1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন মিউনিখ

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

শুক্রবার ভোল্ফসবুর্গ'কে অনায়াসে ২-০ গোলে হারিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ প্রমাণ করল, এ'মরশুমে তাদের ধারে-কাছে আসার ক্ষমতা অন্য কোনো দলের নেই৷ পয়েন্টের তালিকায় দ্বিতীয় ডর্টমুন্ডের থেকে এখন ১৮ পয়েন্টে এগিয়ে বায়ার্ন৷

ছবি: Odd Andersen/AFP/Getty Images

মারিও মানজুকিচ এখন লিগের টপ স্কোরার৷ তাঁরই একটি চমৎকার ‘বাইসাইকেল' কিকে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন৷ পরে আরো একটা চমক পাওয়া যায় যখন আরিয়েন রবেন বিকল্প খোলোয়াড় হয়ে এসে খেলার ৯২ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোলটি করেন৷ গোলটির বিশেষত্ব এই যে, গোলটি ছিল চলতি মরশুমে রবেন'এর প্রথম গোল, সিজনটা তাঁর এতোই খারাপ যাচ্ছে৷

অপরদিকে মানজুকিচ'এর গোলটি ছিল এ'মরশুমে তাঁর বায়ার্নের হয়ে ১৫তম গোল৷ খেলার ৩৬ মিনিটের মাথায় গোল করে কিন্তু মানজুকিচ'কে উল্লাস করতে দেখা যায়নি, কেননা ক্রোয়েশিয়ার এই প্লেয়ারটি ভোল্ফসবুর্গে কোন না কম দু'টি মরশুম কাটিয়েছেন৷ ওদিকে বায়ার্ন যে ডর্টমুন্ডের পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভান্ডোভস্কি'কে পরের সিজনের জন্য প্রায় হাতিয়ে ফেলেছে, সে খবরটাও মানজুকিচ'এর অজ্ঞাত থাকার কথা নয়৷ কিন্তু মানজুকিচ অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতায় ঘাবড়ানোর পাত্র নন৷ তাঁরই দাপটে জার্মান জাতীয় দলের স্ট্রাইকার মারিও গোমেজ'কে বায়ার্নে অধিকাংশ সময় বেঞ্চে বসে, খেলা দেখে কাটাতে হচ্ছে৷

ভোল্ফসবুর্গ'কে অনায়াসে ২-০ গোলে হারালো বায়ার্ন মিউনিখছবি: Getty Images

বলা দরকার, মানজুকিচ কি রবেন, অথবা অতীতে বেকেনবাউয়ার কি রুমেনিগে, বায়ার্ন কিন্তু কোনোদিনই একক খেলোয়াড়দের দল কিংবা ক্লাব নয়৷ বায়ার্ন বায়ার্নই৷ এ'মরশুমে তারা এক প্রবীণ কোচ ইয়ুপ হাইনকেস'কে বিদায় দিয়ে বার্সা-খ্যাত পেপ গুয়ার্দিওলা'কে আনার মুখে৷ পেপ নিশ্চয় সব ক'টি খেলা দেখছেন, চর্মচক্ষে না হলেও, ছোট পর্দায়৷ পেপ দেখছেন, বায়ার্ন তাদের বিগত ২২টা ম্যাচের মধ্যে ১৮টাতে জিতেছে৷ তার মধ্যে ছিল তাদের শেষ পাঁচটি এ্যাওয়ে গেম, অর্থাৎ বিপক্ষের মাঠে৷ আজ যখন ইয়ুপ হাইকেনকেস বায়ার্ন'কে হামেহাল ‘টপ টিম' হিসেবে বর্ণনা করেন, তখন তিনি জানেন, সেটা বাস্তব সত্য৷ আগামী সপ্তাহে বায়ার্ন যখন চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনালের মুখোমুখি হবে, তখনই সেটা আবার প্রমাণ হয়ে যাবে৷ বায়ার্ন যেন নতুন করে নিজেদের ইউরোপীয় ফুটবলের আঙ্গিকে দেখতে শুরু করেছে৷ সেক্ষেত্রে বুন্ডেসলিগার ছোট-বড় চ্যালেঞ্জ তাদের কাছে কিছুই নয়৷

বায়ার্ন যদি এ'ভাবে জিততে থাকে, তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি তাদের বুন্ডেসলিগা খেতাব নিশ্চিত হয়ে যাবে এবং বায়ার্ন তাদের নিজেদেরই রেকর্ড ভাঙবে৷ ১৯৭২-৭৩'এর মরশুমে বায়ার্ন মাত্র ৩০টি গেম খেলার পরেই তাদের খেতাব ট্যাঁকে পুরেছিল৷ এবার তার চাইতেও কম খেলাতে কাজ হয়ে যেতে পারে!

এসি / এসবি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ