1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুন্ডেসলিগায় ‘ভ্যানিশিং স্প্রে’

১৩ আগস্ট ২০১৪

বিশ্বকাপেই দেখা গেছে: রেফারি বেল্ট থেকে ক্যান বার করে দাড়ি কামানোর সাবানের মতো ফোম দিয়ে ঘাসের ওপর দাগ কেটে দিলেন৷ ফ্রি-কিকের সময় বিপক্ষের প্লেয়ারদের সেই লছমনরেখা পার হবার উপায় নেই৷ একেই বলে ‘ভ্যানিশিং স্প্রে’৷

Freistoßspray
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মান ফুটবল লিগ ডিএফএল গত সোমবার ঘোষণা করেছে যে, চলতি মরশুমে বুন্ডেসলিগার সর্বোচ্চ দু'টি ডিভিশনে রেফারিরা এই ‘ভ্যানিশিং স্প্রে' ব্যবহার করবেন৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ভ্যানিশিং স্প্রে-র সফল প্রয়োগই ডিএফএল-এর এই সিদ্ধান্তের কারণ, বলে জানিয়েছে ডিএফএল৷

‘ভ্যানিশিং স্প্রে' সারা বিশ্বের ফুটবলমোদীদের সামনে তার কার্যকরিতা প্রমাণ করেছে গত বিশ্বকাপে৷ ফুটবলের সঙ্গে ছেলেমানুষি কিংবা ছিঁচকে চুরির বোধহয় কোনো একটা গভীর, মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্ক আছে – নয়ত প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়রা থ্রো কিংবা ফ্রি-কিকের সময় প্রতিবার কয়েক গজ দূরত্ব ‘চুরি' করে কেন, সেটা কি ধরনের চালাকি কিংবা প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের নিদর্শন, তা আজ অবধি বুঝে উঠতে পারলাম না৷

কর্নারের সময় পেনাল্টি এরিয়ায় দু'পক্ষের প্লেয়ারদের মধ্যে যে ধরনের ঠেলাঠেলি, ধরাধরি চলে, তা একমাত্র কোনো পকেটমারদের কনভেনশনেই সম্ভব, বলে অনেকের মনে হতে পারে৷ আবার খেলার সাধারণ ‘ফ্লো'-র মধ্যেই সররা কিংবা লেঙ্গি মারা চলেছে, যেন প্লেয়াররা কেউ এখনো প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি ছাড়ায়নি৷ নেইমারের চোটের মতো আধা-খুনের কথা আলাদা৷ সব মিলিয়ে এ হলো ফুটবল৷

কিন্তু ছিঁচকেমোর পরাকাষ্ঠা দেখা যায় ফ্রি-কিকের সময় নয় মিটার ১৫ সেন্টিমিটার কিংবা দশ গজের দূরত্ব রাখার ব্যাপারে৷ তখন যেন ডিফেন্ডিং দলের প্লেয়াররা দম-দেওয়া টিনের পুতুলের মতো নিজের অজান্তেই এগোতে থাকেন, রেফারিকে বারংবার লাইন ঠিক করতে হয়: অথবা করতে হতো – কেননা এবার এসেছে ভ্যানিশিং স্প্রে-র লছমনরেখা৷ অপরদিকে যিনি ফ্রি-কিক করছেন, তিনি যে বল সাজানোর নাম করে বার বার বলটা আর একটু এগিয়ে নেবেন, সে পথও বন্ধ, কেননা রেফারি বলের চারপাশে গোল দাগ কেটে ‘বলবন্দি' করে দিয়েছেন৷

আহা, কাউবয় স্টাইলে কোমর থেকে ক্যান বার করে দাগ কেটে দেওয়ার মধ্যে যে কর্তৃত্ব আছে, রেফারিরা তার স্বাদ আগে পেয়েছেন কিনা সন্দেহ৷ আবার পাঠশালার পড়ুয়ার সেলেটের মতো মাঠ সাদা দাগে ভরে যাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই, কেননা এ হলো ‘ভ্যানিশিং স্প্রে', মিনিট খানেকের মধ্যেই এর আর কোনো চিহ্ন থাকে না৷ জার্মানির মতো দেশের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা অবশ্য থেকেই যাচ্ছে: যেমন খেলার সময় খুব বৃষ্টি পড়লে, কিংবা মাঠে বরফ পড়ে থাকলে (!)৷ ডিএফএল নাকি বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে সে সব সমস্যার সমাধান করছে৷

বাকি রইল শুভসূচনা: যা ঘটতে চলেছে আগামী ২২শে আগস্ট, বুন্ডেসলিগার নতুন মরশুম যেদিন শুরু হচ্ছে৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এসআইডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ