1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেকায়দায় পড়া ইউরো অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে

১৬ আগস্ট ২০১১

বেকায়দায় ইউরোপের অর্থনীতি৷ গ্রিস থেকে শুরু হয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, ইটালি হয়ে এবার বুঝি কোপ পড়ে ফ্রান্স, জার্মানির মতো বড় দেশগুলিতেও৷ এ বিষয়ে আলোচনা করতে আজ সন্ধ্যায় প্যারিসে মিলিত হচ্ছেন সার্কোজি, ম্যার্কেল৷

Zerfallender Euro und EU-Fahne, Schuldenkrise in Europa Keine Weitergabe an Drittverwerter.
বেকায়দায় ইউরোপের অর্থনীতি, বেকায়দায় ইউরোছবি: picture alliance / Bildagentur-online/Ohde

শেষ তিন মাসের হিসেবেই খারাপ খবর

সচরাচর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার মাপা হয়ে থাকে ছয় মাসে বা এক বছরে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তেমনটাই নিয়ম৷ ভারত বা চীনের মত বড়মাপের দেশগুলিও সেরকমই করে থাকে৷ কিন্তু ইউরোপের ক্ষেত্রে এই নিয়মটা একটু অন্যরকম৷ ইউরোপের যে মাপজোকের সংস্থা, সেই ইউরোস্ট্যাট প্রতি তিনমাস অন্তর জানায় পরিসংখ্যান৷ সেই পরিসংখ্যান চলতি বছরের শেষ তিনমাসের হিসেব জানিয়ে বলছে, গত তিনমাসে ইউরোজোন, বা যে সতেরোটি দেশে ইউরো মুদ্রা চলছে, সেখানে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার মাত্র ০.২ শতাংশ৷ অথচ বছরের শুরুতে কিন্তু এই প্রবৃদ্ধির হার অনেকটা বাড়বে বলে ধারণা করা হয়েছিল৷

সমস্যাটা ইউরো মুদ্রা নিয়েই কি শুধু? নাকি সমস্যার মধ্যে রয়েছে আরও কোন বিষয়? এই যেমন জার্মানির প্রবৃদ্ধির হারের পতন৷ যে খবরটি আজ সকাল থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সামনে বিশাল করে বারবার বলা হচ্ছে৷ চলছে আলোচনা, সেইসঙ্গে বিশ্লেষণ৷

ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির সঙ্গে ম্যার্কেলছবি: dapd

ইউরো মুদ্রা নিয়ে তো সমস্যা আছেই৷ সেটা সামগ্রিকভাবে ইউরোজোনের সমস্যা৷ সাম্প্রতিক খবর, বা গত সপ্তাহের খবর, মার্কিন প্রবৃদ্ধিহারের পতনের পর তাদের ক্রেডিট রেটিং তিনটি এ থেকে নেমে এখন দাঁড়িয়েছে দুটি এ তে৷ এর ফলে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের তেমন বড় না হলেও কিছু সমস্যা তো দেখা দেবেই৷

ঋণের জন্য তো ইউরোপকে বেশ কয়েকবার আই এম এফের দ্বারস্থ হতে হয়েছে

গ্রিস, আয়ারল্যান্ড আর স্পেনের জন্য এই পথ বেছে নিতে হয়েছিল ইউরোপকে৷ কারণ, এই দেশগুলির ঘাটতির বিপুল বোঝা মেটাতে ঋণ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না৷ এখন দেখা যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে আরও কিছু দেশকে ওই ঋণের পথে নিয়ে যাবে৷

আজ সন্ধ্যায় প্যারিসে মিলিত হচ্ছেন সার্কোজি, ম্যার্কেলছবি: dapd

এই আরও কিছু দেশ বলতে হয়তো ফ্রান্স বা জার্মানি

সেটা এখনই বলা মুশকিল৷ তবে আজ সন্ধ্যায় প্যারিসে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আর ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির বৈঠকে আলোচনা হবে ইউরোজোনের অর্থনীতিকে কি করে চাগিয়ে তোলা যায় সে বিষয়ে৷ তার পাশাপাশি ফ্রান্স এবং জার্মানি, এই দুটি দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক হাল নিয়েও কথা হবে দু'জনের মধ্যে৷ প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি তাঁর অর্থমন্ত্রী ফিয়োঁর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন৷ পিছিয়ে নেই ম্যার্কেল নিজেও৷ গত সপ্তাহেই ইউরোপীয় অর্থবাজার বা শেয়ারবাজারে বিশাল ধস নেমেছিল৷ সেখান থেকে নানা কায়দা করে অবস্থা সামাল দেওয়া গেলেও, শেষ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধিহারকে স্থিতিশীল রাখতে গেলে সতেরো দেশের অভিন্ন মুদ্রাকে আগে কোমরের জোর ফেরাতে হবে৷ ইউরোকে কীভাবে অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে বাঁচানো যায়, বিনিয়োগ বাড়ানোর অন্যান্য প্রয়োজনীয় দিকগুলিকে কী করে আরও সহজ করা যায়, দুই রাষ্ট্রনায়কের আলোচনায় উঠে আসবে সে সব প্রসঙ্গ৷ পরে জানা যাবে, ঠিক কী হল শেষ পর্যন্ত দিকনির্দেশ৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ