বুন্ডেসলিগা
২৬ জানুয়ারি ২০১২জাতীয় দলের পর বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড ক্লাব লিগ ফুটবলেও একই পন্থা অনুসরণ করে গতবছরের বুন্ডেসলিগা খেতাবটি তুলে নিয়ে যায়৷ এবং হালে প্রতি বুন্ডেসলিগা সপ্তাহান্তে কোনো না কোনো ক্লাবের কোনো না কোনো তরুণ খেলোয়াড় চমক দিচ্ছে এবং সাড়া জাগাচ্ছে৷
ভল্ফসবুর্গের সেবাস্টিয়ান পোল্টার'এর বয়স মাত্র ২০৷ কোচ ফেলিক্স মাগাথ যখন নগদমূল্যে অন্যত্র অভিজ্ঞ পেশাদারদের খরিদ্দারিতে ব্যস্ত, তখন ক্লাবের জুনিয়র টিম থেকে উঠে আসা পোল্টার বিগত দু'টি খেলায় ভল্ফসবুর্গের হয়ে জয়ের গোলটি করেছে৷ তা'তে মাগাথ'কে কিছু ব্যঙ্গের হাসিও সহ্য করতে হয়েছে বৈকি৷
অথবা ধরা যাক ফ্রাইবুর্গ'এর কথা৷ তাদের মাথিয়াস গিন্টার বৃহস্পতিবার আঠেরোয় পা দেয়, এবং শনিবার ক্লাবের হয়ে জয়সূচক গোলটি করে৷ ফলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এই সোমবারেই তাকে পাকা কনট্র্যাক্ট দিয়েছেন৷ - অন্যদিকে শনিবার শালকে'র হয়ে গোল করেছে ইউলিয়ান ড্রাক্সলার, কিরিয়াগোস পাপাদোপুলোস এবং জোয়েল মাতিপ - যাদের বয়স যথাক্রমে ১৮, ১৯ এবং ২০৷
বলতে কি, ইউরো ২০০০'এ জার্মানির বিপর্যয়ের পরই হাওয়া ঘুরতে শুরু করে৷ জার্মান জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন ডিএফবি জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে ট্যালেন্ট স্কাউটিং এবং ট্রেনিং পদ্ধতি ঢেলে সাজায়৷ তার ফলে জাতীয় জুনিয়র দলগুলি কয়েকটি আন্তর্জাতিক খেতাব জেতে৷ এমনকি ফুটবলের আপন দেশ ইংল্যান্ডেও ‘জার্মান সিসটেম' নিয়ে আলোচনা শুরু হয়৷ এবং ২০১০'এর বিশ্বকাপে জার্মানির মেসুত ওয়েজিল, থমাস ম্যুলার, সামি খেদিরা ইত্যাদি কচিকাঁচাদের দাপট দেখার পর কোনো তরফেই আর কোনো সন্দেহ থাকে না৷
পরের বুন্ডেসলিগা মরশুমেই ডর্টমুন্ড মারিও গোয়েটসে, কোভিন গ্রোসক্রয়েৎস, স্ভেন বেন্ডার ইত্যাদিদের নিয়ে সোজা চ্যাম্পিয়নশিপ অবধি দৌড় দেয়৷ সব মিলিয়ে, কি জাতীয় ফুটবল, কি লিগ ফুটবল, সর্বত্রই ঐ ‘জার্মান সিসটেম'-টা ভালোই কাজ করছে, বলেছেন জাতীয় কোচ ইওয়াখিম লোয়েভ থেকে শুরু করে আন্ডার-নাইনটিন কোচ হর্স্ট রুবেশ এবং ডিএফবি'র স্পোর্টস ডিরেক্টর মাথিয়াস সামার, সকলেই৷
আরেকটি কথাও স্মরণ করা দরকার৷ গত মরশুমের বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন ডর্টমুন্ড প্রায় দেউলিয়া হবার পর স্রেফ টাকা নেই বলেই স্থানীয়, তরুণ প্রতিভাধরদের খোঁজে গিয়েছিল৷ এবার তারা এক কোটি সত্তর লক্ষ ইউরো খরচ করে বোরুসিয়া মোয়েনশেনগ্লাডবাখের ২২-বছর-বয়সী মার্কো রয়েস'কে আনিয়েছে, যে বয়েস ইতিমধ্যেই জার্মান জাতীয় দলে খেলেছে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক