গত দেড় যুগ ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা একটি বিষয় খুব করে চেষ্টা করেছেন৷ কখনো ভর্ৎসনাও করেছেন৷ কিন্তু কাজ হয়নি৷ পুটিনের অবশ্য আলাদা করে কোনো চেষ্টা করতে হয়নি৷ তার এক উদ্যোগেই কাজ হয়ে গেছে৷
বিজ্ঞাপন
বলছি জার্মানির কথা৷ ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির এই দেশ দুটো বিশ্বযুদ্ধের পর নিজেদের বেশ খানিকটা সামলে নিয়েছে৷ এখন আর যা-ই হোক সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে রাজি নয় জার্মানি৷ অবস্থা এমন যে দেশটির সামরিক বাহিনী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুধু দুর্বলতার কারণে শিরোনাম হয়েছে অনেকবার৷ বিমান বাহিনীর বিমান যখন-তখন অকেজো হয়ে যায়, সমরাস্ত্রগুলো সেকেলে, পরমাণু বোমা নেই - এমনকি প্রতিরক্ষাখাতে বাজেট বাড়াতেও বড় অনিহা ইউরোপের কেন্দ্রের দেশটির৷
জার্মানি বরং জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে নিজেদের পাশাপাশি জোটভুক্ত দেশগুলোর সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোর দিয়েছে৷ জোটের কোনো দেশ বিপদে পড়লে সেদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ মানবতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে৷
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মানির এই মানসিকতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি অনেকদিন ধরে৷ কয়েক মাস আগে ওলাফ শলৎস ক্ষমতা গ্রহণের আগের ষোল বছর দেশটির চ্যান্সেলর ছিলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ আমি দেখেছি কীভাবে তিনি একের পর এক ঝড় সামলে জার্মানিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন৷ দেশটির বিদেশ নীতি যেমন নিজের দেশের জনগণের স্বার্থ এবং বাণিজ্যবান্ধব, তেমনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা ইস্যুতেও সোচ্চার নিজের ভয়ঙ্কর অতীত ইতিহাসের দায় মেনে নিয়ে এগিয়ে চলা জার্মানি৷
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সোভিয়েত রাশিয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে জন্ম হলেও নিজেদের উদ্দেশ্য থেকে পরে অনেকটা সরে এসেছে ন্যাটো৷ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হলেও যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
ন্যাটোর জন্ম
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করে ন্যাটো৷ চুক্তির পঞ্চম ধারা অনুযায়ী, ‘‘এক বা একাধিক সদস্যের উপর সশস্ত্র হামলা সবার উপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে৷’’ জন্মলগ্নে জোটের ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল তিনটি: সোভিয়েত সম্প্রসারণ ঠেকানো, উত্তর অ্যামেরিকার শক্তিশালী উপস্থিতির মাধ্যমে ইউরোপের সামরিকায়ন নিষিদ্ধ করা এবং ইউরোপে রাজনৈতিক সংহতিকে উৎসাহ দেয়া৷
ছবি: Getty Images/Keystone
কারা সদস্য
শুরুতে ১২ সদস্য নিয়ে যাত্রা করে ন্যাটো৷ ১৯৫২ সালে যোগ দেয় গ্রিস ও তুরস্ক৷ পশ্চিম জার্মানি যোগ দেয় ১৯৫৫ সালে আর ১৯৮২ সালে স্পেন৷ ১৯৯৯ সালে পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ও হাঙ্গেরি৷ বর্তমানে জোটের সদস্য সংখ্যা ৩০৷
ছবি: AP
নিজেদের বিরোধ
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন সময় মতভেদ তৈরি হয়েছে৷ প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটে ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকট নিয়ে৷ ১৯৬৬ সালে ন্যাটোর সামরিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয় ফ্রান্স এবং সে দেশ থেকে জোটের প্রধান কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানায়৷ নতুন কার্যালয় বসে বেলজিয়ামে৷ তবে ফ্রান্স জোটের মধ্যেই থেকে যায় এবং সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
সামরিক উত্তেজনা
১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত রাশিয়ার হামলা এবং ইউরোপে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসে ন্যাটো৷ পাল্টা জবাব হিসেবে পশ্চিম ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় জোট৷ ১৯৮৭ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে দুই পক্ষ ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য মাঝারিপাল্লার সব ব্যালাস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নিতে সম্মত হয়, যাকে ঠান্ডা লড়াই সমাপ্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়৷
ছবি: AP
ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী যুগ
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া ও বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ন্যাটোর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ তবে সময়ের সাথে সাথে বরং উল্টো ন্যাটোর সম্প্র্রসারণ চলতে থাকে৷ এক দশক ধরে চলা যুগোস্লাভ যুদ্ধ ও কসভো-সার্বিয়া সংঘাতে হস্তক্ষেপ করে জোট৷ গড়ে ওঠে ন্যাটো-বহির্ভূত সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক৷
ছবি: AP
নাইন-ইলেভেন: নতুন মোড়
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর ন্যাটো সদস্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র আফগানিস্তানে আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়৷ ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক যুদ্ধে সহায়তা কার্যক্রম চালায় ন্যাটো৷ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বাইরে অন্য রাষ্ট্রে সংঘাত, বিরোধেও নিজেদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে থাকে ন্যাটো৷ লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখতে থাকে৷
ছবি: Chao Soi Cheong/AP/picture alliance
রাশিয়ার সঙ্গে নতুন বিরোধ
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে রাশিয়া৷ ইউক্রেন যাতে ন্যাটোতে যোগ না দেয় সবশেষ সেই নিশ্চয়তা দাবি করে ক্রেমলিন৷ এমন প্রেক্ষিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করেন প্রেসিডেন্ট পুটিন৷ পূর্ব ইউরোপে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ালেও এই যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত হবে না বলে জানিয়ে আসছে ন্যাটো৷ এই সংঘাত সামনে কোন দিকে মোড় নেবে তা সময়ই বলে দেবে৷
ছবি: Yasin Ozturk/AA/picture alliance
নিরাপত্তা পরিষদ
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা৷ ১৫ সদস্যের মধ্যে স্থায়ী সদস্য পাঁচ পরমাণু শক্তিধর দেশ: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র৷ তাদের সবার সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত পাস করা যায় না৷ বিপরীতভাবে কোনো সিদ্ধান্তে কেউ ভেটো দিলে তা বাতিল হয়ে যায়৷ বিভিন্ন সময়ে এই পাঁচ সদস্য তাদের স্বার্থ অনুযায়ী ভেটো ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছে৷
ছবি: Yorick Jansens/dpa/picture alliance
সবচেয়ে বেশি রাশিয়া
ভেটো ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করেছে রাশিয়া৷ ২৬৫টির মধ্যে ১১৯ বার ভেটো দিয়েছে তারা৷ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে যত ভেটো দেয়া হয়েছে তার সবগুলোই ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার পক্ষ থেকে৷ শীতল যুদ্ধের যুগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়ে আসছে রাশিয়া৷ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবেও ভেটো দেয় রাশিয়া৷
ছবি: Reuters
রাশিয়ার সহযোগী চীন
চীন মোট ১৬ বার ভেটো দিয়েছে, এর মধ্যে ১৩ বারই রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আর তিনবার এককভাবে৷ ১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট চীন তার প্রথম ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির বিরুদ্ধে৷
ছবি: ASSOCIATED PRESS/picture alliance
ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে রাশিয়ার পরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ৮২ বার তারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ এর অনেকগুলোই ছিল ইসরায়েলকে নিয়ে৷ মধ্যপ্রাচ্য ও ফিলিস্তিনে সংঘাত ও হামলা নিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে বরাবরই ভেটো দিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন৷ তবে ২০১৬ সালে ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালে ইসারেয়েলের বসতিস্থাপন বন্ধে আনা একটি প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকে তারা৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/A. Lohr-Jones
সহযোগী যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স
যুক্তরাজ্য ২৯ বার ও ফ্রান্স ১৬ বার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রস্তাব নাকচ করেছে তারা৷ তবে ১৯৮৯ সালের পর ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য আর ভেটো ক্ষমতার ব্যবহার করেনি৷ সেবার পানামায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল দেশ তিনটি৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
সবশেষ
নিরাপত্তা কাউন্সিলে তোলা প্রস্তাবে সবশেষ ভেটোর ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধ ও নিন্দা জ্ঞাপনের প্রস্তাব আনে কয়েক ডজন দেশ৷ তবে রাশিয়ার একার ভেটোতে তা বাতিল হয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press
13 ছবি1 | 13
জার্মানির এই এগিয়ে চলার মাঝে প্রতিরক্ষার বিষয়টি যে উপেক্ষিত হচ্ছে সেটা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ কখনো বুশ, কখনো ওবামা, কখনো ট্রাম্প, কখনো বাইডেন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলকে প্রতিরক্ষা খাত শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন, গ্যাস-তেলের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীলতা কমাতে বলেছেন৷ জার্মানি যে ন্যাটো জোটের প্রত্যাশামতো প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট বাড়াচ্ছে না, সেটা নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ম্যার্কেলের বিরোধ অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে এসেছিল৷ বিরক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জার্মানি থেকে ন্যটো জোটের আওতায় থাকা কিছু মার্কিন সৈন্যও ফেরত নিয়েছে সেই সময়৷
কিন্তু ম্যার্কেল প্রতিরক্ষা খাতকে আলাদা করে গুরুত্ব দেননি৷ তিনি বরং পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা কমাতে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে ধারাবাহিকভাবে সরিয়ে নিয়েছেন তার দেশকে৷ জলবায়ু পরিবর্তনরোধে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকেও ক্রমশ সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশের বেশি খরচেও রাজি হননি৷
ম্যার্কেলের জার্মানি বরং মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়ার গ্যাসের উপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছে৷ গত পঞ্চাশ বছর ধরেই এই নির্ভরশালীতা ধরে রেখেছে জার্মানি৷ শুধু তাই নয়, নতুন এক পাইপলাইন দিয়ে রাশিয়া থেকে সরাসরি আরো গ্যাস আনার প্রক্রিয়াও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে৷ এতে রাশিয়া যেমন লাভবান, জার্মানিও৷
ম্যার্কেলের এই নীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন না আনার পক্ষেই ছিলেন গতবছর ক্ষমতায় আসা নতুন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ কিন্তু বাধ সাধলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ ইউক্রেন আক্রমণ করে তিনি মুহূর্তেই বার্লিনের টনক নড়িয়ে দিয়েছেন৷ বুশ, ওবামা, ট্রাম্প, বাইডেনরা জার্মানিকে যা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন, পুটিনে সেটা এক আক্রমণ থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন৷
জার্মানি এখন প্রতিরক্ষাখাত শক্তিশালী করতে ন্যাটোর প্রত্যাশামতো জিডিপির দুই শতাংশের বেশি ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ পাশাপাশি ২০২২ সালের বাজেটে একশ বিলিয়ন ইউরো আলাদাভাবে রাখা হচ্ছে সামরিক বাহিনীর উন্নয়নের জন্য৷ শুধু তাই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশ্বের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার জন্য জার্মান সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে৷ আর রাশিয়ার তেল-গ্যাসের বিকল্প উৎসও খোঁজা হচ্ছে৷
শলৎস মনে করেন, জার্মানির স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র ধরে রাখতে প্রতিরক্ষা খাত শক্তিশালী করা দরকার৷ কথা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু না হলে বার্লিনের এই উপলব্ধি কি তৈরি হতো?