এ বছরের প্রথম মাসে জার্মানিতে বেকারের সংখ্যা এক লাখ ৯৩ হাজার বেড়ে ২৯ লাখ এক হাজারে দাঁড়িয়েছে৷ তথ্যটি জানিয়েছে, জার্মান এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি ৷
বিজ্ঞাপন
বেকারত্বের হার, শূণ্য দশমিক চার শতাংশ বেড়ে ছয় দশমিক তিন শতাংশ হয়েছে এমাসে৷ তবে গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এ বছরের জানুয়ারিতে বেকারত্বের হার কিছুটা কম বলেও জানানো হয়৷
২০১৯ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি মধ্যে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৯৮ হাজার৷ তখন জার্মানিতে প্রথমবারের মতো করোনা মহামারি রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়৷
তবে তুলনামূলকভাবে ২০২০ সালের প্রথম মাসের চেয়ে ২০২১ সালের প্রথম মাসে বেকারের সংখ্যা বেশি৷ ২০২০ সালের জানুয়ারির চেয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে বেকারে সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার বেশি, জানিয়েছে সংস্থাটি৷
মহামারি মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণই এ মাসে শ্রমবাজার স্থিতিশীল থাকার কারণ বলে জানান, জার্মান এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির (বিএ) প্রধান ডেটলেফ শেলে৷
এনএস/এসিবি (ডিপিএ)
জার্মানিতে যে কারণে করোনায় মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়ালো
করোনার প্রথম ঢেউ সফলভাবে মোকাবেলা করে প্রশংসায় ভেসেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনায় মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে৷ ছবিঘরে দেখুন বিস্তারিত...
ছবি: Martin Meissner/AP Photo/picture alliance
প্রথম করোনা রোগী
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে ধরা পড়ার পর খুব দ্রুতই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস৷ এক মাস পর, অর্থাৎ, ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে৷
ছবি: Jens Schlueter/Getty Images
নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ
করোনার প্রথম ঢেউয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশ, যেমন স্পেন, ইটালি এবং ফ্রান্স যখন কড়া লকডাউন দেয়, তখনও এ বিষয়ে কিছুটা ‘উদার’ ছিল জার্মানি৷ তবে দেশের হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার, নার্স ও পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করে পরিস্থিতি বেশ সফলভাবে সামাল দেয় দেশটি৷
ছবি: Axel Schmidt/AFP
চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ
জনগণের চলাফেরায় তখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছিল৷ সুপারশপ ছাড়া ‘কম প্রয়োজনীয়’ প্রায় সব দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷
ছবি: Andreas Gora/imago images
করোনা পরীক্ষা
করোনার প্রথম ঢেউ সামলাতে জার্মান সরকারের যে ব্যবস্থ্যাগুলো আলোচনায় আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, করোনা পরীক্ষা ও চিহ্নিতকরণে দ্রুত পদক্ষেপ৷ এছাড়া দেশি-বিদেশি সবার জন্যই বিমানবন্দরেগুলোতে বাধ্যতামূলক টেস্টিং-এর ব্যবস্থা করা হয়, এমনকি অনেক জায়গায় রেজিস্টার বই রাখা হয় যাতে পরিদর্শকদের ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে রাখা যায়৷
ছবি: Antonio Calanni/AP Photo/picture alliance
সুফল মিললো যতটা
এসব পদক্ষেপের ফলে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার অনেক কম ছিল৷
ছবি: Fabrizio Bensch/REUTERS
দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা
শীতের শুরুতে জার্মানিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণের হার৷ সংক্রমণ ঠেকাতে নানামূখী পদক্ষেপ ঘোষণা করে সরকার৷ সম্প্রতি কড়া লকডাউন আগামী ১৪ পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্তও এসেছে৷
ছবি: dpa/Sputnik/picture alliance
মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ালো
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রেকর্ডসংখক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে৷ মৃতের সংখ্যা দিনে এক হাজার ছাড়িয়েছে৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার পর্যন্ত জার্মানিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে৷
ছবি: Ina Fassbender/AFP/Getty Images
সবচেয়ে বেশি মৃত্যু যে রাজ্যে
স্ট্যাটিস্টা ডটকমের তথ্য বলছে, জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি লোক মারা গেছেন৷ গত সোমবার পর্যন্ত রাজ্যটিতে নয় হাজার একশ ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷
ছবি: Ina Fassebnder/AFP/Getty Images
বেশি আক্রান্ত যেখানে
সংক্রমণের দিক থেকেও নর্থ রাইন ওয়েস্টাফালিয়া রাজ্য সবার উপরে৷ স্ট্যাটিস্টা বলছে, এ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ৫১ হাজার আটশ’ ৯৮ জন৷ উল্লেখ্য, জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মধ্যে নর্থ রাইন ওয়েস্টাফালিয়া সবচেয়ে জনবহুল৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/Y. Tang
সবচেয়ে কম যেখানে
করোনায় সবচেয়ে কম আক্রান্ত হয়েছে ব্রেমেন রাজ্য৷ গত সোমবার পর্যন্ত এ রাজ্যে মাত্র ২৩২ জন মারা গেছেন, আর আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার নয়শ’ ৪৩ জন৷
ছবি: Sean Gallup/Getty Images
কেন বাড়ছে?
প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় সফল জার্মানিতে এখন সংক্রমণ বেশি বাড়ার জন্য অনেকেই সরকারের উদারনীতিকে দায়ী করছেন৷ তাছাড়া সব রাজ্যে করোনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়াসহ নানা কারণে দেশের ভিতরে সমালোচনার মুখে পড়ে ম্যার্কেল সরকার৷
ছবি: Sean Gallup/Getty Images
কঠোর পদক্ষেপ
তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরইমধ্যে কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে সরকার৷ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রাখা, পার্টি বা জনসমাবেশ আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা এবং সর্বশেষ জনসাধারণকে পাবলিক প্লেসে এফএফপি২ মাস্ক পড়ার কথাও বলা হয়েছে৷