1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার প্রযুক্তি

আলেক্সান্ড্রা হারডর্ফ/এসবি১৮ জানুয়ারি ২০১৪

জার্মান বিজ্ঞানীরা বিস্ফোরক আগাম শনাক্ত করার ক্ষেত্রে বেশ অগ্রসর হচ্ছেন৷ এই প্রকল্প সফল হলে সন্ত্রাসবাদীদের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়বে৷ সাধারণ মানুষের জীবন আরও নিরাপদ হয়ে উঠবে৷

ছবি: Madaree Tohlala/AFP/Getty Images

বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার প্রযুক্তি | অন্বেষণ

03:26

This browser does not support the video element.

অপরাধ রাষ্ট্রের সীমানা মানে না৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের খোঁজে জার্মান পুলিশও সক্রিয় রয়েছে৷ অপরাধের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাঁরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করেন৷

হাতে তৈরি বোমার বিপদ

গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদীদের বোমা হামলার সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ ঘটনাস্থলে হাতে তৈরি বোমা তদন্তকারীদের জন্য বড় এক ঝুঁকি৷ বিপদ এড়াতে বিস্ফোরকের উপাদান সম্পর্কে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করতে হয়৷ বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে তা জানার চেষ্টা করা হয়৷ বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ডিয়র্ক ব়্যোসেলিং বলেন, ‘‘চোখে দেখে কোনো বড় তফাত বোঝা যাবে না৷ দুই রকমের সাদা গুঁড়া তাদের মৌলিক অবস্থায় দেখতে হবে৷ অর্থাৎ পুলিশ বা গোয়েন্দারা কিছু খুঁজে পেলে চিন্তায় পড়ে যান৷ সামনে কী রয়েছে তা বুঝতে পারেন না৷ তখন যন্ত্র দিয়ে উপকরণ চেনা গেলে সুবিধা হয়৷''

তবে সেই যন্ত্রের অনেক রকমের বিস্ফোরক চেনার ক্ষমতা থাকতে হবে৷ জার্মানির তদন্তকারীরা এ কাজে বিজ্ঞানীদের সাহায্য চেয়েছেন৷ কারণ বিস্ফোরকের মধ্যে নিত্য নতুন সংমিশ্রণ পাওয়া যায়৷ ব়্যোসেলিং বলেন, ‘‘সম্প্রতি জার্মানির ফেডারেল পুলিশের হয়ে সাধারণ বিস্ফোরকের ক্ষমতা জানতে পরীক্ষার কাজ দেয়া হয়েছিল৷ ঘটনাস্থলে এমন বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াডের যন্ত্র নিয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত, সেটা জানাও ছিল লক্ষ্য৷''

বোমা নিস্ক্রিয় করার চেষ্টাছবি: Prakash Mathema/AFP/Getty Images

অপরাধীর পদচিহ্ন

বিস্ফোরকের উপাদান বিশ্লেষণ করে অপরাধ চক্রের হদিশও পাওয়া সম্ভব৷ কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে, তা জানা থাকলে তবেই সুপরিকল্পিতভাবে তার খোঁজ করা যায়, হামলা প্রতিহত করা যায়৷ ব়্যোসেলিং বলেন, ‘‘সব বিস্ফোরকই নির্দিষ্ট বিপদ ডেকে আনে৷ সেটা শনাক্ত করাই হলো সেই বিপদ বোঝার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ৷ অর্থাৎ আমাদের কাছে ল্যাবে এমন যন্ত্র রয়েছে, যা কোনো উপাদানকে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করতে পারে৷''

সেইসঙ্গে এটাও বুঝতে হবে, কোনো উপাদানের ধ্বংসের ক্ষমতা কী৷ তবে নতুন ও আরও ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরক তৈরির প্রচেষ্টা আজ আর শুধু বিজ্ঞানীদের আওতায় পড়ে না৷

অপরাধীদের কার্যকলাপ

অপরাধীরাও গোপনে তাদের গবেষণাগারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাদের কীর্তিকলাপের হদিশ পেতে বিজ্ঞানীরা নিকাশি ব্যবস্থায় নজর রাখতে চান৷ ফ্রাউনহোফার ইন্সটিটিউট-এর মোরিৎস হাইল বলেন, ‘‘এম্ফ্যাসিস নামের ইউ-প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষা চালানো হচ্ছে৷ বে-আইনি বোমা কারখানার হদিশ পাওয়াই প্রকল্পের উদ্দেশ্য৷ এর পেছনে মৌলিক ভাবনা হলো, এত বড় এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব নয়৷''

মোরিৎস হাইল তাই বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে সেন্সর-এর এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ পয়ঃপ্রণালীতে যদি বিস্ফোরকের নমুনা পাওয়া যায়, সেটা কোনো বে-আইনি ঘাঁটির অস্তিত্বের লক্ষণ৷ বাতাস ও মাটি থেকেও তদন্তকারীরা বিশ্লেষণের উপাদান পেতে পারেন৷

সন্দেহজনক পদার্থ পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থা সতর্ক করে দেবে৷ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের কাজে নেমে পড়তে পারবে৷ ধাপে ধাপে তারা বিস্ফোরক তৈরির ল্যাব পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবে৷ মোরিৎস হাইল বলেন, ‘‘লক্ষ্য হলো, উপাদানগুলি নির্ভরযোগ্য ও শনাক্ত করার যোগ্য করে তোলা, যাতে নিরাপত্তা আরও বেড়ে যায়৷''

এই প্রকল্প এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ তবে গবেষণার লক্ষ্য খুবই স্পষ্ট৷ হামলার আগেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করে দিতে চান বিজ্ঞানীরা৷

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ