কথাটা বলেছেন এমন এক জার্মান আইনজীবী, যিনি একা ৬০ হাজার বিবাহবিচ্ছেদের মামলার দায়িত্বে ছিলেন৷ তাঁর মতে মানুষজন বিয়ে করেই এই ভেবে যে, ঠিকমতো না চললে ডিভোর্স করে দেওয়া যাবে৷
বিজ্ঞাপন
হলিউডে বা লাস ভেগাসে নাকি শোনা যায়, আজ বিয়ে, কাল ডিভোর্স! জার্মানিতে ব্যাপারটা অতটা সহজ নয় – আবার খুব যে একটা শক্ত, এমনও নয়৷ স্বামী-স্ত্রীর এক বছর বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে, একেবারে সম্পর্ক ভেঙে; সেই সঙ্গে তা আবার জোড়া লাগার কোনো সম্ভাবনা থাকলে চলবে না৷ অথবা দু'পক্ষের মধ্যে অন্তত একপক্ষকে সেই সম্ভাবনা প্রকাশ্যভাবে নাকচ করতে হবে৷
ডিভোর্সের বাকি যা সব খুঁটিনাটি, যেমন সম্পত্তি ভাগ, খোরপোশ, সন্তানের অভিভাবকত্ব – এ সব তো আছেই৷ বড় কথা হলো, বিয়ে কার দোষে ভাঙছে, তার সাক্ষ্যপ্রমাণের দরকার নেই৷ তাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের আপত্তি সত্ত্বেও বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে৷ জোর করে কাউকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে রাখার কোনো প্রশ্নই ওঠে না৷
কিছু পরিসংখ্যান, এই ধরা যাক ২০১৩, ২০১৪ সাল মিলিয়ে৷ ২০১৪ সালে জার্মানিতে ১ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি ডিভোর্স হয়েছে৷ এর মধ্যে অর্ধেক দম্পতির অপ্রাপ্তবয়স্ক কাচ্চাবাচ্চা ছিল৷ গড়ে এই সব বিয়ে টিঁকেছে ১৪ বছর ৮ মাস৷ এই হারে ডিভোর্স চলতে থাকলে জার্মানিতে এক বছরে যত দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, তাদের ৩৫ শতাংশ আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হবেন৷
ভালোবাসার যত্ন
‘ভালোবাসা’-র মানুষকে কাছে পাওয়ার জন্য প্রথমদিকে যেমন আবেগ, উৎসাহ আর আগ্রহ থাকে, ধীরে ধীরে তেমনই তা ম্লান হয়ে যায় যা খুবই স্বাভাবিক৷ তারপরও কীভাবে সম্পর্ককে মধুর, আনন্দময় রাখা যায় – সে বিষয়ে এই ছবিঘরে পাবেন কিছু ‘টিপস’৷
ছবি: Highlight
মিলেমিশে কাজ করা
প্রায়ই দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনে একসাথে বাইরে থেকে ফিরলেন৷ কিন্তু খাবার তৈরি বা সংসারের অন্য কাজে লেগে গেলেন স্ত্রী৷ আর স্বামী টিভি চালিয়ে বসলেন সোফায়৷ এমনটা না করে বরং সংসারের কাজকর্ম দু’জনে মিলেমিশে শেষ করে, পরে একসাথে দু’জন মিলে টিভি দেখুন বা গল্প করুন৷ সারাদিন কে কী করলেন একে অপরেকে জানান৷
ছবি: Fotolia/Yuri Arcurs
ক্রুটি বড় করে না দেখা
একসাথে থাকতে গেলে অনেক সময় ছোটখাটো অভ্যাসগুলো অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ একজন হয়ত সব সময় মোজা খুলে বিছানায় রেখে দেন৷ অপরজন চুথপেস্টের ঢাকনা লাগাতে যান ভুলে৷ অনেক পরিবারে এ সব ছোটখানো বিষয় নিয়ে অযথা ঝগড়া শুরু হয়৷ তাই এই সব বিষয়গুলো এড়িয়ে চললে জীবন কিন্তু অনেক মধুর হতে পারে৷
ছবি: Fotolia/dkimages
স্বীকৃতি
সব মানুষই মাঝে মাঝে তাঁর কাজের স্বীকৃতি চায়, এমনকি সংসারের কাজের ক্ষেত্রেও৷ তাই মাঝে মধ্যে একে অপরকে সে কথা জানান৷ আরো রোম্যান্টিক হয়, যদি কথাটা জানানো যায় ছোট্ট একটি ‘নোট’ লিখে অথবা এসএমএস-এর মারফত৷ দেখবেন পরের দিন কাজের আগ্রহ তো বাড়বেই, তার সঙ্গে আপন মানুষটিকে মনে হবে আরো কাছের৷
ছবি: Fotolia/mars
প্রশংসা
অনেকদিন একসাথে থাকার ফলে সব কিছুই কেমন যেন সাধারণ ব্যাপার হয়ে যায়৷ তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, নতুন পোশাক বা হেয়ার স্টাইলে আপনার সঙ্গিকে সুন্দর লাগছে – এ কথা বলতে একদম সংকোচ করবেন না৷ আসলে এমন ছোটখাটো প্রশংসার ‘এফেক্ট’ কিন্তু অনেক বড় হয়৷ অর্থাৎ ‘প্রশংসা ছোট তবে তার এফেক্ট বড়’৷
ছবি: Fotolia/Subbotina Anna
ভালোবাসার স্পর্শ
ভালোবাসা গাছের মতো, যত যত্ন করা যাবে ততই বাড়বে৷ ভালোবাসার স্পর্শে ডালপালা ফলে-ফুলে ভরে যায়, আর অযত্নে যায় শুকিয়ে৷ অনেক দম্পতি মনে করেন, ‘ভালোই তো আছি, আবার ভালোবাসা দেখাতে হবে কেন? অথচ ভালোবাসা দেখালে দাম্পত্য জীবন হতে পারে মধুময়৷ ঠিক গাছের মতোই যত্ন নিন৷ হঠাৎ করেই ফুল বা ছোটখাটো উপহার দিয়ে আপনার প্রিয়া বা প্রিয়তমকে দিন চমকে!
ছবি: Nelson Almeida/AFP/Getty Images
‘হবি’ বা সখ
মাঝে মাঝে কখনো নিজেরা একসাথে এমন কিছু করুন, যাতে অন্য ধরণের গল্প বা আলোচনা হতে পারে৷ একসাথে সাইকেল চালাতে বা হাঁটতে যেতে পারেন৷ খোলা আকাশের নীচে প্রাণ খুলে হাসুন বা কথা বলুন৷ একে অপরের সাথে সব কিছু ভাগাভাগি করার নামই যে বন্ধুত্ব, আর সেটাই তো দীর্ঘ ও সুখি দাম্পত্যের আসল কথা৷
ছবি: Foto: Ahrtal-Tourismus Bad Neuenahr-Ahrweiler e.V.
রাগ পুষে রাখতে নেই
রাগ, অভিমান ছাড়া কি দাম্পত্য জীবন মধুর হয়? রাগ, দুঃখ, অভিমান তো থাকবেই৷ কিন্তু তাই বলে রাগ যেন বেশিক্ষণ না থাকে৷ দিনের শেষে রাগ ভুলে অপরের কাছে এগিযে যান৷ রাগ বা মান ভাঙানোর উত্তম সময় সেটা৷ তা না হলে দু’জনকেই হয়ত না ঘুমিয়ে সারাটা রাত কাটাতে হবে, যার প্রভাব পড়বে পরবর্তীতেও৷
ছবি: Fotolia/drubig-photo
কিছুটা দূরত্ব
মাঝে মধ্যে দাম্পত্য জীবনের সব কিছুই একঘেয়েমি মনে হতে পারে৷ তাই স্বামী তাঁর সহকর্মী বা পুরনো বন্ধুদের সাথে কখনো আড্ডায় যেতে পারেন৷ স্ত্রী তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু-বান্ধবী বা কাছের কোনো মানুষের সাথে শপিং বা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন৷ এতে নিজেদের অনেকটা হালকা মনে হবে৷ মাঝে মাঝে একটু দূরত্ব কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একে-অপরকে কাছে পাওয়ার আনন্দ বাড়িয়ে দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
বিবাহিত জীবনের জন্য পুরস্কার
দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের জন্য বেশ কয়েকটি দেশে পুরস্কার দেওয়ার রীতি রয়েছে৷ পোল্যান্ডের কোনো দম্পতির ৫০ বছর পূর্ণ হলে তাঁদের প্রেসিডেন্ট পদক দেওয়া হয়৷ অ্যামেরিকায় ৫০ বছর হলে হোয়াইট হাউস থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়৷ আর ইংল্যান্ডে ৬০ বছরের বিবাহবার্ষিকী পালন করা কোনো দম্পতিকে রানির কাছ থেকে বার্তা পাঠানো হয়৷
ছবি: Fotolia/contrastwerkstatt
ঝগড়া এড়িয়ে চলুন!
ঝগড়া অকালমৃত্যুর কারণ হতে পারে৷ ডেনমার্কের কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, যাঁরা খুব বেশি ঝগড়া করেন তাঁদের অকালমৃত্যুর ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি৷ কাজেই ঝগড়া এড়িয়ে চলুন!
ছবি: goodluz - Fotolia
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পরে
খাওয়ার আগে কখনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় যাবেন না৷ পারলে মিষ্টি কিছু খেয়ে নেবেন৷ কারণ ওহাইয়ো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞনীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, শরীরে শর্করার পরিমাণ কম হলে একে-অপরের প্রতি রাগ, ক্রোধ কেমন যেন আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠে৷ বলা বাহুল্য, গ্লুকোজ বা শর্করা মানুষের শরীরে জ্বালানির মতো কাজ করে৷
ছবি: Highlight
11 ছবি1 | 11
দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই বেশি ডিভোর্সের আবেদন করে থাকেন – ৫২ শতাংশ; পুরুষরা সে তুলনায় ৪০ শতাংশ৷ বাকি ৮ শতাংশের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে আবেদন করেছেন৷ মনোবিদরা বলেন, মহিলারা আবেগ-অনুভূতির দিক দিয়ে দেউলিয়া বিবাহ বা অতৃপ্তিকর সম্পর্ক অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য টিঁকিয়ে রাখতে রাজি নন৷ তার একটা কারণ দৃশ্যত এই যে, পুরুষদের চেয়ে মহিলারা বেশি ‘একলা' থাকতে পারেন; অপরদিকে তাঁরা তাঁদের সামাজিক ‘নেটওয়ার্কের' কাছ থেকে অনেক বেশি অন্তরঙ্গতা ও সাহায্য পান৷
কার্যকারণ
পরিসংখ্যানই বলে, জার্মানিতে বিবাহবিচ্ছেদের সবচেয়ে বড় কারণ হল স্ত্রী অথবা পুরুষ – বিশেষ করে পুরুষদের বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক৷ অন্যান্য কারণগুলো পরিসংখ্যান ছাড়াই বোধগম্য: যেমন কমিউনিকেশন গ্যাপ বা বোঝাপড়ার অভাব; স্বামী-স্ত্রীর যৌনজীবনে ভাঁটা পড়েছে; বাড়িতে কর্তা কুটোটি নাড়েন না; সেই সঙ্গে গোঁয়ার্তুমি; ছেলেপিলে মানুষ করা নিয়ে মতান্তর; ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, অর্থাৎ বাড়িতে মারধোরের ঘটনা ঘটলে তো আর অন্য কোনো কারণ অনুসন্ধান করার প্রয়োজনই নেই৷
খেয়াল করবেন, এ সব কারণ যে অন্যান্য দেশে ও সমাজে উপস্থিত নেই, তা নয়৷ জার্মান সমাজে এই সব কারণে একটি বিবাহ ভেঙে যেতে পারে, আইনগত ও সরকারিভাবে একজন দম্পতি বিচ্ছিন্ন হতে পারেন৷ জার্মানিতে ২৫ বছর বিবাহের পর বিচ্ছেদের ঘটনাও কিছু বিরল নয়, হয়ত দু'টি মানুষ জীবনের পথ চলার অবসরে কখন যে একজন অপরের থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছেন, তা তাঁরা বুঝতেই পারেননি, সেই কারণে৷
শুধু বিবাহই নয়, যে কোনো সম্পর্কই তো এক ধরনের বাঁধন৷ তবে কি কখনো-সখনো শুধুমাত্র বাঁধন কেটে মুক্তির আশাতেই মানুষ বিয়ে ভেঙে দেয় না? দেবে না কেন, নারী-পুরুষের সম্পর্কে ঘটে না বা ঘটতে পারে না, এমন কিছু নেই৷ যে কারণে সেই সম্পর্কে নিয়ে নাটক-নভেল-চলচ্চিত্রের স্রোত কোনোদিনই বন্ধ হয়নি, হবে না৷
তাহলে জার্মানির বিবাহবিচ্ছেদ পরিস্থিতিতে নতুনটা কী? নতুনটা নারী-পুরুষের সম্পর্কে নয়; নতুনটা নারী-পুরুষের সহবাস থেকে শুরু করে বিবাহবিচ্ছেদ, এমনকি তার পর অবধি উভয়ের পরস্পরের প্রতি আচরণে ও তার আইনগত ও সামাজিক কাঠামোয়৷ নারী-পুরুষের আদিম সম্পর্ককে যেন আনা হয়েছে সভ্যতার কাঠামোয়, সমানাধিকারের কাঠামোয়৷
প্রেম থেকে বিবাহ বা বিবাহের পরে প্রেম – শেষমেষ যদি তা বিচ্ছেদেই সমাপ্ত হয়, তাহলেও তা একটি বিয়োগান্ত প্রেমকাহিনীই থেকে যায়৷ জার্মানিতে ডিভোর্স সংক্রান্ত কলহ, তিক্ততা, মনোমালিন্য, শঠতা, কপটতার নাটককে বলা হয় ‘রোজেনক্রিগ', মানে গোলাপ ফুলের যুদ্ধ৷ সমাজ খেয়াল রাখে, যাতে সেই যুদ্ধ সভ্যতা ও ন্যায়বিচারের মাত্রা ছাড়িয়ে না যায়৷
হয়ত সেই কারণেই এত ডিভোর্স সত্ত্বেও কোনো জার্মানকে কখনো হায়হুতাশ করতে শুনিনি – সমাজ রসাতলে গেল, দেশ রসাতলে গেল৷ গেছে কি? আপনারা কি বলেন?
বিবাহবিচ্ছেদ শুধু ব্যক্তির সমস্যা নয়, সমাজেরও৷ এ কথা কি আপনি বিশ্বাস করেন?
প্রেমে পড়লে কী হয়, কেন হয়?
ভালোবাসা আর মানসিক অসুস্থতায় কতটা মিল? প্রশ্নটা মোটেই মজা করে করা হয়নি৷ বিজ্ঞানীরা রীতিমতো গবেষণা করে এর উত্তর খুঁজেছেন৷ গবেষণা শেষে কী পেয়েছেন তা জানাতেই আজকের এই ছবিঘর৷
ছবি: picture alliance/chromorange
প্রেমে পড়া
প্রেমে পড়লে শরীরে তার কী কী প্রতিক্রিয়া হয়? হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, হাত ঘামতে থাকে, পেটের ভেতর কেমন শিরশির করে যেন একটা আরশোলা ঘুরে বেড়ায়৷ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এক ধরণের হরমোন আমাদের মনে উত্তেজনা ছড়ায় আর তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই ওইসব ঘটে৷ যে হরমোনের জন্য মন এত উতলা হয় তার নাম কী?
ছবি: Fotolia/Africa Studio
যার কারণে...
প্রেমে পড়লে দেহ-মনে যেসব প্রতিক্রিয়া হয় তার জন্য দায়ী টেস্টোস্টেরন নামের এক হরমোন৷ কোনো মানুষ বিপরীত লিঙ্গের কারো প্রতি আকৃষ্ট হলে টেস্টোস্টেরন বাড়তে শুরু করে৷ প্রেমের ওই প্রাথমিক ধাপেই দেখা দেয় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, হাত কাঁপার মতো উপসর্গগুলো৷ দেখা গেছে, প্রেমে পড়া মানুষের দেহে অন্য সব মানুষের তুলনায় টেস্টোস্টেরন অনেক বেশি থাকে!
ছবি: Fotolia/G. Sanders
প্রেমের নেশা
প্রেমের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে নেমে পড়ে ডোপামিন৷ এই হরমোন-এর অন্য নাম, ‘সুখের হরমোন’৷ শুধু প্রেমে পড়লেই যে এই হরমোন ক্রিয়াশীল হয় তা কিন্তু নয়, কোকেন বা সিগারেটের নেশা করলেও ডোপামিন উজ্জীবিত হয়৷ এ কারণেই অনেকে বলেন, প্রেমে পড়া আর নেশা করা একই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Patrick Pleul
পাগলপ্রায়....
সেরোটোনিন নামে এক ধরণের হরমোন আছে যা আমাদের মনের আনন্দ আর আবেগকে স্থির রাখে৷ প্রেমে পড়লে সেরোটোনিন কমে যায়৷ ফলে প্রেমিক-প্রেমিকার আবেগ সংবরণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে৷ তারা তখন ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারেনা৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
আড়ালের আরেক প্রভাবক
প্রেমের যে পর্যায়ে বুক ধড়ফড় করে, হাত ঘামায় তখন অ্যাড্রেনালিন নামের একটা হরমোনও খুব বেড়ে যায়৷ এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে ক্ষুধা কমে যায়৷ কম খাওয়া-দাওয়া করার ফলে শরীর দ্রুত ভেঙে পড়তে থাকে৷
ছবি: Getty Images/AFP
চিরকালীন আস্থা
প্রেমে পড়ার তিন-চার মাস পর সাধারণত সম্পর্কে একটা স্থিতি আসে৷ তখন শুরু হয় আরেক হরমোন অকসিটোসিনের কাজ৷ এই হরমোন দেহে বিশেষ বিশেষ মুহূ্র্তে, যেমন মা যখন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান, তখন তৈরি হয়৷ এই হরমোনের কারণে দু-জনের সম্পর্কটা আরো ঘনিষ্ঠ হয়৷ প্রেমিক-প্রেমিকা যখন চুম্বন করে, তখনও দুজনের শরীরে অকসিটোসিন তৈরি হয়৷ আর এভাবেই দুজন দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের পথে এগিয়ে যায়৷