কেরালায় বিয়ের আসরেও ঢুকে পড়ল সিএএ এবং এনআরসি। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়।
বিজ্ঞাপন
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং নাগরিক পঞ্জি এ বার ঢুকে পড়ল বিয়ের আসরেও। কেরলে বেশ কিছু দম্পতি তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে এনআরসি এবংসিএএ-বিরোধী পোস্টার ব্যবহার করে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন।
গোটা দেশ জুড়েই এখন সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। মেঙ্গালুরু, উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বহু অঞ্চলে সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করে আটকানো হচ্ছে প্রতিবাদীদের। তবে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালারমতো কিছু রাজ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই বিক্ষোভ দেখাতে পারছেন আন্দোলনকারীরা। কারণ সেখানকার সরকারও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
কেরল বরাবরই অভিনব প্রতিবাদের জন্য বিখ্যাত। তবে বিয়ের আসরে সিএএ এবং এনআরসি ঢুকে পড়বে এতটা কল্পনা করা যায়নি। কিন্তু দেশ জুড়ে প্রতিবাদের আবহে কেরালার বেশ কিছু দম্পতি এ কাজটাই করছেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেদের প্রতিবাদ সকলের কাছে পৌঁছেও দিচ্ছেন তাঁরা।
উত্তপ্ত দিল্লি, দফায় দফায় বিক্ষোভ
এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল দিল্লি। প্রতিবাদ আটকানোর যাবতীয় ব্যবস্থা থাকলেও কার্যত দিশেহারা দেখালো পুলিশকে।
ছবি: DW/S. Ghosh
একলা প্রতিবাদ
ঠান্ডা এবং কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই লালকেল্লার সামনে আসতে শুরু করেন প্রতিবাদকারীরা। কিন্তু পুলিশ জানিয়ে দেয় ১৪৪ ধারা থাকায় বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। ফলে প্রতিবাদের নতুন পন্থা বেছে নেন বিক্ষোভকারীরা। জায়গায় জায়গায় একজন একজন করে দাঁড়িয়ে পড়েন।
ছবি: DW/S. Ghosh
তাতেও রেহাই নেই
একলা প্রতিবাদেও আপত্তি পুলিশের। ধরে নিয়ে যাওয়া হল বিক্ষোভকারীকে। তুলে দেওয়া হল পুলিশের বাসে।
ছবি: DW/S. Ghosh
পুলিশের ব্যারিকেড
ব্যারিকেড দিয়ে কার্যত ঘিরে ফেলা হয় লালকেল্লা এবং জামা মসজিদ। অসংখ্য বেসরকারি বাস ভাড়া করে রাখা ছিল প্রতিবাদীদের গ্রেফতারের জন্য।
ছবি: DW/S. Ghosh
প্রতিবাদ জামা মসজিদে
জামা মসজিদের ভিতরের সিঁড়িতে বসে পড়েন প্রতিবাদীরা। যেখানে পুলিশের পক্ষে ঢোকা সম্ভব নয়। অসংখ্য পোস্টার হাতে সেখানে সরব হন সব বয়সের মানুষ।
ছবি: DW/S. Ghosh
বিভেদের বিরুদ্ধে
এই দেশ সকলের। এমনই পোস্টার হাতে জামা মসজিদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এক ছাত্র।
ছবি: DW/S. Ghosh
জামা মসজিদে জামিয়ার ছাত্র
জামা মসজিদে এসেছিলেন শুক্রবার পুলিশের হাতে আক্রান্ত বেশ কিছু ছাত্র। সকলের সঙ্গে তাঁরাও প্রতিবাদ করেন।
ছবি: DW/S. Ghosh
মান্ডি হাউসে লাল
মান্ডি হাউসে এ দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল ১৯টি বাম দলের। পুলিশ অবশ্য সেখানেও তাদের মিছিল করতে দেয়নি।
ছবি: DW/D. Choubey
গ্রেফতার সীতারাম
মান্ডি হাউসে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে এসে গ্রেফতার হন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
ছবি: DW/S. Ghosh
মেট্রো স্টেশন থেকেই গ্রেফতার
মেট্রো স্টেশন থেকেই গ্রেফতার করা হয় সভায় যোগ দিতে আসা ছাত্র এবং বাম কর্মীদের।
ছবি: DW/S. Kumar
পুলিশের লাঠি
বাম কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। গ্রেফতার হন অসংখ্য ছাত্র এবং কর্মী।
ছবি: DW/S. Kumar
পুলিশের বিরুদ্ধে সরব
পুলিশের লাঠির সামনেই তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন প্রতিবাদীরা। পুলিশ ভ্যানে উঠেও প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন।
ছবি: DW/S. Kumar
তবুও প্রতিবাদ
প্রতিবাদীরা এ দিন জানিয়েছেন, পুলিশ যতই চেষ্টা করুক, তাঁদের বিক্ষোভ জারি থাকবে। লাঠি উঁচিয়ে সরকার তাঁদের দমাতে পারবে না।
ছবি: DW/S. Kumar
12 ছবি1 | 12
কয়েক বছর ধরেই কেরলে রাজনৈতিক জমি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতীদের ঢোকা নিয়ে সাম্প্রতিক অশান্তিতেও বিজেপি হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গত লোকসভা ভোটেও কেরলে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি বিজেপি। যদিও মোদী-শাহ বলেছিলেন, আগামী দিনে কেরল দখলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। কিন্তু সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে সেখানে বিয়ের আসরেও যে ভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে, তাতে মোদী-শাহের স্বপ্ন আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, সেই প্রশ্নই তুলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।