শুক্রবার থেকে জার্মানিতে তিনদিনব্যাপী ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন' শুরু হচ্ছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদেরা এতে অংশ নেবেন৷
বিজ্ঞাপন
প্রতিবছর এই সম্মেলনের আগে একটি জরিপ প্রকাশ করা হয়৷ ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সূচক' শীর্ষক এবারের জরিপটি সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে৷ শিল্পোন্নত সাত দেশ, ব্রাজিল, ভারত, চীন ও সাউথ আফ্রিকার প্রায় ১২ হাজার মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়৷ গত অক্টোবর ও নভেম্বরে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে৷
গতবছরের জরিপে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল রাশিয়া৷
ইউক্রেনের মানুষের কাছে যুদ্ধবিরতির গ্রহণযোগ্য শর্ত সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিল মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন কর্তৃপক্ষ৷ ৯২ শতাংশ উত্তরদাতা ক্রাইমিয়াসহ ইউক্রেনের সব জায়গা থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন৷ মাত্র ১২ শতাংশ বলেছেন, ক্রাইমিয়া যদি রাশিয়ার অংশ থেকে যায় তাহলে সেটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে৷ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি উত্তরদাতা দ্রুত ইইউ ও ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন৷
চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পশ্চিমা বিশ্ব প্রভাব হারাচ্ছে
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে বলে শঙ্কা বেড়েছে৷ এছাড়া জাপান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সের মানুষের মধ্যে চীনের ক্রমাগত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা নিয়ে ভয় বেড়েছে বলেও জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে৷
সম্মেলনের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফ হয়েসগেন তার রিপোর্টে লিখেছেন, ‘‘শিল্পোন্নত সাত দেশের একটি বড় অংশের নাগরিকেরা মনে করছেন, আগামী ১০ বছরে তাদের দেশ কম নিরাপদ ও সম্পদশালী হবে৷'' জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চীন ও গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো তাদের শক্তি ও প্রভাব বাড়াবে বলে মনে করছেন জি-সেভেনের নাগরিকেরা৷
ফ্রাঙ্ক হফমান/জেডএইচ
তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধের মহড়া
তাইওয়ানের চারপাশে নিয়মিত শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে চীন৷ দেশটির এমনই এক মহড়া যদি হঠাৎ করে যুদ্ধে রূপ নেয় তাহলে কীভাবে জবাব দেয়া যেতে পারে তারই অনুশীলন করেছে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী৷
ছবি: Carlos Garcia Rawlins/REUTERS
নিজের অঞ্চল বলে দাবি
চীন তাইওয়ানকে নিজের অঞ্চল মনে করে৷ তাইওয়ানও যেন বিষয়টি মেনে নেয় সে ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে চীন নিয়মিতভাবে তাইওয়ানের চারপাশের আকাশ ও সাগরে মহড়া করছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়৷ বুধবারও চীনের ২২টি যুদ্ধবিমান টহল দিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা৷ ছবিতে গত আগস্টে মহড়ায় অংশ নেওয়া চীনের দুটি যুদ্ধবিমান দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: EASTERN THEATRE COMMAND/REUTERS
দুটি বড় মহড়া
গত দেড় বছরে চীন তাইওয়ানের আশেপাশে অন্তত দুইবার বড় ধরনের ‘ওয়ার গেম’ পরিচালনা করেছে৷ এর একটি ছিল গতবছর এপ্রিলে৷ কারণ, সেই সময় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন৷ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ভাবিয়ে তুলেছে৷ ছবিতে গতবছর এপ্রিলে তাইওয়ানের একটি দ্বীপের কাছে চীনা জাহাজ দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Thomas Peter/Reuters
মহড়া যদি যুদ্ধে রূপ নেয়?
চীনের এমন নিয়মিত মহড়ার কোনোটি হঠাৎ করে যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তাইওয়ান৷ তেমনটা হলে কী করা যায়, বুধবার সেই অনুশীলন করেছে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী৷
ছবি: Carlos Garcia Rawlins/REUTERS
কী ছিল মহড়ায়?
তাইওয়ানের পুবের তাইতুং কাউন্টিতে গণমাধ্যমের সামনে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়৷ শত্রুর হামলার মধ্যে সেনারা ট্যাঙ্ক ও আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুশীলন করেন৷ এছাড়া জল ও আকাশপথেও মহড়া অনুষ্ঠিত হয়৷
ছবি: Carlos Garcia Rawlins/REUTERS
মাইন ফেলার অনুশীলন
মহড়ার অংশ হিসেবে তাইওয়ান নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান থেকে সাগরের জলে মাইন স্থাপন করতে দেখা যাচ্ছে৷ এসব মাইন জাহাজ ও ডুবোজাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম৷