বাবেলের বিদায়
৪ ডিসেম্বর ২০১২হফেনহাইম বস্তুত একটি গাঁয়ের ক্লাব৷ বুন্ডেসলিগার গগনে ধূমকেতুর মতো তার উত্থান হফেনহাইমের এক কোটিপতির অর্থানুকুল্যে৷ ইনি হলেন জার্মান এসএপি সফটওয়্যার কোম্পানির এক প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক ডিটমার হপ৷ তাঁরই কল্যাণে হফেনহাইম জার্মান ফুটবলের তলার ডিভিশনগুলো থেকে উঠতে উঠতে ২০০৮ সালে খাস বুন্ডেসলিগার আসরে পা রাখে এবং প্রথম মরশুমেই বড়দিনের বিরতির আগে পয়েন্টের তালিকার শীর্ষে স্থান করে নেয়, যদিও মরশুম শেষ হতে হতে হফেনহাইম এসে দাঁড়ায় সপ্তম স্থানে৷ কিন্তু বুন্ডেসলিগায় প্রথম আবির্ভাবের জন্য সে ফলাফলকে কোনোমতেই খারাপ বলা চলে না৷
তার পরের তিনটি মরশুমে হফেনহাইম মাঝারি পর্যায় ছেড়ে উঠতে পারেনি৷ তিনবারই পয়েন্টের হিসেবে একাদশ স্থান অধিকার করেছে৷ তা'ও একরকম চলছিল বলা যায়, কিন্তু চলতি মরশুমে হফেনহাইমের সূচনা হয়েছে এক কথায় একটি বিপর্যয়, তা যে দিক দিয়েই দেখা যাক না কেন৷ শেষ ১০টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জেতা৷ ১৫টি খেলায় ৩৬টি গোল খাওয়া৷ গত রবিবার হফেনহাইম নিজেদের মাঠে ভের্ডার ব্রেমেনের কাছে হারে ৪-১ গোলে৷ এটা ছিল আবার নিজেদের স্টেডিয়ামে নিজেদের ফ্যানদের সামনে পর পর তৃতীয় পরাজয়৷ কাজেই ফ্যানরা যে দুয়ো দেবে, সেটা তো জানাই কথা৷
পয়েন্টের তালিকায় ১৬, মানে হফেনহাইমের নীচে আছে শুধুমাত্র অখ্যাত, অজ্ঞাত আউগসবুর্গ এবং গ্রয়থার ফ্যুর্থ৷ রেলিগেশনের হাতছানি৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, রায়ান ব্যাবেল'এর মতো স্টার ফরোয়ার্ড যখন লিভারপুল থেকে হফেনহাইমে আসার ১৮ মাসের মধ্যেই নিজেই নিজের চুক্তিবদ্ধতার টাকা মিটিয়ে অন্যত্র যাবার চেষ্টা করে, তখনই বোঝা গিয়েছিল৷ তারপর আসে হফেনহাইমের স্টার মিডফিল্ডার বরিস ভুকচেভিচ'এর মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনা৷ সব মিলিয়ে হফেনহাইমের বছরটা এমনিতেই ভালো যাচ্ছিল না৷
মার্কুস বাবেল হফেনহাইমের কোচের দায়িত্ব নেন মাত্র গত ফেব্রুয়ারি মাসে৷ খেলোয়াড় হিসেবে এককালে ভালোই ছিলেন৷ জার্মানি, বায়ার্ন মিউনিখ, স্টুটগার্ট এবং লিভারপুলের হয়ে খেলেছেন, ডিফেন্ডার হিসেবে৷ কিন্তু হফেনহাইমে তাঁর কর্মকালকে ব্যর্থ না বললেও, অসফল বলতেই হয়৷ হফেনহাইমে কোচিং'এর দায়িত্ব আপাতত গেছে আন্ডার-টেয়েন্টি-থ্রি কোচ ফ্রাংক ক্রামের'এর হাতে৷ তবে শেষমেষ কাইজের্সলাউটের্ন'এর কোচ মার্কো কুরৎস কিংবা জার্মান জাতীয় একাদশের কো-ট্রেনার হান্সি ফ্লিক'কে আনা হতে পারে বলে জানাচ্ছে জার্মান ‘কিকার' ম্যাগাজিন৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ)