1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিয়ের প্রয়োজনীয়তা

ক্লাউস ক্র্যামার/আরবি১৮ নভেম্বর ২০১৩

বিয়ে ও পরিবার কী এখন যুগোপযুগী? এই বিষয়টি নিয়ে প্রটেস্টান্ট গির্জায় বিতর্ক চলছে৷ প্রশ্ন উঠছে প্রটেস্টান্টদের কী সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলা উচিত নয়?

Ein frisch getrautes Ehepaar wird mit Reis beworfen. #7243780 - wedding rice © Marco Scisetti - Fotolia.com
ছবি: Fotolia/Marco Scisetti

বিয়ে, পরিবার, সন্তানসন্ততি - বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জার্মানিতেও এই ধরনের সনাতনী পারিবারিক প্রথা আজও বিদ্যমান৷ কিন্তু এর পাশাপাশি অন্যান্য ধরনের পারিবারিক রূপও সমাজে জায়গা করে নিচ্ছে৷ এগুলো আইনগতভাবে স্বীকৃতিও পাচ্ছে৷ যেমন বিয়ে ছাড়াই একত্রে বসবাস, প্যাচওয়ার্ক ফ্যামিলি, সিংগেল প্যারেন্ট, সমকামী দম্পতি ইত্যাদি জীবনধারাকেও মেনে নেওয়া হচ্ছে৷ ২০০১ সালে পাস করা এক আইনে সমকামিতা সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে৷

এতো ধরনের পারিবারিক পদ্ধতিকে বুঝতে হলে অনেক সময় খেই হারিয়ে যেতে পারে৷ তাই জার্মানির প্রটেস্টান্ট গির্জা ‘ইকেডি'র পক্ষ থেকে এক ধরনের দিক নির্দেশনামূলক পেপার বের করা হয়েছে গত জুন মাসে৷ ইকেডির প্রধান নিকোলাউস শ্নাইডার এই রিপোর্টকে ‘পজিশন পেপার অন মেরিজ অ্যান্ড ফ্যামিলি' নামে উপস্থাপন করেছেন৷ এরপর থেকে দুটি ধারা গড়ে উঠেছে প্রটেস্টান্ট গির্জার ভেতরে ও বাইরে৷ একটি রক্ষণশীল অন্যটি উদারপন্থি৷ মিডিয়া, উপাসনাস্থল এমনকি রান্নাঘরের টেবিলেও আলোচনার ঝড় উঠছে বিষয়টিকে ঘিরে৷

বিয়ে ও পরিবারের এক বিশেষ ভূমিকা

জার্মানিতে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর সিভিল সোসাইটিতে বিয়ে ও পরিবারের এক বিশেষ ভূমিকা ছিল৷ বাবা, মা, সন্তান এই নিয়ে গড়ে ওঠে একটি পরিবার৷ বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে জাতীয় সমাজতান্ত্রিকদের আমলে পরিবারের এই ছবিকে আদর্শ হিসাবে ধরে নেওয়া হয়৷ সমকামিতা আইনত নিষিদ্ধ করা হয়৷

ক্যাথলিক ও অর্থডক্স খ্রিষ্টানদের কাছে পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন৷ ঈশ্বরের পবিত্র নির্দেশ৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরিবারের চিরাচরিত চিত্রটা পাল্টাতে শুরু করে৷ যদিও পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্বে বাবা আর সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে মায়ের স্থানটি শক্তপোক্তই ছিল অনেকদিন৷ সত্তরের দশকের মাঝামাঝি অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে৷ খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধ থেকে অনেকেই দূরে সরে যেতে শুরু করেন৷ গুরুত্ব দিতে থাকেন মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ককে৷

সবধরনের পারিবারিক বন্ধনকে স্বীকার করা হয়

প্রটেস্টান্ট গির্জার ১৬০ পৃষ্ঠাব্যাপী দিক নির্দেশমূলক লেখায় কী রয়েছে, তা এখন খতিয়ে দেখা যাক৷ ২০০৯ সাল থেকে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধ ও পারিবারিক বিবর্তন সংক্রান্ত একটি পেপার নিয়ে কাজ করছেন৷ যার সারমর্ম: প্রটেস্টান্ট গির্জা সবধরনের পারিবারিক বন্ধনকে স্বীকার করে৷ এর মধ্যে রয়েছে সমকামী ও প্যাচওয়ার্ক পরিবারও৷ বিশেষ করে প্রটেস্টান্টদের উদারপন্থি শাখাটি এই বক্তব্যকে স্বাগত জানান৷ ‘ইকেডি-পেপারে'র অন্যতম রচয়িতা শ্টেফানি শার্ডিয়েন ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আধুনিক সমাজের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হয় গির্জাকে৷ পরিবারের বিভিন্ন ধরনের রূপ আজ স্পষ্টই লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷''

অন্যদিকে প্রটেস্টান্টদের রক্ষণশীল ধারাটি এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, এতে বিয়ে ও পরিবার সম্পর্কে খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধকে অস্বীকার করা হয়েছে৷

‘জার্মান এভানগেলিক্যাল অ্যালায়েন্স' এর প্রধান মিশাইল ডিনার ইকেডির পরিবার সংক্রান্ত এই দিকনির্দেশনামূলক লেখাটিকে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান৷ কারণ হিসাবে বলা হয়, এতে পরিবারের চিরাচরিত সংজ্ঞাকে বাতিল করে ইচ্ছামত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ তবে এই দাবির কাছে মাথা নত করেননি ইকেডি প্রধান শ্নাইডার৷

বিয়ে হলো ঈশ্বরের আশীর্বাদ

শ্নাইডারের পূর্বসূরি বার্লিনের বিশপ ভল্ফগাং হুবারও এব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করেন৷ হুবারের মতে, বিয়ে হলো ঈশ্বরের আশীর্বাদ৷ এ কারণে নৈতিক দিক দিয়েও দাম্পত্য জীবনের অগ্রাধিকার রয়েছে৷ যিশুও বিবাহ বন্ধনকে অটুট বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ এসব কিছুই দিক নির্দেশনামূলক পেপারটিতে উঠে আসেনি৷

চারজন খ্যাতনামা ধর্মতত্ত্ববিদ জানিয়েছেন যে ইকেডি-পেপারে আধ্যাত্মিক বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ কিন্তু ইকেডি প্রধান শ্নাইডার এই প্রসঙ্গে বলেন, এই রিপোর্টে বিয়ে ও মূল পরিবারের গুরুত্বকে অস্বীকার করা হয়নি৷ পাশাপাশি সিংগেল প্যারেন্ট ও প্যাচওয়ার্ক ফ্যামিলিকেও মূল্য দেওয়া হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ শেষ কথা বলা হয়নি এখনও৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ