1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব চালান ‘গ্যাংস্টাররা’: কান জুরি প্রধান স্পাইক লি

৬ জুলাই ২০২১

ট্রাম্প-পুটিন-বলসোনারোর মতো গ্যাংস্টাররাই পৃথিবী চালান৷ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে আহ্বান জানালেন ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল জুরি বোর্ডের প্রধান মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক স্পাইক লি৷

ট্রাম্প-পুটিন-বলসোনারোর মতো গ্যাংস্টাররাই পৃথিবী চালান৷ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে আহ্বান জানালেন ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল জুরি বোর্ডের প্রধান মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক স্পাইক লি৷
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জুরি বোর্ডের প্রধান মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক স্পাইক লি৷ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW

কানের ৭৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম মূল জুরি বোর্ডের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন কোনো কৃষ্ণাঙ্গ পরিচালক৷ এ কারণে কান উৎসব উদ্বোধনের আগে জুরি বোর্ডের সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ নজর ছিল সাংবাদিকদের৷ আর সেখানেইে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন লি৷

প্রশ্নোত্তর পর্বে জর্জিয়ার এক সাংবাদিক তার দেশে এলজিবিটি কর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রাইড প্যারেড নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সেদেশে অবস্থান করা রুশ বাহিনির হাতে হেনস্তা হওয়ার খবর জানান৷ তিনি কানের বিচারকদের কাছে জানতে চান, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সিনেমার বাইরে এসে অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করবেন কিনা৷

এই প্রশ্নের জবাবে স্পাইক লি এজেন্ট অরেঞ্জ (ডনাল্ড ট্রাম্প), জাইর বলসোনারো এবং ভ্লাদিমির পুটিনকে ‘গ্যাংস্টার’ হিসেবে উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এদের মধ্যে কোনো নৈতিকতাবোধ নেই৷’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমনই এক পৃথিবীতে বাস করি৷ আমাদের এমন সব গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে৷’’

এর আগে চলচ্চিত্রে বর্ণবাদের প্রভাব নিয়েও কথা বলেন স্পাইক লি৷ ১৯৮৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্পাইক লি এর ‘শি'স গটা হ্যাভ ইট’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়৷ লি এর ক্যারিয়ারের শুরু দিককার এই চলচ্চিত্র তার ক্যারিয়ার গঠনেও ভূমিকা রাখে৷ তিন বছর পর ১৯৮৯ সালে কানের প্রতিযোগিতা বিভাগে তার বর্ণবাদ নিয়ে চলচ্চিত্র ‘ডু দ্য রাইট থিং' প্রদর্শিত হয়৷ এই চলচ্চিত্রটিকে অনেকেই সে বছর পাম দি'ওর পাওয়ার যোগ্য বিবেচনা করলেও সেটি পুরষ্কার পায়নি৷

৩০ বছরেরও পর সেই স্পাইক লিই নির্বাচিত হয়েছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল জুরি বোর্ডের প্রধান হিসেবে৷ 'এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন', এমন এক প্রশ্নের জবাব দেন স্পাইক লি৷ তিনি বলেন, ‘‘সে সময় (১৯৮৯ সালে) মার্কিন গণমাধ্যম মনে করেছিল এই চলচ্চিত্র পুরো অ্যামেরিকায় বর্ণবাদী দাঙ্গা শুরু করে দিতে পারে৷''

তার ‘ডু দ্য রাইট থিং' সিনেমায় পুলিশ অফিসারদের হাতে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির নিহত হওয়ার ঘটনা দেখানো হয়েছিল৷ এখনও এমন ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে জর্জ ফ্লয়েড এবং এরিক গার্নারের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেন স্পাইক লি৷ তিনি বলেন, ‘‘আরো কত ৩০ বছর পরে না জানি আপনারা ভাববেন, আশা করতে পারবেন যে কৃষ্ণাঙ্গদের পশুর মতো মারা বন্ধ হবে৷’’

শুরু হচ্ছে কান চলচ্চিত্র উৎসব

02:28

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ