1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বীর মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনার বিচার দাবিতে আল্টিমেটাম

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে কিছু দুর্বৃত্ত৷

জাতীয় স্মৃতিসৌধ
জাতীয় স্মৃতিসৌধছবি: bdnews24.com

লাঞ্ছিত মুক্তিযোদ্ধার প্রশ্ন, ‘‘আমি কোন বাংলাদেশে আছি? এটা কি পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর বাংলাদেশ, নাকি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমাদের অর্জন করা স্বাধীন বাংলাদেশ?’’

গত রবিবার দুপুরের দিকে চৌদ্দগ্রামের কুলিয়ারা বাজারে রক্তচাপ মাপাতে গিয়েছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা৷ সেখানে যাওয়ার পর কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায় কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে৷ সেখানে তাকে মারধর করা হয়৷ মাটিতে ফেলে তাকে লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ৷ এক পর্যায়ে তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে ভিডিও করে ওই হামলাকারীরা৷ এলাকা ছেড়ে দেওয়ার শর্তে এক সময় তিনি ছাড়া পান৷

রবিবার দুপুরের এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে রাতে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে৷ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণী, পেশার মানুষ প্রতিবাদ জানান৷

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা৷ তিনি আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি৷ স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি মুজিবুল হকের সঙ্গে বিরোধে জড়ানোয় তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ আমলেই একাধিক মামলা হয়৷ এ কারণে ৮ বছর এলাকার বাইরে ছিলেন তিনি৷ সম্প্রতি তিনি এলাকায় ফেরেন৷

তবে রোববারের ঘটনার পর বাধ্য হয়ে আবার তিনি এলাকা ছাড়েন৷ টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘পাশের জেলায় ছেলের বাসায় অবস্থান করছি৷ এর আগে এখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি৷ আমার হার্টে রিং লাগানো৷ ডায়াবেটিস আছে৷ আমার বয়স এখন ৭৭ বছর৷ প্রেশার কম-বেশি হয়৷ এছাড়া শরীরে নানা ধরনের জটিল রোগ-ব্যাধি আছে৷’’

এটা কি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমাদের অর্জন করা স্বাধীন বাংলাদেশ: আবদুল হাই কানু

This browser does not support the audio element.

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর ছেলে গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাবা আগে থেকেই অনেক অসুস্থ৷ ঘটনার পর তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷ নিরাপত্তার কারণে পাশের একটি জেলায় তাকে আমরা রেখেছি৷ যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা এখন অত্যন্ত প্রভাবশালী৷ ফলে পুরো পরিবারের নিরাপত্তা-সংকট রয়েছে৷ আমরা বিচারের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চাই৷’’

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যা দেখা গেছে

ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, এক মধ্যবয়সি ব্যক্তি ও কয়েকজন যুবক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে৷ লাল কটি ও পাঞ্জাবি পরা বীর মুক্তিযোদ্ধার গলায় তখন জুতার মালা৷ এ সময় পাশ থেকে একজন বলছেন মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে৷ অপরজন বলছেন কুমিল্লা ছেড়ে চলে যেতে৷ এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু বাড়ি ছেড়ে যাবেন না বললে মধ্য বয়সি ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমরা এত বছর বাড়িতে থাকতে পেরেছি?'' এ সময় আরেক জন বলে ওঠেন, ‘‘আপনি পুরো গ্রামের মানুষের কাছে মাপ চাইতে পারবেন?'' এসময় তিনি হাত জোড় করে সবার কাছে মাফ চান৷ এক পর্যায়ে তাকে দুই হাত ধরে দু'জন ব্যক্তি সামনের দিকে নিয়ে যান৷ এ সময় একজন বলেন, তিনি কুমিল্লা আউট, এলাকা আউট, ছেড়ে দাও৷’’

এরা কারা?

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এদের চারজনকে আমি চিনতে পেরেছি৷ এরা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এলাকার সংসদ সদস্য জামায়াতের ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের লোক৷ এরা সবাই জামায়াত সমর্থক৷ এদের মধ্যে প্রথমে আবুল হাশেম মজুমদার আমাকে মারধর করে৷ এরপর ওহিদুর রহমান মাটিতে ফেলে লাথি দেয়৷ এছাড়া রাসেল মজুমদার ও নয়নকে আমি চিনতে পেরেছি৷ এদের বাইরেও ১০-১২ জন ছিল৷

মুক্তিযোদ্ধার ছেলে গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ‘‘স্থানীয় জামায়াত সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে অহিদুর রহমান, পেয়ার, বেলাল, ইসমাইল, রাসেল, ফারহান, ফরহাদ, নয়নসহ ১০-১২ জন আমার অসুস্থ বাবাকে স্থানীয় পাতড্ডা বাজার থেকে ধরে নিয়ে স্কুলের সামনে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে৷ ভিডিওতে তাদের ছবিও আছে৷’’

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মো. মাহফুজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এ ঘটনার সাথে স্থানীয় জামায়াতের কোন সম্পৃক্ততা নেই৷ প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না৷ এ বিষয়ে আরো খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে৷ জড়িতরা আমাদের কেউ হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ আমরাও এই ঘটনার বিচার চাই৷’’

আগে আওয়ামী লীগের এমপির, এখন একাত্তরের পরাজিত শক্তির রোষানলে

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের রেষানলে পড়ার কারণ জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘‘২০১৬ সালে মুজিবুল হকের সিদ্ধান্তের বাইরে আমার ছেলে চেয়ারম্যান নির্বাচন করে৷ সেই থেকে আমরা এমপির রোষানলে পড়ি৷ এরপর থেকে আমার ও ছেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলা দিয়েছে৷ কোনো কোনো মামলার চার্জশিটও দিয়েছে৷ ৮ বছর আমরা এলাকায় আসতে পারিনি৷’’

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরো বলেন, ‘‘মুজিবুল হক নানাভাবে আমাদের পরিবারকে হয়রানি করেছেন৷ একটি মামলায় আমাকে কারাগারেও যেতে হয়৷ কারাগারে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের সঙ্গেও কয়েকদিন ছিলাম৷ মুজিবুল হকের লোকজন আমার গলায় ছুরি পর্যন্ত বসিয়েছে৷ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমি গ্রামের বাড়িতে আসি৷ ভেবেছিলাম, এবার স্বস্তিতে গ্রামে থাকতে পারবো৷ কিন্তু ওরা আমার সঙ্গে যা করেছে, সেটা পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর চেয়েও নৃশংস ছিল৷’’

মুক্তিযোদ্ধা কানু ছিলেন উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য৷ ছেলের নির্বাচনের পর ২০১৬ সালে যুবলীগ নেতা রানা হত্যা মামলায় এই মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলে বিপ্লবকে আসামী করেন৷ পরে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেওয়া হয়৷ মামলায় মুক্তিযোদ্ধা কানু গ্রেপ্তারও হন৷ পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকা ছাড়েন৷

মুক্তিযোদ্ধাদের আল্টিমেটাম

এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা নেতারা৷ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল আহমেদ বাবুল সোমবার এক প্রতিবাদ সমাবেশে বলেন, ‘‘মুক্তিযোদ্ধা কানু আওয়ামী লীগ করেও বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা হামলার শিকার হয়েছেন৷ কারাগারে গেছেন৷ তার ভুলক্রটি থাকলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ ছিল৷ কিন্তু এভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই৷ আমরা সরকারকে বলবো, ১২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে, না হয় সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামবেন৷’’

চৌদ্দগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার প্রথম রঞ্জন চক্রবর্তী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই৷ কিভাবে এই জাতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তার সম্মান ফেরত দেবে? এই ঘটনার সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, আমরা তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি৷’’

এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি নেতারা সোমবার বিকেলে একটি মিছিল করেছেন৷ সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ফোন

শুরুতে পুলিশ রোববারের ঘটনাকে খুব  গুরুত্ব দেয়নি৷ তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তারা নড়েচড়ে বসে৷ চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আক্তারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে আজ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছে৷ আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি৷’’

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ৷ এদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত আবুল হাশেম মজুমদারও আছে৷ তবে গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওসি এ টি এম আখতারুজ্জামান৷ তিনি বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি সংস্থা এখানে কাজ করছে৷ ফলে অন্য কেউ গ্রেপ্তার বা আটক করেছে কিনা জানি না৷’’

ওসি বলেন, ‘‘ঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধা মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে অবগত করেছিলেন৷ এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন৷ তবে রাতে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার  পর আবারও তাকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে৷ অভিযোগ দেবেন কিনা এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না৷’’

ওসি বলেন, ‘‘এরই মধ্যে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে সাতজনকে শনাক্ত করা হয়েছে৷ এরা একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য বলে এলাকাবাসী আমাদের জানিয়েছেন৷’’

আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি: এ টি এম আক্তারুজ্জামান

This browser does not support the audio element.

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কানু ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, তিনি মামলা করবেন৷ জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে এখন তাকে মামলাটি করতে হবে বলেও জানান তিনি৷

প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে৷ এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড পেজেও এই নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়৷

বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই৷ পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷'' বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘‘স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল হাই হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি৷ আমরা সবাইকে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি৷’’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাস

সোমবার পিলখানায় বিজিবি সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর গলায় যারা জুতার মালা দিয়েছে, তারা দুষ্কৃতকারী৷ তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে৷'' সাংবাদিকের তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্থা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে৷ কিছু দুষ্কৃতকারী সব যায়গাতেই আছে, তারাই এসব করছে৷’’

জামাতের দুই সমর্থক বহিষ্কার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় দুই সমর্থককে বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী৷ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় দলটির কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগের মধ্যে দু'জন সমর্থককে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী৷ বহিষ্কৃত সমর্থকরা হলেন- উপজেলার কুলিয়ারা গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে মু. আবুল হাশেম এবং মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে মু. অহিদুর রহমান৷

প্রসঙ্গত এই দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা ও লাঞ্ছনায় সরাসরি সম্পৃক্ত বলে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু অভিযোগ করেছেন৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ