1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুড়িগঙ্গার পানি দূষণে সারা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে : হাইকোর্ট

১০ জুন ২০১১

বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, হাইকোর্ট অভিমত দিয়েছে যে এই পানিকে আর পানি বলা যায়না৷ আদালত মনে করে, এতে সারা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে৷

বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ খালি চোখেই দেখা যায়ছবি: AP

বুড়িগঙ্গার পাশেই হাজারিবাগ ট্যানারি৷ বলা বাহুল্য, পানি দূষণের মুল কারণ এই ট্যানারি৷ গত ১লা জুন হাইকোর্টের এই দায়িত্বশীল অভিমতের খবর বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাগুলোর শীর্ষে স্থান পায়৷ আদালত ক্ষোভের সঙ্গে বলেছে, বুড়িগঙ্গার পানিকে আর পানি বলা যায় না৷ সব ধরনের বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা এই পানি দূষিত হয়েছে৷ এতে শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে৷ এদিন একটি রুলিং-এর ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে দুইজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বলেছে, ‘‘এই অবস্থার আশু সমাধান না হলে নাগরিকরা আরো ব্যধিগ্রস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পরিবেশ রক্ষা যেন কারোরই দায়িত্ব নয়৷''

বুড়িগঙ্গার উপর মানুষ অত্যন্ত নির্ভরশীলছবি: picture-alliance / dpa/dpaweb

আদালত এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করে এবং তাদের কর্মকাণ্ডে ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা' প্রকাশ করে বলে, ‘‘সংস্থাটি তাদের দায়িত্ব পালন না করার ফলেই পানির এই অবস্থা৷ এতে প্রতীয়মান হয়, জনগণের অর্থে পরিচালিত এই সংস্থাটি তাদের দায়িত্ব পালন করছে না৷ অথচ নদীকে দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত রাখাই এই সংস্থার দায়িত্ব৷ এই অবস্থা কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যায় না৷''

হাজারিবাগ ট্যানারি বুড়িগঙ্গার পানির কী ধরণের ক্ষতি হচ্ছে সেই সম্পর্কে, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বললেন, ‘‘যে কোন ট্যানারি থেকে যে বর্জ্যটা আসে, সেই বর্জ্য মানব স্বাস্থ্যের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর৷''

বুড়িগঙ্গার উপর নৌকার ভিড়ছবি: AP

বুড়িগঙ্গার দখল রোধে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলিং জারি করেছেন আরো আগে৷ গত ৬-ই ফেব্রুয়ারি তা জারি করা হয়৷ তাছাড়া বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট৷ রুলিং'এর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ১লা জুন এই তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়৷

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বললেন, ‘‘এটা অনেক ধরণের দূষণ জন্ম দিচ্ছে, এক তো হচ্ছে, এটি আবাসিক এলাকায়, নগর জীবনে সুস্থ পরিবেশে বেঁচে থাকার অধিকারকে এটা খর্ব করছে৷ আবাসিক এলাকার আবাসিক প্রকৃতি ফিরিয়ে দিতে, ঐ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই শিল্প এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কোন বিকল্প নেই৷''

বুড়িগঙ্গা কি তবে হারিয়ে যাবে ?ছবি: DW/Swapan

বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত সব পয়ঃপ্রণালী এবং শিল্প কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন লাইন এক বছরের মধ্যে বন্ধ করতে ওয়াসা চেয়ারম্যানকে নির্দেশও দেয় বেঞ্চ৷ নদী দূষণরোধে কোন গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ