বিহারে গরিব পরিবারের মেয়েদের অর্থাভাবে পাত্রস্থ করতে না পারায় কোনো যুবককে লোক দিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়৷ এই ধরনের বিয়ে কমছে তো না-ই, বরং বাড়ছে৷ স্থানীয় ভাষায় এই ধরনের বিয়েকে বলা হয় পাকড়ুয়া বিয়া বা শাদি৷
বিজ্ঞাপন
পাত্রকে অপহরণ করে বিয়ে দেওয়ার এই প্রাচীন প্রথা নিয়ে ভারতের বিহার রাজ্য রীতিমতো সরগরম৷ সোনু নামে এক যুবক অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন৷ রেল স্টেশনে যাবার পথে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মুখোশপরা কিছু লোক তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে সোজা নিয়ে যায় বিয়ের মন্ডপে৷ হতবাক সোনু কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাত্রীর সঙ্গে বিয়ের মালাবদল, মন্ত্রপাঠ সবকিছু হয়ে যায়৷ অপহরণকারীরা সাধারণত মুক্তিপণ দাবি করে৷ এক্ষেত্রে তা হলো না৷ মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে শুধু আদেশ – বধূ বেশে বসে থাকা ঐ মেয়েটিকে বিয়ে করতে হবে. নাহলে মুক্তি নেই৷ আরেকবার বিয়ে হয়ে গেলে সামাজিক দায়-দায়িত্ব এড়াবার আর কোনো পথ নেই৷ এই ঘটনা বিহারের সহর্ষা গ্রামের৷
রাজ্য পুলিশের রিপোর্ট বলছে, গত বছর দৈনিক গড়ে ৯ জন পাত্রকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে অপরিচিত পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বিহারের মাধেপুরা জেলার পুলিশ প্রধান আনন্দ কুমার সিং স্বীকার করেন, উপযুক্ত পাত্রকে অপহরণ করার ঘটনা কখনো কখনো ঘটে থাকে৷ এই ধরনের পাকড়ুয়া শাদি সাধারণত বেশি হয়ে থাকে ভূমিহার ও যাদব সম্প্রদায়ে৷
যেসব দেশে যৌতুক আইনত নিষিদ্ধ, তবে...
বিশ্বের অনেক দেশে যৌতুক দেয়া বা নেয়া আইনত নিষিদ্ধ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও এই চর্চা অব্যাহত রয়েছে৷ চলুন এরকম কয়েকটি দেশের কথা জেনে নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Vennemann
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ১৯৮০ সাল থেকে যৌতুক দেয়া বা নেয়া নিষিদ্ধ৷ তবে মাঝেমাঝেই দেশটিতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর উপর নির্মম নির্যাতন বা যৌতুক চাওয়ায় স্বামীর কারাবাসের খবর শোনা যায়৷ কখনো কখনো স্বামীর পরিবারের যৌতুকের চাহিদা মেটাতে না পেরে নারীদের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে৷
ছবি: picture-alliance/ANN/courtesy of Maheen Khan
ভারত
ভারতে ১৯৬১ সালে যৌতুক প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়৷ কিন্তু তারপরেও যৌতুক প্রথা অব্যাহত রয়েছে৷ বিয়ের সময় হিন্দু নারীদের পরিবারের তরফ থেকে অনেক উপহার দেয়া হয় নবদম্পতিকে৷ এই চর্চা হিন্দু সমাজে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত রয়েছে৷ দেশটিতে প্রতি ঘণ্টায় একজন নারী যৌতুক সংক্রান্ত কারণে মৃত্যুবরণ করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/D. Solanki
পাকিস্তান
যৌতুক অবৈধ করতে পাঁচটি আলাদা আলাদা আইন করেছে করেছে পাকিস্তান৷ প্রথম আইনটি করা হয়েছিল ১৯৬৪ সালে, আর সর্বশেষটি ২০০৮ সালে৷ তা সত্ত্বেও যৌতুক প্রথা থামানো যায়নি৷ যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে এসিড নিক্ষেপের ঘটনাও দেশটিতে বিরল নয়৷
ছবি: picture-alliance/AA/M. Bilal
নেপাল
নেপালে যৌতুক নিষিদ্ধ হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি৷ সামাজিক প্রথা এবং চর্চা অ্যাক্টের আওতায় ২০০৯ সালে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশটিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/N. Shrestha
কেনিয়া
যে কোনো ধরনের যৌতুক দেয়া বা নেয়া কেনিয়াতে নিষিদ্ধ হয়েছে ২০১২ সালে৷ দেশটিতে পুরুষদের যৌতুক দিতে হয়৷ আর সেই যৌতুক কী হবে তা নির্ধারণে রীতিমত দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনাও হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/D. Kurokawa
গ্রিস
যৌতুক প্রথা গ্রিসে নিষিদ্ধ করা হয় ১৯৮৩ সালে৷ ইউরোপের দেশটির পাহাড়ি অঞ্চলে অতীতে যৌতুক দেয়া ছাড়া মেয়েদের বিয়ে দেয়া একরকম অসম্ভব ব্যাপার ছিল৷ তবে এখন পরিস্থিতি অনেক বদলেছে৷
পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইনের আওতায় চলতি বছরের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ায় যৌতুক বাতিল করা হয়েছে৷ ২০১৪ সালে সেদেশে বসবাসরত এক ভারতীয় নারী যৌতুক দিতে না পারায় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন৷ সেই ঘটনার পর দেশটিতে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে যাতে যৌতুকের দেয়া বা নেয়া চলতে না পারে সেদিকে কড়া নজর দেয়া হয়৷
ছবি: Rido - Fotolia.com
7 ছবি1 | 7
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, খুব বেশি দিনের কথা নয়. এক সময় বিহার ছিল পিছিয়ে পড়া রাজ্য৷ দারিদ্র্য, অশিক্ষা, বেকারত্ব, দুর্নীতি, পরিকাঠামোর অভাবে জর্জরিত৷ এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও গরিবিয়ানা পিছু ছাড়েনি৷ তার ওপরে আছে জাতিভেদপ্রথা এবং পণপ্রথা৷ অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় বিহারে পণপ্রথা মারাত্মক৷ পাত্রীর অভিভাবকদের ক্ষমতা থাকুক না থাকুক, মেয়ের জন্য পাত্রপক্ষকে দিতে হয় মোটা টাকা পণ, গয়নাগাটি এবং আনুষঙ্গিক উপহার৷ সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না বলে এই অপহরণ বিয়ে বা পাকড়ুয়া বিয়ের পথ বেছে নিয়েছে বিহারি মেয়েদের অভিভাবকরা৷
জনৈক পুলিশকর্তার মতে,পণ দেওয়া-নেওয়ানিয়ে দর কষাকষির জেরে অনেক সময় পাত্রপক্ষ বিয়ে ভেঙে দিতে চায়৷ সেক্ষেত্রে অপহরণ বিয়ে হয়৷ বিয়ের পর অবশ্য আলোচনা করে একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানের চেষ্টা করা হয়৷ দ্বিতীয়ত বিহারে পুত্র ও কন্যা সন্তানের অনুপাতে যথেষ্ট ফারাক৷ ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে প্রতি হাজার ছেলেপিছু ৭৫১ জন মেয়ে৷ এর বড় কারণ কন্যাভ্রুণ হত্যা৷
জোরজুলুমের বিয়েতে স্বভাবতই আশংকা থাকে যে, বলা নেই, কওয়া নেই এই ধরনের গায়ের জোরে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে যেখানে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত আছে, সেই বিয়ে শেষ পর্যন্ত কি টেঁকে? টিকলে কতদিন? টিকিয়ে রাখার জন্য পাত্রকে এই বলে শাসানো হয়, ‘‘যদি বৌ-কে ছেড়ে যাও বা নির্যাতন করো, তাহলে তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে খুন করা হবে৷''
এজন্য পেশাদার গুন্ডাদেরও কাজে লাগানো হয়৷ তা সত্ত্বেও দু-এক বছরের বেশি অধিকাংশ বিয়ে টেকে না৷ অবশ্য এর ব্যতিক্রমও আছে৷ কোনো কোনো পাকড়ুয়া বিয়ের দম্পতি সারা জীবন সুখে ঘরকন্না করছে৷ বিহারের সমাজতত্ববিদরা মনে করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অপহরণ বিয়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং যাবে৷ কারণ, সামাজিক স্বীকৃতি আর আগের মতো নেই৷ তবে সংখ্যাগত দিক থেকে বিশেষ তারতম্য হয়নি৷
বিভিন্ন ধর্মের ও অঞ্চলের বিয়ের রীতি
অনেকে বলবেন, প্রেম পূর্ণতা পায় বিয়ের মাধ্যমে৷ আবার কেউ বলবেন না, বিয়ে মানে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা৷ বিবাহের গূঢ় অর্থ যাই হোক না কেন, একেক ধর্মে এর রীতিনীতি আলাদা৷ অঞ্চলভেদেও বিরাট ফারাক এর নিয়মকানুনে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
মুসলিম বিয়ে
সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ানো হয়৷ দেনমোহর ধার্য করা হয় ছেলের আর্থিক সামর্থ্য ও অবস্থান অনুযায়ী৷ বিয়ের সময় একজন উকিল থাকেন৷ তিনি প্রথমে কনেকে জিজ্ঞাসা করেন, সে বিয়েতে রাজি আছে কিনা৷ কনে রাজি থাকলে বরকেও একই প্রশ্ন করা হয়৷ এরপর দোয়া কালাম করে সম্পন্ন করা হয় বিয়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP
হিন্দু বিয়ে
বিয়ে হয় বেশ কিছু আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে৷ প্রচলিত নিয়মে প্রথমে বাগদান পর্ব এবং সেখানেই পাটিপত্রে বর-কনের স্বাক্ষর৷ তারপর একে একে আশীর্বাদ, গায়ে হলুদ, তারপর বিয়ের আসর৷ সেখানে দু’টি পর্ব – সাজ বিয়ে ও বাসি বিয়ে৷ সাজ বিয়েতে সাতবার প্রদক্ষিণ শেষে কনে আর বরকে বরণ করে নেয়া হয়৷ হয় মালাবদল৷ আর বাসি বিয়েতে দেবদেবীর অর্চনা শেষে কনের কপালে সিঁদুর দেয় বর৷ তারপর উভয় মিলে সাতবার অগ্নি দেবতাকে প্রদক্ষিণ করেন৷
ছবি: DW/U. Fatima
খ্রিষ্টান বিয়ে
বিয়ের তিন সপ্তাহ আগে পুরোহিতের কাছে বর-কনে নাম লেখান৷ এরপর ‘বান প্রকাশ’ অনুষ্ঠানে বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়৷ বিয়ের আগ পর্যন্ত অপশক্তির নজর থেকে রক্ষার জন্য দুজনকে ‘রোজারি মালা’ পরতে হয়৷ বিয়ের দিন ভোরে কনের বাড়ি গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসা হয়৷ এসময় বরপক্ষ থেকে দেয়া পয়সা ঘরের মধ্যে ছুড়ে দেন কনে৷ এর অর্থ, বাড়ি ছেড়ে গেলেও, বাড়ির লক্ষী ঘর থেকে চলে যাচ্ছে না৷ এরপর গির্জায় বর-কনে দু’জনের মধ্যে আংটিবদল করা হয়৷
ছবি: Getty Images/J.Moore
বৌদ্ধ বিয়ে
পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের পর সামাজিকভাবে সবাইকে জানিয়ে তারিখ ঠিক করে বৌদ্ধবিহারে পাত্র-পাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধের পূজা করা হয়৷ ত্রি-স্বরণ পঞ্চশীল পূজার মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুকের আশীর্বাদ গ্রহণের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়৷ এরপর একজন গৃহী তাঁদের সামাজিক অনুশাসন প্রদান করে৷
ছবি: dapd
ঢাকাইয়া বিয়ে
‘পানচিনি’ অনুষ্ঠানে ঘটকের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পর ‘মোতাসা-রাই’ বা ‘পাকাকথা’ অনুষ্ঠানে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়৷ বিয়ে অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে দুই বাড়িতে আলাদাভাবে ‘হলদি’ বা ‘তেলাই’ অনুষ্ঠান হয়৷ এরপর অবিবাহিত অবস্থায় নিজের বাড়িতে বর বা কনের শেষ খাওয়া হিসেবে দুই বাড়িতে ‘আইবুড় ভাত’ নামের অনুষ্ঠান হয়৷ এরপর হয় মূল বিয়ের অনুষ্ঠান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/N.Islam
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিয়ে
চট্টগ্রামের বিয়ে সাধারণত বেশ আড়ম্বরপূর্ণ হয়৷ বিয়ের প্রাথমিক কার্যকলাপ অন্যান্য অঞ্চলের মতোই সম্পন্ন হয়৷ তবে বিয়ের আগে আয়োজন করা হয় ‘বউ জোড়নি’ অনুষ্ঠান৷ বর ও কনের মধ্যে আলাপ করিয়ে দেয়াই এর মূল লক্ষ্য৷ চট্টগ্রামের আরেকটি বিচিত্র আয়োজন হচ্ছে ‘ঘরজামাই বিয়া’৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
রাজশাহী অঞ্চলের বিয়ে
এই অঞ্চলের বিয়েতে থাকে পিঠার জয়জয়কার৷ বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হওয়ার পর আঞ্চলিক গীতের তালে তালে বর-কনেকে নিজ নিজ বাড়িতে মিষ্টিমুখ করানো হয়৷ এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় ‘থুবড়া’৷ সাধারণত ক্ষীর ও আন্ধাষা (তেলে ভাজা রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পিঠাবিশেষ) তৈরি করা হয়৷ এই মিষ্টি সাধারণত পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে তৈরি করে পাঠানো হয় বর-কনের বাড়িতে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
শেষ কথা
এতক্ষণ রীতির কথা বলা হলো৷ কিন্তু সব মানুষের পক্ষে সব নিয়ম পালন করা সম্ভব হয় না৷ কারণ তাঁদের সেই সামর্থ্য থাকে না৷ আবার এর উলটোটাও ঘটে৷ যাঁদের অনেক সামর্থ্য আছে, তাঁরা রীতির বাইরেও জাঁকজমকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করে থাকেন৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
8 ছবি1 | 8
পাকড়ুয়া বিয়ে সম্পর্কে বিহারে জন্ম নেয়া সমাজকর্মী অমূল্য গাঙ্গুলির অভিমত জানতে চাইলে ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, ‘‘প্রাচীনকালে ভারতে আট-নয় রকম বিয়ে প্রচলিত ছিল৷ তারমধ্যে একটা হলো রাক্ষস বিবাহ, যার মধ্যে অপহরণ ব্যাপারটা ছিল৷ আজকের অপহরণ বিয়েতে আছে ঐ পণপ্রথার অভিশাপ৷ মেয়েকে বিনা পণে মাথা থেকে নামাতে বিবাহিত বা অসম বয়সি পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিতেও ইতস্তত করতো না মেয়ের পরিবার৷ তবে তার মানে এই নয় যে, এটা মেনে নিতে হবে৷ যেখানে জোর জুলুম আছে, সেটাই গর্হিত৷ তবে একথা অস্বীকার করা যায় না যে, বিহারে এক সময়ে অপহরণ ব্যাপক মাত্রায় হতো এবং সেটা হতো রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু যাদবের রাজত্বে৷ তবে অপহরণ করা হতো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের টাকার জন্য৷''
অমূল্য গাঙ্গুলি আরও বলেন, ‘‘এটা অবশ্যই একটা সামাজিক সমস্যা৷ শুধু আইন দিয়ে এর সমাধান হবে না৷ পুরানো প্রথা বলে পুলিশ চোখ বুঁজে থাকতে পারে না৷ পণপ্রথাবিরোধী আইনগুলি প্রয়োগ করতে হবে৷ পণপ্রথা সামাজিক দুঃখ এবং লজ্জার কারণ৷ সত্যি বলতে কি, বিহার এখনও এক অনগ্রসর রাজ্যের মধ্যে পড়ে৷ এই অপহরণ বিয়ে সেই অনগ্রসরতাই প্রমাণ করে৷''