গত কয়েকদিনে বিহার জুড়ে ছট পুজো করতে গিয়ে জলে ডুবে মারা গেছেন ৫৩ জন।
বিজ্ঞাপন
বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিহারের বিভিন্ন জায়গা থেকে জলে ডুবে মৃত্যুর খবর এসেছে. আসলে নদী বা জলাশয়ে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছট পুজো করতে হয়। আর নদী বা জলাশয়ে সেসময় প্রচণ্ড ভিড় হয়। পা রাখারও জায়গা থাকে না। এই অবস্থায় ছট করতে গিয়েই রাজধানী পাটনা-সহ বিভিন্ন জায়গায় এই বিপর্যয় হয়েছে।
পূর্নিয়া জেলায় গত ৩০ অক্টোবর পাঁচজন মারা গেছেন। পাটনা, মুজাফফরপুর, সমস্তিপুর ও সহর্ষে তিনজন করে মারা গেছেন। এছাড়া গয়া, বেগুসরাই, কাটিহার বক্সার, সীতামারি, বাঁকা-সহ অন্য জেলাগুলিতে একজন করে মারা গেছেন।
মহা ধুমধামে ছট, উধাও কোভিডবিধি
দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার ছটপুজোতেও মানা হলো না কোভিডবিধি। কলকাতা জুড়ে চলল মাস্কহীন উৎসব।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ছটের বিকেল
মূলত বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের হিন্দুরা ছটপুজোয় অংশ নেন। এক কথায় এই পুজোয় সূর্যের উপাসনা করা হয়। কলকাতায় মহা ধুমধামে পালিত হয়েছে ছটপুজো। রাস্তায় নেমে উৎসব করেছেন অসংখ্য মানুষ।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
গঙ্গায় ভিড়
নদীর ধারে গিয়ে এই পুজো করতে হয়। কলকাতায় গঙ্গার ধারে এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কারো মুখে মাস্ক নেই। নিরাপদ দূরত্বের বালাই নেই।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
গঙ্গা দূষণ
ছটে বিপুল পরিমাণ পুজোর সামগ্রী জলে ফেলা হয়। পুজোর দিন এভাবেই দূষিত হয়েছে নদী।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বন্ধ রবীন্দ্র সরোবর
দূষণ বন্ধ করতে আদালতের নির্দেশে কয়েকবছর ধরে বন্ধ রাখা হয় রবীন্দ্র সরোবর। এবারও তা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বাবুঘাটে পুজো
এভাবেই দিনভর বাবুঘাটে ছটপুজো হয়েছে। পুরোহিত, ভক্ত কারো মুখে মাস্ক নেই। পুলিশও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গে এখনো করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছয়শ-র বেশি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ছটের নাচ
রাস্তা জুড়ে দিনভর এভাবেই নেচে গেয়ে ছট উৎসব পালন করেছেন সাধারণ মানুষ।
রাস্তা দিয়ে এভাবেই প্রণাম করতে করতে নদীর ধার পর্যন্ত গেছেন ভক্তরা। ছটের দিন এ দৃশ্য কলকাতায় বিরল নয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
কৃত্রিম পুল
দূষণ এড়াতে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে এভাবেই কৃত্রিম পুল তৈরি করা হয়েছিল। ভক্তরা এখানে এসে জল ব্যবহার করে পুজো করেছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই এদিন বেছে নিয়েছিলেন গঙ্গা।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
9 ছবি1 | 9
বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে জড়িত ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩১ অক্টোবর অন্ততপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে চার লাখ টাকা করে এককালীন সাহায্য দেয়া হবে। দ্রুত ওই অর্থ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনি জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।