1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিহারে গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করলে শাস্তি!

২২ জানুয়ারি ২০২১

সামাজিক মাধ্যমে সরকার, সাংসদ, বিধায়ক, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করলে বিহারে জেলে যেতে হতে পারে। সিদ্ধান্ত নীতীশ কুমারের।

গণমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিলেই শাস্তি, সিদ্ধান্ত নীতীশ কুমারের। ছবি: IANS

বিহার নিয়ে ফেসবুক, টুইটার সহ সামাজিক মাধ্যমে মতামত দেয়ার আগে সাবধান। সরকারের যদি মনে হয়, ওই মতামত অমর্যাদাকর বা আপত্তিকর, তা হলে শাস্তি পেতে হবে। জেলও হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সব সরকারি বিভাগকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, সরকার, সাংসদ, বিধায়ক, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে আপত্তিকর ও অমর্যাদাকর কিছু দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে জানাতে। তা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বেশ কিছু দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন নীতীশ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও তিনি বারবার বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটানো হয়। অন্যায্য সমালোচনা করা হয়। এবার নীতীশ কুমার আর 'অমর্যাদাকর ও আপত্তিকর' সমালোচনা বরদাস্ত করতে রাজি নন। এই ধরনের সমালোচনা হলেই শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর তিনি।

কিন্তু নীতীশ এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরেই বিহারের বিরোধী নেতা এবং লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, ''৬০টি কেলেঙ্কারির নায়ক নীতীশ কুমার হলেন দুর্নীতির ভীষ্ম পিতামহ। তিনি অপরাধীদের রক্ষাকর্তা। তিনি হলেন অনৈতিক ও অবৈধ সরকারের দুর্বল প্রধান।'' এখানেই থামেননি তেজস্বী। তিনি বলেছেন, ''নীতীশ হিটলারের পথ অনুসরণ করছেন। তিনি বিহারে গণতন্ত্রকে শেষ করে দিচ্ছেন।'' নীতীশকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ''এবার পারলে আমায় গ্রেপ্তার করুন।''

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ অনেক রাজ্যেই অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্টুন এঁকে জেলে যেতে হয়েছিল অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। উত্তর প্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা বা সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে লেখার জন্য শাস্তি পেতে হয়েছে। নীতীশ কুমার সেই কাজটা এবার পুরোদমে করতে চান। প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''কার্টুনিস্ট শংকরকে জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, আমাকেও ছেড় না। কার্টুন কর। সেই জায়গা থেকে কোন জায়গায় এসে পৌঁছেছি আমরা। নীতীশের মতো সমাজবাদী ভাবধারার নেতা যদি এই সিদ্ধান্ত নেন তা হলে কিছু বলার নেই।'' তাঁর বক্তব্য, ''এই প্রবণতা এখন উত্তর পূর্বেও দেখা যাচ্ছে। মণিপুরে একজন সম্পাদককে তাঁর একটি লেখার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওখানকার অন্য রাজ্য থেকেও এরকম কিছু খবর আসছে। খুবই চিন্তার বিষয়।''

এবার যে প্রশ্নটি উঠছে, সরকারের সাধারণ সমালোচনাকেও তো মানহানিকর বা অমর্যাদাকর বলে চিহ্নিত করা যায়। কোনো টুইট বা ফেসবুক পোস্ট যে আপত্তিকর বা অমর্যাদাকর সেটা কে ঠিক করবে? সরকারি আমলা বা পুলিশ? এই উপমহাদেশে তারা তো ধরে আনতে বললে বেঁধে আনে। ফলে শেষ পর্যন্ত সরকার বা সাংসদ, বিধায়কদের একটু কড়া সমালোচনা করলেই শাস্তি পেতে হবে এমন ভয় মানুষের মনে ঢুকে যায়। শুভাশিসের মতে, ''কোনো পোস্ট মর্যাদাহানিকর বা আপত্তিকর কি না সেটা তো পুরোপুরি ব্যক্তিকেন্দ্রিক। ফলে তার বিচার অত্যন্ত জটিল ও শক্ত।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ