1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়ার্নের অগ্রগতি রোখে কে!

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

শনিবার মাইঞ্জ’কে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে দিল বায়ার্ন, যদিও মাইঞ্জ আদৌ খারাপ খেলেনি৷ অন্যদিকে পয়েন্টের তালিকার তলানি গ্রয়থার ফ্যুর্থ শালকে’কে হারাল ২-১ গোলে৷

MAINZ, GERMANY - FEBRUARY 02: Mario Mandzukic of Bayern celebrates with teammates after scoring his team's second goal during the Bundesliga match between 1. FSV Mainz 05 and FC Bayern Muenchen at Coface Arena on February 2, 2013 in Mainz, Germany. (Photo by Dennis Grombkowski/Bongarts/Getty Images)
ছবি: Getty Images

ফুটবল কিংবা বুন্ডেসলিগার একটা মজা হল এই যে, ভালো দল হলেই যে জিতবে, এমন কোনো কথা নেই৷ আবার ভালো খেলছে বলেই যে জিতবে, তারও কোনো কথা নেই৷ সে হিসেবে ফুটবল খুবই গণতান্ত্রিক খেলা, আর বুন্ডেসলিগা তো বটেই - এক বায়ার্ন মিউনিখ'কে যদি হিসেবের মধ্যে না ধরা হয়৷

বুন্ডেসলিগার সবচেয়ে ধনী ক্লাব এই বায়ার্ন৷ সবচেয়ে বেশি বুন্ডেসলিগা খেতাব জিতেছে তারা৷ অতীত কি বর্তমানের জার্মান জাতীয় দলকে বায়ার্নের কিছু প্লেয়ার ছাড়া ভাবাই যায় না৷ ইউরোপীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নস লিগেও যদি কোনো জার্মান ক্লাব ছাপ রেখে থাকে, তবে তা এই বায়ার্ন৷

শনিবারের আসল চমক ছিল শালকে'র গ্রয়থার ফ্যুর্থ'এর কাছে হারাছবি: Getty Images

একটা মরশুম ফাঁকা যাবার পর - অর্থাৎ আদৌ কোনো খেতাব না জেতার পর - বায়ার্ন এবার যেন তাদের বুন্ডেসলিগা খেতাবের ওপর মৌরসি পাট্টার কথা স্মরণ করেছে৷ বুন্ডেসলিগা ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রবীণতম কোচ ইয়ুপ হাইনকেস মরশুমের শেষেই যাচ্ছেন৷ তার আগে তাঁর কাজ হল, বায়ার্নকে আবার বুন্ডেসলিগার সিংহাসনে তুলে দেওয়া৷ হাইকেস-এর পর ইউরোপীয় পর্যায়ে বায়ার্ন যাতে আবার ভেলকি দেখাতে পারে, সেজন্য আনা হচ্ছে আর কাকে নয়, বার্সেলোনার সাবেক কোচ স্বনামধন্য পেপ গুয়ার্দিওলাকে৷ তিনি আগামী ছ'মাস চটপট কিছুটা জার্মান শিখে নিচ্ছেন৷

শনিবার মাইঞ্জের বিরুদ্ধে বায়ার্নের হয়ে দু'বার গোল করেছেন মারিও মাঞ্জুকিচ ও একবার থমাস ম্যুলার৷ তবে আসল চমক ছিল, বায়ার্ন জিতেছে আরিয়েন রবেন এবং মারিও গোমেজ-এর মতো তারকাদের বেঞ্চে বসিয়ে৷ ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড় মাঞ্জুকিচ এখন বুন্ডেসলিগার বেস্ট স্কোরার৷ অন্যদিকে পয়েন্টের তালিকায় বায়ার্ন দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার লেভারকুজেনের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট এগিয়ে৷

শনিবারের আসল চমক ছিল শালকে'র গ্রয়থার ফ্যুর্থ'এর কাছে হারা৷ দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে সদ্য প্রথম ডিভিশনে ওঠা গ্রয়থার ফ্যুর্থ গোড়া থেকেই তলিয়ে যাওয়ার মুখে, পয়েন্টের তালিকায় সবার শেষে৷ তাদের স্ট্রাইকার নিকোলা জুর্জিচ প্রায় ৯২ মিনিটের মাথায় একটি চমৎকার গোল করে শালকের নিশ্চিত ড্র'টা মাটি করে দেন৷ অবশ্য পরে দেখা যায়, জুর্জিচ অফসাইডে দাঁড়িয়ে ছিলেন৷ অন্যদিকে শালকে জেতার সব চেষ্টাই করেছে, বিশেষ করে তাদের নতুন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মিলান বাস্টস'এর ডান এবং বাঁ পায়ের বুলেট শটের উপর নির্ভর করে৷ তার সঙ্গে ছিলেন হুন্টেলার এবং রাফায়েল৷

কিন্তু ফুটবলের বিধাতা মুখ ফিরিয়ে থাকলে শালকে আর কি করতে পারে৷ তিনি হয়তো শুধু গণতন্ত্রই নয়, সাম্যবাদেও বিশ্বাস করেন৷

এসি / এআই (ডিপিএ, এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ