নোবেলজয়ী অং সান সু চি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘ভুয়া খবর’ প্রচার করায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সমালোচনা করেছেন৷ এদিকে, সু চিকে সংঘাতপূর্ণ স্থান পরিদর্শনে যেতে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ৷
বিজ্ঞাপন
সিঙ্গাপুরের ‘চ্যানেল নিউজ এশিয়া’-কে বৃহস্পতিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সু চি অভিযোগ করেন, বহির্বিশ্ব ‘আরও বেশি অসন্তোষ সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে'৷
একই দিন নিজের ফেসবুক পাতায় প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে সু চি সিএনএন, বিবিসি, আল-জাজিরা ও চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে সঠিক খবর প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন৷
সম্প্রতি ব্রিটিশ ডেইলি মেল পত্রিকার ওয়েবসাইটে নির্যাতনের শিকার হওয়া এক মুসলিম শিশুর ছবি প্রকাশ করা হয়৷ বলা হয় ছবিটি মিয়ানমারের৷ কিন্তু পরে দেখা যায়, এটি আসলে কম্বোডিয়ার ছবি৷
এদিকে, গত শুক্রবার লন্ডনে অবস্থিত মিয়ানমার দূতাবাস বিবিসির কাছে একটি অভিযোগপত্র পাঠায়৷ সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের এক কর্মকর্তার বিবৃতি প্রকাশ করায় বিবিসির সমালোচনা করা হয়৷ ঐ কর্মকর্তা বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের ‘নিধন' করছে মিয়ানমার৷ মিয়ানমার দূতাবাস তাদের চিঠিতে বলেছে, ‘‘এই বিবৃতি গুজবের ভিত্তিতে তৈরি এবং এটি একটি একপাক্ষিক দৃষ্টিকোণ, যা সত্যের কাছাকাছি নয়৷''
সু চির প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান
জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নামবিয়ার এক বিবৃতিতে সু চিকে রাখাইন প্রদেশের মাউংদাও এবং বুথিদাউং এলাকা পরিদর্শনে যেতে অনুরোধ করেছেন৷ ‘‘আমি তাঁকে অনুরোধ করছি তিনি যেন ঐ দু'টি এলাকায় গিয়ে সেখানকার সাধারণ জনগণকে তাঁদের নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চয়তা দিন৷''
জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে নীচে মন্তব্যের ঘরে লিখুন৷
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, নভেম্বরের ১৯ থেকে ২১ তারিখ, এই তিনদিনে বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে শত শত রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
সহিংসতা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ গৃহহীন হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার জন৷ অক্টোবরের ২৭ তারিখে তোলা এই ছবিতে ঐ রাজ্যের একটি গ্রামের বাজার দেখা যাচ্ছে, যেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল৷ শিশুরা সেখান থেকে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করছে৷
ছবি: Reuters/Soe Zeya Tun
পালিয়ে বাঁচা
সহিসংতা থেকে বাঁচতে নভেম্বরের ১৯ থেকে ২১ তারিখ শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীরা৷ উপরের ছবিটি ২১ নভেম্বরের৷ কক্সবাজারের কুটুপালাং শরণার্থী কেন্দ্রে বসবাসরত রোহিঙ্গা নারীরা নতুন আসা শরণার্থীদের দেখছেন৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
নতুন শরণার্থী
মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে কুটুপালাং শরণার্থী কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন নতুন শরণার্থীরা৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
ধরা পড়ায় কান্না
অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হওয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা তাদের ধরেছে৷ মুসলিম নারী ও তাঁর সন্তানরা তাই কাঁদছেন৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
অপেক্ষা
কুটুপালাং ক্যাম্পে ঢোকার অপেক্ষায় নতুন আসা রোহিঙ্গারা৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
সন্তানসহ মা
মুসলিম এই রোহিঙ্গা নারী তাঁর সন্তানকে নিয়ে কুটুপালাং শিবিরে ঢোকার অপেক্ষায় আছেন৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
শরণার্থী শিশু
কুটুপালাং শরণার্থী কেন্দ্রের রোহিঙ্গা শিশুরা স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
আদি বাসিন্দা
কুটুপালাং ক্যাম্পে নিজেদের বাড়িতে শিশুরা৷
ছবি: Reuters/M.P.Hossain
বাড়ির আঙিনায়
একজন রোহিঙ্গা নারী তাঁর সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে কুটুপালাং শরণার্থী শিবিরে তাঁর বাড়ির সামনে বসে আছেন৷