1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বেকার ও অবৈধ প্রবাসীরাই বেশি কষ্টে আছেন’

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১০ এপ্রিল ২০২০

করোনা সংকটে প্রবাসে অবৈধ ও কর্মহীন বাংলাদেশিরা বেশি কষ্টে আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন৷ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, আর্থিক দূরস্থার কারণে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশিদের মৃত্যুহার বেশি বলে মনে করেন তিনি৷

ছবি: Reuters/M. Bello

প্রবাসে কতজন বাংলাদেশি করোনায় মারা গেছেন তার সঠিক সংখ্যা এখনো সরকারের কাছে নেই৷ এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে৷  প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ এপ্রিল এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের দেশে ফেরত আনা হবে৷ এজন্য দূতাবাসগুলোর চাহিদা অনুযায়ী চার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে কুয়েত থেকে ৩১৬ জনকে ফেরত আনা হবে৷ অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত ১৫০ জন কর্মী ও ২৬ জন শিক্ষার্থীকেও বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হবে৷ তারা এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন৷  

প্রবাসে কতজন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত এবং কতজন মারা গেছেন তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই৷

ডয়চে ভেলেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দূতাবাসগুলো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে৷ প্রবাসী  কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, তাদের হাতে ৬০ জনের মতো মৃত্যুর তথ্ আছে৷ তবে  বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন সূত্র থেকে পেয়ে এ পর্যন্ত একশ'রও বেশি বাংলাদেশির মৃত্যর খবর প্রকাশ করেছে৷ বাংলাদেশিরা যেসব দেশে মারা গেছেন, তার মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ইটালি এবং কাতার৷ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বেশি বাংলাদেশি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ ৪০ জনের বেশি হবে৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রবাসীদের মধ্যে যারা ইরেগুলার অথবা চাকরিহীন, তারা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে৷যেমন, সিঙ্গাপুরে যারা আমাদের রেগুলার জবে আছে তারা ফুল স্যালারি পাচ্ছেন৷ তারা ভালো আছেন৷ সৌদি আরব তিনমাস ভিসা এবং আকামা বাড়িয়ে দিয়েছে৷  তবে অনেকেই সংকটে আছেন৷ খাবার সংকট, থাকার সংকট৷ আমরা দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি৷ আর বিভিন্ন দেশকে সাহায্যের অনুরোধ করেছি৷''

A K Abdul Momen - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের বেশিহারে মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ওখানে যারা আছেন তাদের একটি অংশ থাকার জায়গার সংকটে আছেন৷ গাদাগাদি করে থাকেন৷ তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রবাস করেন৷ আর যা আয় করেন তা সব খরচ করে ফেলেন৷ হাতে কোনো টাকা পয়সা থাকে না৷  আবার তারা নিয়ম-কানুনও মানতে চান না৷ ডাক্তাররা বলেন, কিন্তু তারা সেটা কেয়ার করেন না৷''

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, ‘‘আগামীতে যে প্রবাসীরা রেগুলার জবে আছেন তারাও সংকটে পরতে পারেন৷ তারা যেখানে কাজ করেন সেইসব প্রতিষ্ঠান টিকে না থাকলে তারা টিকেবেন কিভবে? বিশেষ করে অনেক বাংলাদেশি বিদেশে হোটেল-রোস্তোরাঁয় কাজ করেন৷ আবার তারা পর্যটন খাতেও কাজ করেন৷ এখন এগুলো তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ সেখানে বাংলাদেশিদের রেগুলার জব থাকলেও তারা সংকটে পড়বেন৷''

পরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন দূতাবাসের উদ্যোগে অর্থ সহায়তার বাইরেও প্রবাসীদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে৷ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও জর্ডানে বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা যাতে দুবেলা খেতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করছি৷''

যে প্রবাসীরা করোনার কারণে চাকরিচ্যূত বা ছাঁটাই হবেন তাদেরও আর্থিক সহায়তার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান৷ যাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে, তাদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যাংক লোনসহ আরো বিশেষ উদ্যোগের পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো অত গুরুতর নয়৷ করোনা-সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা সারাবিশ্বের সংকট৷ সবাই সবাইকে সহযোগিতা না করলে সংকট মোকাবেলা কঠিন হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ