কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে আরেকটি শিশু মেয়ের এক বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসার পর বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য মালয়েশিয়া সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বেড়েছে৷
বিজ্ঞাপন
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দারিদ্র্যপীড়িত কেলানতান প্রদেশে ৪৪ বছরের এক মুসলমানের দ্বিতীয় বিয়েতে ১৫ বছরের এক কিশোরী কন্যা হওয়ার খবর দিয়েছে নিউ স্ট্রেইটস টাইমস পত্রিকা৷ তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, দারিদ্র্যের কারণে মেয়েটির বাবা-মা সম্মতি দেওয়ার পর গত জুলাইয়ে ইসলামি শরিয়া আদালতে এই বিয়ে অনুমোদিত হয়৷
কেলানতান প্রদেশেই এক রাবার ব্যবসায়ী তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ১১ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন যে মাসে, সেই মাসেই বিতর্কিত এই বিয়ে হয়েছে৷ তবে ঘটনাটি প্রকাশ পেয়েছে চলতি সপ্তাহে৷
যেসব দেশে বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ইউনিসেফ-এর ‘স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন’ রিপোর্টে বিভিন্ন দেশের বাল্যবিবাহের হিসাব রয়েছে৷ মেয়েদের বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিয়ে হলে সেটিকে বাল্যবিবাহ হিসেবে গণনা করে ইউনিসেফ৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/P. Hatvalne
নাইজার (৭৬%)
ইউনিসেফ বলছে, আফ্রিকার এই দেশটিতেই বাল্যবিবাহের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ সেখানে মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৫৷ তবে এটি পরিবর্তন করে ১৮ করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেয়ার পেছনে দরিদ্রতা একটি অন্যতম বড় কারণ হিসেবে কাজ করে৷ এছাড়া বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে সামাজিকভাবে যে হেনস্তার শিকার হতে হয়, তা এড়াতেও মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার৷
ছবি: picture alliance/Godong
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (৬৮%)
দ্বিতীয় স্থানে থাকা এই দেশটিতে মেয়েদের বিয়ে করার বা দেয়ার বৈধ সর্বনিম্ন বয়স ১৮৷ তবে বাবা-মা ১৩ বছর বয়সি মেয়েরও বিয়ে দিতে পারেন, যদি আদালত অনুমতি দেয় কিংবা মেয়েটি যদি গর্ভবতী হয়৷ বাবা-মায়ের অনুমতি সাপেক্ষে তার চেয়েও কমবয়সি মেয়েদের বিয়ে দেয়া বৈধ সেখানে৷
ছবি: Reuters
চাড (৬৮%)
২০১৫ সালের জুনে চাডের সংসদে পাস হওয়া অর্ডিন্যান্সে, মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৫ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করা হয়েছে৷ এছাড়া বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িতদের জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/O.Cicek
মালি (৫৫%)
মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর৷ তবে শরিয়া আইন অনুযায়ী ১৬ বছরের কমবয়সি মেয়েদেরও বিয়ে দেয়া যেতে পারে৷ কমবয়সি মেয়েদের সাধারণত দ্বিতীয়, তৃতীয় কিংবা চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে থাকে বেশি বয়সি পুরুষরা৷
ছবি: Joel Saget/AFP/Getty Images
বাংলাদেশ (৫২%)
মেয়েদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮, ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১৷ তবে সম্প্রতি পাস হওয়া একটি আইনে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপট’ বিবেচনায় ১৮ বছরের কম বয়সিদেরও বিয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
বুর্কিনা ফাসো (৫২%)
২০ থেকে ২৪ বছর বয়সি নারী, যাদের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়েছে, তাদের সংখ্যা ধরে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ৷ ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে৷ বুর্কিনা ফাসোতে ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের হার ১০ শতাংশ৷ আর ১৮ বছরের কমবয়সিদের ক্ষেত্রে হারটি ৫২ শতাংশ৷
ছবি: Getty Images/P.Parrot
গিনি (৫২%)
মা-বাবা’র অনুমতি নিয়ে বা না নিয়ে ১৮ বছরের ছেলে কিংবা মেয়ে সেখানে বিয়ে করতে পারেন৷ দেশটিতে যার যতজন অল্পবয়সি স্ত্রী আছে তার সামাজিক মর্যাদা তত বেশি বলে ধরে নেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. von Trotha
দক্ষিণ সুদান (৫২%)
চরম দারিদ্র্য, যুদ্ধ, দেশের অস্থির পরিবেশ, শিক্ষিতের হার কম হওয়া, মেয়েদের শিক্ষার সুযোগের অভাব - এসব নানা কারণে আফ্রিকার সবচেয়ে নবীন দেশটিতে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেয়া হচ্ছে৷ অল্প বয়সি মেয়ে ও তাদের পরিবার মনে করে, বিয়ে দেয়ার মাধ্যমে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/M.Elshamy
মোজাম্বিক (৪৮%)
মেয়েদের জন্য বিয়ের বৈধ সর্বনিম্ন বয়স ১৮৷ তবে পরিবারের সম্মতিতে ১৬ বছর বয়সিরাও বিয়ে করতে পারে বা তাদের বিয়ে দেয়া যায়৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/S.Mohamed
ভারত (৪৭%)
মেয়েদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮, আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১৷ দেশটিতে ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের মধ্যে বিয়ের হার প্রায় ১৮ শতাংশ৷ ভারতের অনেক সমাজে মেয়েদের অর্থনৈতিকভাবে বোঝা মনে করা হয়৷ বিয়ে দেয়ার মাধ্যমে সেই বোঝা স্বামীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া যায় বলে মনে করে অনেক পরিবার৷
অসম বিয়ের নতুন খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা গ্রুপগুলো আবারও সোচ্চার হয়েছে৷ ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে এই বিয়েকে ‘অগ্রহণযোগ্য' আখ্যায়িত করে এ ধরনের বিয়ে বন্ধে আইনি পরিবর্তন আনতে মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷
মালয়েশিয়ায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি মারিয়ানে ক্লার্ক-হাটিং বলেন, ‘‘বাল্য বিয়ে নিয়ে নতুন আইন করতে হবে, যাতে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষায় প্রবেশ বাধ্যতামূলক, প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও দারিদ্র্য বিমোচনের মতো বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷''
মেয়েটির বাবা-মার বরাত দিয়ে নিউ স্ট্রেইটস টাইমস লিখেছে, ১৩ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ও লেখাপড়া বন্ধ হওয়া মেয়ের ‘ভালো ভবিষ্যতের' জন্য তারা এই বিয়ে দিয়েছেন৷
একইভাবে কেলানতানে বাবা-মার সঙ্গে থাকা ১১ বছরের ওই থাই মেয়েটিরও লেখাপড়া বন্ধ হয়েছিল, তার পরিবারও দরিদ্র৷ দুই বউ এবং ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি ছয় সন্তানের বাবা ৪১ বছর বয়সি রাবার ব্যবসায়ী থাইল্যান্ডে গিয়ে গোপনে মেয়েটিকে বিয়ে করেন৷ তার এক বউ বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করলে এই বিয়ের খবর প্রকাশ হয়৷
পরে অনুমতি না নেওয়ার জন্য ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করে শরিয়া আদালত৷ তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি৷
তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, পাঁচ বছর পর তার নতুন স্ত্রীর বয়স ১৬ বছর হলে বিয়ের সনদের আবেদনের মাধ্যমে তিনি এই বিয়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আদায় করবেন৷ ওই মেয়েটিকে থাইল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং তাকে একটি সেবাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷
মেয়েদের জন্য সেরা দেশ
২০১৬ সালে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন ফান্ড’ ১৪৪টি দেশে মেয়েদের পরিস্থিতি বিচার করে একটি ‘গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স’ তৈরি করে৷ সূচকে ছিল বাল্যবিবাহ, কিশোরী মাতৃত্ব, প্রসূতিমৃত্যু, মহিলা সাংসদদের অনুপাত ও স্কুলের পড়াশুনা৷
ছবি: picture alliance / empics
তালিকার শীর্ষে সুইডেন
তাতে সম্ভবত কেউই বিশেষ আশ্চর্য হবেন না৷ মেয়েদের সুযোগ-সম্ভাবনার তালিকা যেন শুরুই হচ্ছে ইউরোপের উত্তরে সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে - সেখান থেকে নেমে আসছে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক হয়ে স্লোভেনিয়ায়...
ছবি: Getty Images/D. Ramos
১২ নম্বরে জার্মানি
স্লোভেনিয়ার পর পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, ইটালি, স্পেন হয়ে তবে জার্মানি৷ জার্মানির পরপরই অস্ট্রিয়া ও লুক্সেমবুর্গ৷ তারপর আসছে...
ছবি: Reuters/M. Dalder
১৫ নম্বরে ব্রিটেন
‘স্পাইস গার্লস’দের দেশ ব্রিটেনে যে মেয়েরা বেশি সুযোগ পাবে, সেটা ধরে নেওয়াটা বোধহয় ভুল হতো, কেননা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর ইনডেক্সে যে ইন্ডিকেটরগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি সামগ্রিক৷
ছবি: picture alliance / empics
২১ নম্বরে অস্ট্রেলিয়া
ইউএনডিপি’র হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে এই দেশ কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে৷ ‘গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স’-এ অস্ট্রেলিয়ার এতটা নেমে যাওয়ার কারণ মহিলা সাংসদদের স্বল্পতা ও কিশোরী মাতৃত্বের অপেক্ষাকৃত উচ্চ হার৷ যুক্তরাজ্য (১৫) বা ক্যানাডার (১৯) স্থানও মূলত ঐ দু’টি কারণে৷
ছবি: Getty Images/S. Barbour
৩২ নম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন তালিকায় যে দেশ অষ্টম, তার স্থান মেয়েদের সুযোগ-সম্ভাবনার বিচারে কাজাখস্তান (৩০) ও আলজেরিয়া (৩১)-এর চেয়েও নীচে৷ এর কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরী মাতৃত্ব ও প্রসূতি মৃত্যুর হার অনুরূপ ধনী দেশগুলির তুলনায় বেশি৷ ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র্রে প্রতি এক লক্ষ শিশুর জন্মে ১৪ জন প্রসূতি মারা যান, যেখানে পোল্যান্ড, গ্রিস বা ফিনল্যান্ডে প্রতি এক লাখ শিশুর জন্মে তিনজন করে মা প্রাণ হারান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Rain
৬০ নম্বরে শ্রীলঙ্কা
উপমহাদেশের দিকে নজর দিলে, সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে শ্রীলঙ্কা...
ছবি: Messe Berlin
৮৮ নম্বরে পাকিস্তান
এটাকেও চমক বলা চলে...
ছবি: Mirza Tours
৯০ নম্বরে ভারত
এটাকে চমক বলা চলে না...
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam
১১১ নম্বরে বাংলাদেশ
বাদবাকি উপমহাদেশের মতোই, এখানেও অনেক কিছু করা বাকি৷
ছবি: N.Seelam/AFP/GettyImages
১৪৪ নম্বরে নাইজার
বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির মধ্যে পড়ে৷ নাইজারের মতো দেশে দারিদ্র্যকেই মেয়েদের দুরবস্থার মূল কারণ বলে ধরে নেওয়া চলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Sanogo
10 ছবি1 | 10
মালয়েশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইল বলেছেন, সর্বশেষ প্রকাশিত ঘটনাটি তারা তদন্ত করে দেখছেন৷ তবে এই বিয়ে শরিয়া আদালতে অনুমোদিত হওয়ায় তাদের হাত-পা বাঁধা৷
তিনি বলেন, মুসলিম মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ১৮ বছর করতে চাইছে সরকার৷
মালয়েশিয়ায় দুই ধরনের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে৷ দেশটির তিন কোটি ১০ লাখ নাগরিকের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মুসলিম, যাদের পারিবারিক, বিয়ে ও ব্যক্তিগত নানা বিষয়ের ফায়সালা ইসলামি আদালতের মাধ্যমে হয়ে থাকে৷
মানবাধিকার সংগঠন লইয়ারস ফর লিবার্টি সর্বশেষ ঘটনায় ৪৪ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মেয়েটিকে ‘যৌনতায় প্ররোচিত' করার ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকে মেয়েটি তার পরিচিত থাকার বিষয়টি জানতে পেরে এই সন্দেহ করছে তারা৷
সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক লাথিফা কোয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এটা দেশের শিশুদের, বিশেষ করে মুসলিম শিশুদের যৌন বিকৃতিমনা ও শিশু নিপীড়কদের কাছে অসহায় করে তুলছে,''
মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশন বলছে, আইনের সুযোগ নিয়ে অভিভাবকরা এখন বিয়ের ছদ্মবেশে তাদের শিশু সন্তানকে ‘বিক্রি করতে পারছে'-বিষয়টি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন৷
কমিশনের চেয়ারম্যান রাজালি ইসমাইল বলেন, ‘‘এখন দেখা যাচ্ছে, শরিয়া আদালতের কাছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ের অনুমতির ক্ষেত্রে দারিদ্র্যও একটি কারণ হিসেবে গৃহীত হচ্ছে৷ এখানে শিশুদের একটি পণ্য হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে৷''
দরিদ্র পরিবারের শিশুদের সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি আইন করে বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷
সরকারি ভাষ্যমতে, গত ১০ বছরে দেশে ১৫ হাজার বাল্য বিয়ে হয়েছে, যার দুই তৃতীয়াংশই হয়েছে মুসলমানদের মধ্যে৷