1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ভূতুড়ে গোল' বৈধ’

৩০ অক্টোবর ২০১৩

১৮ অক্টোবর হফেনহাইম আর বায়ার লেভারকুজেনের মধ্যে খেলাটি নতুন করে হবে না৷ স্টেফান কিসলিং-এর ‘ভূতুড়ে গোলটি' বৈধ, রায় দিয়েছে জার্মান ফুটবল সমিতি ডিএফবি-র ক্রীড়া আদালত৷ সেক্ষেত্রে সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে হফেনহাইমের আপিল৷

SINSHEIM, GERMANY - OCTOBER 18: Stefan Kiessling of Leverkusen scores his team's second goal against goalkeeper Koen Casteeln of Hoffenheim during the Bundesliga match between 1899 Hoffenheim and Bayer Leverkusen at Rhein-Neckar Arena on October 18, 2013 in Sinsheim, Germany. (Photo by Simon Hofmann/Bongarts/Getty Images)
ছবি: Getty Images

কারণ হিসেবে ডিএফবি বলেছে, রেফারি ফেলিক্স ব্রিচ-এর দেখার ভুল হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তিনি কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেননি৷ সেক্ষেত্রে রেফারির ‘অন-দ্য-স্পট' সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত৷ কাজেই হফেনহাইমের আপিল বাতিল করা হয়েছে৷ হফেনহাইম অবশ্য এখনও ডিএফবি-র উচ্চতর ট্রাইব্যুনালের কাছে আপিল করতে পারবে৷

লেভারকুজেনের হয়ে কিসলিং-এর গোলটি নিয়ে বিতর্ক হতো অবশ্যই, তবে এতটা উত্তেজনা বোধহয় দেখা দিতো না – যদি না খেলার চূড়ান্ত ফলাফল দাঁড়াতো ২-১ গোলে লেভারকুজেনের জয় এবং হফেনহাইমের পরাজয়৷ কিসলিং-এর হেড করা বলটি গোলের বাঁদিকে নেটের একটি ফুটো দিয়ে গোলে ঢুকে পড়ে, এবং রেফারি গোলটা দেওয়ায় লেভারকুজেন ২-০ গোলে এগিয়ে যায়৷

কিসলিং বলেন, তিনি বলটাকে ধার দিয়ে নেটের দিকে যেতে দেখেছেন, কিন্তু তাঁরও নাকি সামনে প্লেয়ার থাকায় বাকিটা দেখতে পাননিছবি: Thorsten Wagner/Bongarts/Getty Images

ফিফা-র রেফারি ব্রিচ সোমবারের শুনানিতে বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম বলটা গোলের বাইরে দিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু ঠিকমতো দেখতে পাইনি কেননা আমার সামনে অন্যান্য প্লেয়াররা ছিল৷ তারপর দেখলাম বলটা গোলের ভেতরে৷'' ব্রিচ তখন তাঁর সহকারীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন, যাদের মধ্যে একজন নাকি মাথা দুলিয়ে ইঙ্গিত দেন যে, সত্যিই গোল হয়েছে৷ কিন্তু ব্রিচ ব কিসলিং ক্রীড়া আদালতকে বলেন, কিসলিং স্বয়ং ব্রিচকে বলেননি যে, কোনো গোল হয়নি৷ কিসলিং অপরদিকে বলেন, তিনি বলটাকে ধার দিয়ে নেটের দিকে যেতে দেখেছেন, কিন্তু তাঁরও নাকি সামনে প্লেয়ার থাকায় তিনি বাকিটা দেখতে পাননি৷ পরে তিনি দেখেন বলটা গোলের মধ্যে পড়ে রয়েছে৷ কিসলিং এ-ও বলেন, তিনি নাকি প্রথমে ভেবেছিলেন হফেনহাইমের গোলকিপার কোয়েন কাস্টেল্স একটি ‘সেমসাইড' গোল করেছে৷ বলা বাহুল্য, কিসলিং-এর এই বিবৃতিতে হফেনহাইমের ফ্যানরা প্রতীত কিংবা সন্তুষ্ট নয়৷

ডিএফবি-র ক্রীড়া আদালতের বিচারক হান্স লোরেনৎস নিজেই স্বীকার করেছেন যে, আদালতের সিদ্ধান্ত খেলাধুলায় ন্যায্যতার দিক থেকে সন্তোষজনক না হলেও, এই সিদ্ধান্ত নিয়মকানুনের অনুবর্তী৷ যদিও এই সিদ্ধান্তের জন্য তিনি তাঁর নিজের বান্ধবী এবং ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে গাল শুনবেন – রসিকতা করে বলেছেন লোরেনৎস৷ তবে ফিফা-র চাপেই ডিএফবি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, লোরেনৎস এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন৷

অপরদিকে লোরেনৎস তাঁর নিজের মনোভাব আরো স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন এই বলে যে, ‘‘আমরা যদি গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারতাম, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না৷ কিন্তু (সেই ধরনের প্রযুক্তি) আসছে এবং আমি তার সপক্ষে৷'' এক্ষেত্রে ফিল্ড হকি ফুটবলের থেকে এগিয়ে আছে বলে লোরেনৎস অভিমত প্রকাশ করেন৷ তবে তাঁর চিন্তার কোনো কারণ নেই৷ স্বয়ং ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার বুধবার টুইট করেছেন: ‘‘গোল লাইন প্রযুক্তি আর এখন কোনো বিকল্প নয়, ওটা অত্যাবশ্যক৷''

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ